আসন্ন দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফলে বড় প্রভাব ফেলতে পারে অভিবাসী ভোটাররা
চলতি মাসের আট তারিখে দিল্লি বিধানসভা ভোট। গত বিধানসভা নির্বাচনে আম আদমি পার্টি সরকার বিপুল ভোটে জিতে ক্ষমতায় এলেও এবারের নির্বাচনে মাথাব্যথা অভিবাসী ভোটাররাই। দিল্লি দেশের প্রাণ কেন্দ্র হওয়ায় প্রায় সমস্ত রাজ্যেরই মানুষের বাস দিল্লিতে। যার মধ্যে উত্তরপ্রদেশ, বিহার সহ দক্ষিণ ভারতের রাজ্যগুলির অভিবাসী ভোটারের প্রাধান্য রয়েছে। যার প্রভাব আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে পড়তে পারে বলে মত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের।
কাদের ভোট পকেটে ভরতে মুখিয়ে আপ ও বিজেপি
২০১১ এর আদম সুমারির তথ্য অনুসারে দিল্লিতে দেশভাগের পর থেকেই শরণার্থীর সংখ্যা বেড়েছে ক্রমেই। অন্যদিকে দিল্লির প্রকৃত জনসংখ্যার উপর উত্তরপ্রদেশ এবং বিহারের অভিবাসীরা প্রভাব বিস্তার করেছে কয়েক দশক ধরেই। ২০১১ এর জনগণনার তথ্যে অনুযায়ী দেখা যাচ্ছে দিল্লিতে প্রতি তিনজন অভিবাসীর মধ্যে দুজন উত্তরপ্রদেশ কিংবা বিহার থেকে। এবারের নির্বাচনের যাদেরকে পাখির চোখ করেছে বিজেপি। ইউপি এবং বিহারের অভিবাসীদের ভোট নিজেদের পকেটে ভরার জন্য উত্তরপ্রদেশের অভিবাসী মনোজ তেওয়ারিকে প্রার্থী হিসেবে দাঁড় করিয়েছে বিজেপি।
আপ সরকারকেই পছন্দ দক্ষিণ ভারতের অভিবাসীদের
পাশাপাশি দিল্লির অভিবাসী ভোটারদের মধ্যে প্রাধান্য রয়েছে দক্ষিণ ভারতের অভিবাসীদেরও। এই ভোটে তারাও গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলতে পারে বলে মত রাজনৈতিক মহলের একাংশের। মূলত কেরল সহ দক্ষিণ ভারতের বেশ কিছু রাজ্যের অভিবাসীদের বহুলাংশ নাগরিকত্ব সহ একাধিক বিষয়ে বিজেপিকে মোটেই চাইছেনা এই নির্বাচনে। যেটা আপ সরকারের কাছে অত্যন্ত ইতিবাচক বলেই জানা যাচ্ছে।
অভিবাসীদের সন্তুষ্ট করতে সচেষ্ট কেজরিওয়াল
অন্যদিকে দিল্লির রাজনৈতিক ইতিহাসে দেখা যাচ্ছে যে যখনই যে রাজনৈতিক দল দিল্লিতে ক্ষমতায় এসেছে, তারা বরাবরই এই অভিবাসী ভোটারদের নিজেদের ভোটব্যাংকের সুবিধার্থে কাজে লাগিয়েছে। আপ সরকার ক্ষমতায় আসার পর এই অভিবাসী ভোটারদের ধরে রাখতে তাদের জন্য বাড়তি সুযোগ সুবিধাও দিয়েছেন কেজরিওয়াল। অন্যদিকে শিক্ষা থেকে শুরু করে স্বাস্থ্যে একাধিক উন্নয়ন মূলক কাজের মাধ্যমে অভিবাসী ভোটারদের সন্তুষ্টও করেছে কেজরিওয়াল সরকার। এমনকি বিহারীদের জন্য ছট পুজো উপলক্ষে একদিনের ছুটিও চালু করেছে কেজরিওয়াল।