ভারতে আর্থিক বৃদ্ধি নিয়ে মোদী সরকারকে দুষল আইএমএফ
ভারতের আর্থিক বৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা কমাল আইএমএফ। আগে যেখানে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৭.২ শতাংশ, এখন সেখানে লক্ষ্যমাত্রা রাখা হয়েছে ৬.৭ শতাংশে। কারণ হিসেবে নোটবাতিল এবং জিএসটির কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
ভারতের আর্থিক বৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা কমাল আইএমএফ। আগে যেখানে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৭.২ শতাংশ, এখন সেখানে লক্ষ্যমাত্রা রাখা হয়েছে ৬.৭ শতাংশে। কারণ হিসেবে নোটবাতিল এবং জিএসটির কথা উল্লেখ করা হয়েছে। এই হার চিনের থেকে ০.১ শতাংশ কম।
এর ওপর ভিত্তি করেই ২০১৮-র জন্য ভারতের আর্থিক বৃদ্ধির লক্ষ্য কমানো হয়েছে। জুলাই এবং এপ্রিলে যেখানে লক্ষ্যমাত্রা রাখা হয়েছিল ৭.৭ শতাংশ, এখন সেখানে লক্ষ্যমাত্রা রাখা হয়েছে ৭.৪ শতাংশে। ২০১৬ সালে ভারতের আর্থিক বৃদ্ধি ছিল ৭.১ শতাংশে।
ভারতে আর্থিক বৃদ্ধির গতি শ্লথ বলেই মন্তব্য করেছে আইএমএফ। কারণ হিসেবে নোটবাতিল এবং জিএসটির কথাও তুলে ধরা হয়েছে।
বার্ষিক রিপোর্ট পেশের আগেই মঙ্গলবারের এই রিপোর্টটি প্রকাশ করেছে আইএমএফ। রিপোর্টে ২০১৭ সালের জন্য চিনকে ভারতের থেকে সামান্য এগিয়ে রাখা হয়েছে।
২০১৮ সালে ভারত আবার দ্রুততম বৃদ্ধির উদীয়মান অর্থনীতির দেশ হিসেবে পরিচিত হবে বলে রিপোর্টে আশাপ্রকাশ করা হয়েছে। ২০১৮ সালের জন্য চিনের অর্থনীতির বৃদ্ধির হারের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৬.৫ শতাংশে।
ভারতের শ্রম আইন এবং জমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়ায় সরলীকরণ হলে ব্যবসার পরিবেশ বদলাবে বলেও রিপোর্টে আশাপ্রকাশ করা হয়েছে।
আইএমএফ জানিয়েছে, ১৯৯৯ থেকে ২০০৮ সালের মধ্যে ভারতের গড় আর্থিক বৃদ্ধির হার ছিল ৬.৯ শতাংশে। পরবর্তী তিন বছরে এই হার ছিল যথাক্রমে ৮.৫, ১০.৩ এবং ৬.৬ শতাংশ। ২০১২, ২০১৩ এবং ২০১৪-তে বৃদ্ধির হার ছিল যথাক্রমে ৫.৫, ৬.৪ এবং ৭.৫ শতাংশ। ২০১৫-তে যা ৮ শতাংশেও পৌঁছে যায়।
২০২২ সালের জন্য ভারতের আর্থিক বৃদ্ধির হারের লক্ষ্যমাত্রা রাখা হয়েছে ৮.২ শতাংশে।