রাজস্থানের পঞ্চায়েত নির্বাচনে লড়বেন পাকিস্তান থেকে আসা শরণার্থী
রাজস্থানের পঞ্চায়েত নির্বাচনে লড়বেন পাকিস্তান থেকে আসা শরণার্থী
পাকিস্তান থেকে কোনও ভাবে পালিয়ে এসেছিলেন তিনি। শরণার্থী হয়ে ভারতে আসার পর এবার তিনি স্বপ্ন দেখছেন নীতা সোধা। এই বিষয়ে নীতা সোধা বলেন, 'আমি ১৮ বছর আগে এসেছিলাম ভারতে। তবে মাত্র ৪ মাস আগে আমি ভারতীয় নাগরিকত্ব পাই।' তিনি আরও বলেন, 'আমার শ্বশুর পঞ্চায়েত সদস্য ছিলেন দীর্ঘদিন। এখন তিনি আমাকে রাজনৈতিক বিষয়ে পথ দেখাচ্ছেন।'
মহিলাদের জন্যে কাজ করতে চান নীতা
পঞ্চায়েত প্রধানের পদের জন্যে নির্বাচনে লড়াই করতে চলা নীতা নির্বাচনে লড়ার বিষয়ে বলেন, 'আমি মহিলাদের স্বশক্তিকরণের জন্যে কাজ করতে চাই। পাশাপাশি শিক্ষার প্রসারের জন্যেও আমি কাজ করতে চাই।' নীতে আরও বলেন, 'আমি নির্বাচিত হলে মহিলাদের এগিয়ে নিজে যেতে ও তাদের উন্নতির জন্যে আপ্রাণ চেষ্টা করব। আমি শিক্ষার পাশাপাশি চিকিৎসা ব্যবস্থায় উন্নতি ও হাসপাতাল গড়ে তোলার বিষয়ে নজর দেব। আমি নিশ্চিত করব যাতে মহিলারা তাদের মজুরি সঠিক সময়ে এবং সঠিক পরিমাণে পায়। এতেই আমাদের গ্রামের উন্নতি সম্ভব হবে।'
পাকিস্তানের থেকে ভারত অনেক গুণে ভালো
পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের তুলনা টানতে গিয়ে নীতা ১৮ বছরের পুরোনো স্মৃতিচারণ করেন। তিনি বলেন, 'ভারতে মহিলাদের বসবাসের জন্যে যা পরিস্থিতি তা পাকিস্তান থেকে কয়েক গুণ ভালো। শিক্ষার ক্ষেত্রেও পাকিস্তানের থেকে ভআরত অনেক এগিয়ে। আমি যবে থেকে এদেশে এসেছি আমি অনেক মানুষের সাহায্য পেয়ে এসেছি।'
রাজস্থানে শরণার্থীরা খুশি
এর আগে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন পাশ হওয়ার পর উল্লাস দেখা যায় যোধপুর ও রাজস্থানের বিভিন্ন জায়গায় থাকা পাকিস্তানী হিন্দু শরণার্থীদের মধ্যে। গত বেশ কয়েক বছর ধরে রাজস্থানে থাকা এই শরণার্থীরা খুব কষ্টে থাকতেন। নাগরিকত্ব না থাকার কারণে তাঁরা সাধারণ কোনও সুযোগ সুবিধা পেতেন না। তবে এখন নতুন এই নাগরিকত্ব আইন পাশ হয়ে যাওয়ায় তাঁদের জীবনে নতুন আার আলো জ্বলেছে।
নতুন আইনের শর্ত
নতুন এই আইনের শর্ত, ৩১ ডিসেম্বর ২০১৪ বা তার আগে বাংলাদেশ, পাকিস্তান এবং আফগানিস্তান থেকে ধর্মীয় কারণে অত্যাচারিত হয়ে যে সমস্ত অমুসলিম শরণার্থীরা ভারতে এসেছেন, তাঁদের প্রত্যেককেই নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। অর্থাৎ, হিন্দু, খ্রিস্টান, শিখ, বৌদ্ধ, পারসি বা জৈন ধর্মের যেই লোকেরা ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের আগে থেকে ভারতে বসবাস করেছেন, তারা ভারতের নাগরিকত্ব পেয়ে যাবেন। বিলটি গত সপ্তাহের সোমবার ৩১১-৮০ ব্যবধানে পাশ হয়। বুধবার রাজ্যসভায় এটি পাশ হয় ১২৫-৮২ ব্যবধানে।
হিংসা পশ্চিমবঙ্গের পরিচিতি! বিশ্বভারতীতে হামলা নিয়ে আর যা বললেন রাজ্যপাল