তিহার জেল থেকেই মহারাষ্ট্রের শিবসেনা-কংগ্রেস-এনসিপি জোট সরকারকে বার্তা চিদম্বরমের
তিহার জেল থেকেই মহারাষ্ট্রের শিবসেনা-কংগ্রেস-এনসিপি জোট সরকারকে বার্তা চিদম্বরমের
বুধবার কংগ্রেসের প্রবীণ নেতা পি চিদম্বরম শিবসেনা, এনসিপি এবং কংগ্রেসকে মহারাষ্ট্রে সরকার গঠনের দাবি প্রসঙ্গে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। নাটকীয় ভাবে শপথ গ্রহণের তিন দিন পরে মহারাষ্ট্রে বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিস ও এনসিপির 'বিদ্রোহী’ উপ মুখ্যমন্ত্রী অজিত পাওয়ারের পদ থেকে সরে দাঁড়ান।
একটি টুইট বার্তায় চিদম্বরম লেখেন, “শিবসেনা-এনসিপি-কংগ্রেস জোট সরকারকে আন্তরিক শুভেচ্ছা। দয়া করে আপনার স্বতন্ত্র দলীয় স্বার্থকে কম প্রাধান্য দিয়ে রাজ্যের কৃষক কল্যাণ, বিনিয়োগ, কর্মসংস্থান, সামাজিক ন্যায়বিচার এবং মহিলা ও শিশু কল্যাণের সাধারণ স্বার্থ গুলি রক্ষা ও বাস্তবায়নের জন্য একসাথে কাজ করুন।”
এদিকে তীব্র রাজনৈতিক টানাপড়েন ও সমস্ত জল্পনার অবসান ঘটিয়ে শনিবার এনসিপির অজিত পাওয়ারের সঙ্গে যৌথ শলা-পরামর্শ করে দ্বিতীয়বারের জন্য মহারাষ্ট্রের মসনদে বসেন দেবেন্দ্র ফড়নবিস। উপ মুখ্যমন্ত্রী হন এনসিপি সুপ্রিমো শরদ পাওয়ারের ভাগ্নে অজিত পাওয়ার।
অন্যদিকে দল বিরোধী কাজ ও ব্যক্তিগত সিদ্ধান্তের দ্বারা চালিত হওয়ার অভিযোগে এরপরই এনসিপির পরিষদীয় দল নেতার পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় অজিত পাওয়ারকে। পাশাপাশি উপ মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ গ্রহণের আগে অজিত পাওয়ার ৫৪ জন এনসিপি বিধায়কে 'ভুল উদ্দেশ্যে’ চালিত করছেন বলেও অভিযোগ ওঠে এনসিপির অন্দরে।
অন্যদিকে সরকার গঠন প্রসঙ্গে মহারাষ্ট্রের রাজ্যপালের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্ব ও দেবেন্দ্র ফড়নবিস ও অজিত পাওয়ারের বিরুদ্ধে ঘোড়া কেনা বেচার অভিযোগ এনে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় কংগ্রেস-এনসিপি ও শিবসেনা। এরপরই সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে মহারাষ্ট্রে আস্থা ভোটের একদিন আগেই মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়ান দেবেন্দ্র ফড়নবিস। পাশাপাশি বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণের একদিন আগেই উপ-মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেন অজিত পাওয়ারও।
তারপরই পুনরায় সরকার গঠন সম্পর্কে কংগ্রেস, এনসিপি ও শিব সেনাকে বেশ কিছু দিতে দেখা বর্তমানে আইএনএক্স মিডিয়া মামলায় অর্থনৈতিক কেলেঙ্কারিতে নাম জড়ানো জেলবন্দি প্রবীণ কংগ্রেস নেতা পি.চিদম্বরমকে। তিনটি দলকে নিজ নিজ স্বার্থকে প্রাধান্য দেওয়ার পরিবর্তে রাজ্যের সাধারণ সমস্যা গুলি চিহ্নিত করে তা সমাধানের উদ্দেশ্যে একসাথে কাজ করতে বলেন।