অর্থনীতিকে সঠিক পথে ফেরাতে অবিলম্বে পদক্ষেপ নিক ভারত, মোদীর সঙ্গে দেখা করে পরামর্শ আইএমএফ প্রধানের
অবিলম্বে দেশের অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে পদক্ষেপ নিক ভারত সরকার। এমনই সতর্কবাণী শোনাল আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক সংস্থা আইএমএফ। আইএমএফ-এর বক্তব্য, সারা বিশ্বের অর্থনীতির অগ্রগতির ক্ষেত্রেই ভারত এক বড় শক্তি। ভারত নিজেদের অর্থনীতিকে সঠিক পথে ফেরত না আনতে পারলে তা সারা বিশ্বের জন্য খুব গভীর সমস্যা হয়ে দাঁড়াবে বলে মত প্রকাশ করে আইএমএফ।
(ছবি
সৌজন্যে
:
প্রধানমন্ত্রীর
টুইটার)
এদিকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে সোমবার দেখা করেন আইএমএফ প্রধান গীতা গোপীনাথ। সেখানে তিনি বলেন, 'আমার মনে হয় অর্থনীতির উপর নিয়ন্ত্রণের অনিশ্চয়তার থেকেই এই পরিস্থিতি হয়েছে। ভারতের জন্য এখন খুব দরকার যে তারা অবিলম্বে এই পরিস্থিতি থেকে নিজেদের অর্থনীতিকে বের করে আনতে পদক্ষেপ নিক।'
উপভোক্তাদের ক্রয় ক্ষমতা হ্রাস থেকে বিনিয়োগের হারে ঘাটতি, এরকম বেশ কয়েকটি কারণে বর্তমানে ভারতের অর্থনীতি এক নিম্নগামী গ্রাফের সম্মুখীন। এছাড়া কর আদায়ের ক্ষেত্রেও সরকার পিছিয়ে পড়ায় আরও গম্ভীর হয়েছে সমস্যা। আইএমএফ-এর বার্ষিক রিপোর্টেই এই বিষয়গুলি তুলে ধরে।
আইএমএফ-এর এশিয়া ও প্যাসিফিক অঞ্চলের দায়িত্বে থাকা রানিল সালগাদো ভারতের বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতি সম্পর্কে বলেন, 'ভারত গত কয়েক বছরে বহু মানুষকে দারিদ্র্য মাত্রার নিচ থেকে উপরে তুলে এনেছে। তবে বর্তমানে তাদের দেশে অর্থনীতি ধীর গতিতে এগোচ্ছে, যা আশঙ্কাজনক। এই অবস্থা থেকে দেশকে তুলে আনতে শীঘ্রই কোনও নীতি আনতে হবে সরকারকে।'
কয়েক দিন আগেই ফের ভারতের আর্থিক বৃদ্ধির পরিমান কমানোর ঘোষণা করেন আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের প্রধান অর্থনীতিবিদ গীতা গোপীনাথ। ২০১৯ সালে ভারতের আর্থিক বৃদ্ধি পূর্বাভাস ৬.১ শতাংশ রেখেছিল আইএমএফ। আর ২০২০ সালে সেই আর্থিক বৃদ্ধির পূর্বাভাস ৭ শতাংশ রাখা হয়েছিল। কিন্তু যে দিকে এগোচ্ছে দেশের অর্থনীতি তাতে সেই পর্যায়ে রাখা যাবে না ভারতকে এমনই মনে করছে আইএমএফ। সেকারণেই আগের অবস্থান থেকে কমিয়ে আনা হচ্ছে ভারতের আর্থিক অবস্থান। গীতা গোপীনাথ বলেছেন ভারতের আর্থিক বৃদ্ধি কমিয়ে ৫ শতাংশেরও নীচে নামানো হতে পারে।