মার্চের মধ্যে ‘এক দেশ এক রেশন ব্যবস্থা’ বাস্তবায়ন কার্যত অসম্ভব! নেপথ্যে কি কারণ?
মার্চের মধ্যে ‘এক দেশ এক রেশন ব্যবস্থার’ বাস্তবায়ন কার্যত অসম্ভব! নেপথ্যে কি কারণ ?
আগামী বছরের শুরু দিকেই সকল দেশবাসীকে এক দেশ এক রেশন কার্ড প্রকল্পের আওতায় আনতে কোমর বেঁধে মাঠে নামে কেন্দ্রীয় সরকার। করোনাকালীন ঘোষণায় আগামী বছর মার্চের মধ্যে সকলের হাতে এই রেশন কার্ড পৌঁছে দিতে কেন্দ্রের নয়া সিদ্ধান্তের কথাও সাম্প্রতিককালে জানাতে দেখা যায় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণকে। কিন্তু এই ক্ষেত্রে বর্তমানে বাধ সাধছে একাধিক রাজ্য।
কেন্দ্রীয় প্রকল্পের বিরোধীতায় একাধিক রাজ্য
সূত্রের খবর, কেন্দ্র বড় মুখ করে এই ঘোষণা করেলও বর্তমানে কেন্দ্রের এই প্রকল্প থেকে নাম তুলে নিতে চেয়েছে অনেক বিরোধী রাজ্য প্রশাসন। কেন্দ্রের এই পদক্ষেপের সরাসরি বিরোধীতায় নামে পশ্চিমবঙ্গ, তামিলনাড়ু, আসাম, ওড়িশা এবং ছত্তিশগড় সহ বেশ কয়েকটি রাজ্য। তারা ইতিমধ্যেই কেন্দ্র সরকারের এই কর্মসূচির অংশ হবে না সাফ জানিয়েও দিয়েছেন।
কেন্দ্রকে ঠেকাতে নয়া কৌশল মমতার
এদিকে রেশন কার্ড না থাকলেও পরিযায়ী শ্রমিক ও অসংগঠিত ক্ষেত্রের শ্রমিকদের জন্য ২০২১ সালের মে পর্যন্ত ভর্তুকিযুক্ত চাল, ডানের মতো অবশ্য প্রয়োজনীয় খাবার তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলার তৃণমূল সরকার। বর্তমানে চিত্রে চোখ রাখলে দেখা যাচ্ছে বর্তমানে মাত্র ২৪টি রাজ্য কেন্দ্রের এই প্রকল্পে নিজেদের নাম লিখিয়েছে। নাম তুলে নেওয়ার পাশাপাশি দোদ্যুল্যমান অবস্থাতে রয়েছে আরও বেশ কিছু রাজ্য।
একাধিক রাজ্যের সঙ্গে আলোচনায় কেন্দ্র
সূত্রের খবর, এই প্রকল্পে যুক্ত হওয়ার জন্য আরও অনেক রাজ্যকেই বোঝানোর চেষ্টা করছে কেন্দ্রীয় খাদ্য, জন বিতরণ ও ভোক্তা বিষয়ক মন্ত্রক। যদিও এতেও বিশেষ কাজ হবে মলে মনে করছে না ওয়াকিবহাল মহল। এই অবস্থা চলতে থাকলে আগামী মার্চের মধ্যে দেশের প্রতিটা কোনায় যে এই প্রকল্পের সুবিধা পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হবে না তা বলাই বাহুল্য।
কি সুবিধা পাওয়া যাবে এই কেন্দ্রীয় যোজনায় ?
এদিকে এই প্রকল্পের বাস্তবায়ন হলে যে কোনও উপভোক্তাই দেশের যে কোনও প্রান্তের রেশন দোকান থেকে সরকার নির্ধারিত ভর্তুকিতেই খাদ্যদ্রব্য কিনতে পারবেন বলে জানা যাচ্ছে। একইসাথে এই প্রকল্পের কাজ সুগম করতে দেশের সমস্ত রেশন কার্ডের তথ্য একটিই সার্ভারে জমা করা হচ্ছে বলেও জানা যাচ্ছে। এদিকে গত ১লা অগাস্ট থেকে মণিপুর, নাগাল্যান্ড, জম্মু-কাশ্মীর ও উত্তরাখণ্ড এই কেন্দ্রীয় যোজনায় নতু করে তাদের নাম লেখায় বলে জানান কেন্দ্রীয় খাদ্য মন্ত্রী রাম বিলাস পাসওয়ান।
রাজ্যে সুস্থতার হারে নয়া রেকর্ড! কলকাতায় সুস্থ ২৬ হাজারের বেশি, জেনে নিন আপনার জেলার অবস্থা