করোনা যুদ্ধে ‘শহিদ’ চিকিৎসকদের সেনা সম্মানের দাবি, প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি আইএমএ-র
করোনা যুদ্ধে ‘শহিদ’ চিকিৎসকদের সেনা সম্মানের দাবি, প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি আইএমএ-র
জুনেই লাদাখ সীমান্তে সংঘর্ষের জেরে শহিদ হয়েছেন ভারতের ২০জন সেনাজওয়ান। দেশকে ভালোবেসে, দেশেকে সুরক্ষিত রাখতে নিজেদের প্রাণ দিয়েছেন তাঁরা। এইনিয়ে উত্তাল হয়েছে গোটা দেশ, তাঁদের ছবির সামনে জ্বলেছে হাজারো মোমবাতি, শ্রদ্ধা জানাতে দেশের পতাকায় মুড়ে দেওয়া হয়েছে তাঁদের কফিন৷ এই সম্মান অবশ্যই তাঁদের প্রাপ্য। কিন্তু এই করোনা নামক প্রাণঘাতী ভাইরাসের সঙ্গে লড়াইয়ে দেশের হাজার হাজার মানুষের প্রাণ বাঁচাতে যাঁরা নিজেদের প্রাণ বলি দিলেন তাঁদের প্রাপ্য সম্মান মিলছে কই? এবার তাঁদের প্রাপ্য সম্মানের দাবিতেই সোচ্চার ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন।
করোনা যুদ্ধে মৃত চিকিৎসকদের দিতে হবে সেনাবাহিনীর সম্মান
আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা বাড়লেও দেশের সুস্থতার হারই খানিক স্বস্তি জোগাচ্ছে দেশবাসীকে। চিকিৎসকরা দিন রাত এক করে লড়াই চালাচ্ছেন মারণ ভাইরাসের বিরুদ্ধে। চিকিৎসা করতে গিয়ে করোনার কবলে পড়ে প্রাণ হারিয়েছেন একাধিক চিকিৎসক। তবু লড়াই থামিয়ে দেননি কোভিড-যোদ্ধারা। তাই মৃত চিকিৎসকদের প্রাপ্য সম্মান জানাতে তাঁদের সরকারিভাবে সেনাবাহিনীর সম্মান জানানোর অনুরোধ জানিয়ে দেশের প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিল ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন বা আইএমএ।
দেশের ৮৭ হাজার স্বাস্থ্যকর্মী করোনায় আক্রান্ত
এই লকডাউনে বন্ধ ছিল দেশের একাধিক ক্ষেত্র কিন্তু বন্ধ ছিলনা হাসপাতাল বা স্বাস্থ্যকেন্দ্র। করোনা যখন ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলছে সেই অবস্থাতেই দেশকে করোনা মুক্ত করতে চিকিৎসাক্ষেত্রে লড়ে গেছে অসংখ্য স্বাস্থ্যকর্মী। আইএমএ-র হিসাব অনুযায়ী দেশে মোট ৮৭ হাজার স্বাস্থ্যকর্মী করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। যার মধ্যে প্রাণ হারিয়েছেন ৫৭৩ জন। তাদের মধ্যে ডাক্তারের সংখ্যাই তিনশোর বেশি। কিন্তু কেন্দ্রের তরফে এই বিষয়ে কোনোও উচ্চ-বাচ্য দেখা যায়নি।
'শহিদ' চিকিৎসকদের পরিবারপিছু একটি করে সরকারি চাকরির দাবি
পিপিই কিটে নিজেদের মুড়িয়ে রাত দিন এক করে আমার আপনার জন্য যারা লড়ছেন তাঁরা যোদ্ধাদের থেকে কম কিছু নয়। তাঁরা বীর শহিদদেরই সমতূল্য। চিকিৎসকদের এই সেবাকে উচ্চ সরকারি সম্মান জানানোরও আর্জি জমা পড়েছে প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদির কাছে। আইএমএ'র দাবি, এবার থেকে মৃত চিকিৎসকদের 'শহিদ'দের মতোই সেনাবাহিনীর সম্মান জানাতে হবে। পাশাপাশি, তাদের পরিবার পিছু একজনকে শিক্ষাগত যোগ্যতার ভিত্তিতে একটি করে সরকারি চাকরি দিতে হবে।
আপনার আমার ছুটি, চিকিৎসকদের কই?
বারবারই খবরের শিরোনামে উঠে এসেছে করোনা লড়াইয়ে চিকিৎসকদের মৃত্যুর খবর। করোনা লড়াইয়ে রোগীকে সুস্থ করে বাড়ি ফিরিয়েও বাড়ি ফিরতে পারেননি অসংখ্য চিকিৎসক। নিজেদের পরিবারভুলে আরও অসংখ্য পরিবারের মুখে হাসি ফোটাতে করোনার সাথে সরাসরি লড়াইয়ে নেমেছেন তারা, দিয়েছেন প্রাণও। এবার সেই ত্যাগকেই কুর্নিশ জানানোর দাবি নিয়ে সোচ্চার আইএমএ।
ভারত-ভূটান-চিন ট্রাই জংশনে বেজিংয়ের সন্দেহজনক হেলিপোর্ট! লাদাখ উত্তেজনার মাঝে পারদ চড়ছে