
নিম্নচাপের কারণে আবহাওয়া দফতরের লাল সতর্কতা জারি! উপকূলের পাঁচ জেলায় ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস
এক বন্যা সামলাতে না সামলাতেই ফের আরও একের সতর্কতা। আবহাওয়া (Weather) দফতর সতর্ক করে বলেছে, বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া নিম্নচাপ এগিয়ে আসছে উপকূলের দিকে। যে কারণে আবহাওয়া দফতরের তরফে চেন্নাইয়ের (Chennai) জন্য লাল সতর্কতা (Red Alert) জারি করা হয়েছে।

আবহাওয়া দফতরের সতর্কতা
আবহাওয়া দফতরের এদিন অতিভারী বৃষ্টির সম্ভাবনায় চেন্নাইয়ের জন্য লাল সতর্কতা জারি করেছে। এছাড়াও আশপাশের যে জেলাগুলির জন্য সতর্কতা জারি করা হয়েছে সেগুলি হল তিরুভাল্লুর, কাঞ্চিপুরম, চেঙ্গলপেট, কোড্ডালোর, ভিল্লুপুরম। বলা হয়েছে দক্ষিণ পূর্ব থেকে ক্রমেই নিম্নচাপ এগোচ্ছে উপকূলের দিকে। যে কারণে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে তামিলনাড়ুর উত্তর এবং অন্ধ্রপ্রদেশের দক্ষিণের জেলাগুলিতে অতিভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।

আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস
আবহাওয়া দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, চেন্নাইয়ের আকাশ সাধারণভাবে মেঘলা থাকবে। বিচ্ছিন্নভাবে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়াও ঝোড়ো হাওয়াও থাকবে বলে জানানো হয়েছে। বলা হয়েছে আগামী দুদিন সেখানে ঘন্টায় সর্বোচ্চ ৬০ কিমি বেগে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।

বাঁধ থেকে বেড়েছে জল ছাড়ার পরিমাণ
এর আগেই জানা গিয়েছিল প্রবল বৃষ্টির সম্ভাবনায় চেন্নাই ও আশপাশের এলাকায় ড্রোন দিয়ে জলাশয়গুলির জরিপ করা হচ্ছে। এদিন জানা গিয়েছে চেন্নাইয়ের চেমবারামবক্কম এবং পুঝাল জলাধার থেকে জল ছাড়ার পরিমাণ বাড়ানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার থেকে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনায় আগে থেকেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি জলাধারের পাশের থাকা মানুষজনকেও আগে থেকেই সতর্ক করা হয়েছে।

আগের বৃষ্টিতে ভেসেছিল চেন্নাই, ক্ষয়ক্ষতি বিস্তর
দিন কয়েক আগেই দিনভর বৃষ্টিতে ভেসেছিল চেন্নাই। বড় রাস্তার এবং শহর সংলগ্ন এলাকা প্লাবিত হয়েছিল। ব্যাহত হয়েছিল বিদ্যুৎ সরবরাহ। প্রায় ৬৫ হাজার বাড়ির ছিল বিদ্যুৎহীন। বিমান চলাচলেও বিঘ্ন ঘটেছিল। তামিলনাড়ু জুড়ে ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছিল সেই বৃষ্টিতে।
গত সপ্তাহের প্রবল বৃষ্টিতে চেন্নাই শহর সংলগ্ন ভেলাচেরি চলে গিয়েছিল জলের তলায়। এছাড়াও কেকে নগর এবং ক্রোমপেটের সরকারি হাসপাতালে জল ঢুকে গিয়েছিল। যার জেরে রোগীদের অন্য হাসপাতালে সরাতে হয়। ক্ষতির আশঙ্কায় বহু মানুষ নিজেদের গাড়ি রেখেছিলেন ভেলাচেরি উড়ালপুলের ওপরে।
গত দুসপ্তাহ ধরে বৃষ্টিতে ১.৪৫ লক্ষ একর জমির ফসল নষ্ট হয়েছে বলে প্রাথমিক হিসেবে জানিয়েছিল তামিলনাড়ু সরকার। এবারের বর্ষণে এই ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়তে চলেছে বলেই অনুমান। এছাড়াও মাটির বাড়ি ভেঙে পড়েও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছিল। চেন্নাইয়ে পরিস্থিতি নিয়ে হওয়া মামলায় বিচারপিত প্রশ্ন করেছিলেন, ২০১৫ সালের ভয়াবহ বন্যার পরেও শহরের প্রশাসন কেন বন্যা নিয়ন্ত্রণে ব্যবস্থা নেয়নি। এব্যাপারে বর্তমান ডিএমকে সরকার আগের সরকারকে দায়ী করেছিল।
কলকাতা পুরসভার নির্বাচন পরিচালনার জন্য বিজেপির কমিটিতে চমক! শীর্ষে ২ সাংসদ-সহ তিনজন