মার্কিন-ভারত বন্ধুত্ব নিয়ে ইমরান তেলেবেগুনে জ্বলছেন! পাক নেতাকে কোন 'ইতিহাস' তুলে তুলধোনা জয়শঙ্করের
ভারতের সঙ্গে আমেরিকার ক্রমাগত বেড়ে চলা সুসম্পর্ককে খুব একটা সহজে নিতে পারছে না পাকিস্তান। সেদেশের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান আগেই জানিয়েছেন যে পশ্চিমীদেশগুলির কার্যত প্রতিনিধি হয়ে গিয়েছে ভারত।
ভারতের সঙ্গে আমেরিকার ক্রমাগত বেড়ে চলা সুসম্পর্ককে খুব একটা সহজে নিতে পারছে না পাকিস্তান। সেদেশের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান আগেই জানিয়েছেন যে পশ্চিমীদেশগুলির কার্যত প্রতিনিধি হয়ে গিয়েছে ভারত। আর সেই বক্তব্যের সাফ জবাব দিতে গিয়ে এবার বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্কর তুমুল তোপ দেগেছেন।
ইমরানকে মোক্ষম জবাব
'যাঁরা এসব বলছেন, তাঁরা সম্ভবত তাঁদের নিজেদের ইতিহাসকেই তুলে ধরছেন। আর নিজেদের যোগ্যতাও বুঝিয়ে দিচ্ছেন। ভারত এমন নয়।' ঠিক এই ভাষাতেই এক সদ্য সাক্ষাৎকারে ইমরান খানকে 'কত ধানে কত চাল' তা বুঝিয়ে দিয়েছেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর।
ধারালো খোঁচা
সাম্প্রতিককালে কূটনৈতিক ময়দানে এভাবে জবাব দেওয়ার ট্রেন্ড কার্যত ভারতের একের পর এক মন্ত্রী ও উচ্চপদস্থ সচিবরা দিয়ে আসছেন পাকিস্তানকে। জয়শঙ্কর এই বক্তব্যের সময় কার্যত বুঝিয়ে দিয়েছেন যে, আমেরিকার টাকার মুখাপেক্ষী হয়ে এককালে ঋমের জন্য কিভাবে সেদেশের তাঁবেদারি করেছে পাকিস্তান। সন্ত্রাসবাদ ও লাদেনের ধরা পড়ার পর থেকে সেই ছবি যদিও পাল্টাতে শুরু করে দক্ষিণ এশিয়ায়।
ইমরান কী বলেছিলেন?
এক সদ্য দেওয়া সাক্ষৎকারে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান জানান, পশ্চিমী দেশগুলি ভারতকে যেভাব চিনের বিরুদ্ধে ব্যবহার করছে তা দুঃখজনক। পাশাপাশি তিবি দাবি করেছেন 'চিন পাকিস্তানের ভবিষ্যৎ'। তাঁর বার্তা চিন পাকিস্তানকে ছাড়া যেমন চলতে পারবে না, তেমনই পাকিস্তান চিন ছাড়া এগোতে পারবে না।
জয়শঙ্করের তুলোধনা
ইমরানের বার্তা সাপেক্ষে জয়শঙ্কর বলেন, ভারত একটি সভ্য দেশ। এদেশের ইতিহাস দুটি কঠিন দশক দেখেছে। তারপর স্বাধীনতা এসেছে। তিনি বলেন, 'অনেকেই এমন মনে করেন যে,তাঁরা যা করেছেন অন্যরাও তাইই করবে'। ভারতের নিজস্ব চরিত্র রয়েছে। আর তা ভারত ধরে রাখে, বলে জানান জয়শঙ্কর।
'পড়ুয়ারা পরীক্ষা পে চর্চা' চাইছেন, আর মোদী খেলনা নিয়ে চর্চা করছেন',ফের খোঁচা রাহুলের