নাগাল্যান্ডে মাংসের জোগানের জন্য পশ্চিমবঙ্গ ও অসম থেকে বেআইনিভাবে কুকুর পাচার
নাগাল্যান্ডে মাংসের জোগানের জন্য পশ্চিমবঙ্গ ও অসম থেকে বেআইনিভাবে কুকুর পাচার
সম্প্রতি দেশে পশুদের ওপর নৃশংস ঘটনা ঘটছে একের পর এক। কেরলে গর্ভবতী হাতির মৃত্যু, তেলঙ্গানায় বাঁদরকে গাছ থেকে ঝুলিয়ে হত্যার ঘটনার পর ফের এক অমানবিক ঘটনা প্রকাশ্যে এল। টুইটারের একটি পোস্ট দেখে জানা গিয়েছে যে কুকুরদের পশ্চিমবঙ্গ ও অসম সীমান্ত দিয়ে নাগাল্যান্ডে অবৈধভাবে পাচার করা হচ্ছে সেখানকার মানুষদের কুকুরের মাংস খাওয়ার জন্য।
নাগাল্যান্ড ও উত্তর–পূর্ব রাজ্যে কুকুরের মাংস খাওয়া হয়
যদিও কুকুর হত্যা ও কুকুরের মাংস খাওয়া ভারতীয় আইনে বেআইনি হলেও নাগাল্যান্ড ও অন্যান্য উত্তর-পূর্ব রাজ্যে আইনের তোয়াক্কা না করেই কুকুর মেরে তার মাংস খাওয়া হয়। এইসব রাজ্যে কুকুরের মাংসে উচ্চ পুষ্টি ও ঔষধি গুণ রয়েছে বলে মনে করা হয়।
মানেকা গান্ধীর টুইট
পশু অধিকার কর্মী তথা বিজেপি সাংসদ মানেকা গান্ধী উল্লেখ করে জানিয়েছেন যে এইসব কুকুরদের মুখ শক্ত করে দড়ি দিয়ে বেঁধে, যাতে তারা চিৎকার করতে না পারে, ট্রাকে করে তাদের নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। অনেক কুকুরই দমবন্ধ হয়ে মারাও গিয়েছে। তিনি নাগাল্যান্ডবাসীর কাছে এই পদ্ধতির পরিবর্তন করার জন্য ও রাজ্যের মুখ্য সচিব তেমজান টয়ের কাছে সভ্যভাবে প্রতিবাদ করার আর্জি জানিয়ে ছিলেন এবং নাগাল্যান্ডে কুকুর বাজার ও রেস্তোরাঁগুলিকে বন্ধ করতে পুলিশের সহায়তা করার কথা জানিয়েছিলেন।
কুকুরের মাংস খাওয়ার বিরুদ্ধে সরব নেটিজেনরা
এই পোস্ট ভাইরাল হওয়ার পর কুকুরদের ওপর এ ধরনের নিষ্ঠুরতা ও এই নৃশংস কার্যকলাপ বন্ধের জন্য সরব হন টুইটার ব্যবহারকারীরা। অনেক সমাজ কর্মী এবং সোশ্যাল মিডিয়ার ব্যবহারকারীরা এখন অন্যদেরকে সিএসএনজিএল@এনআইসি ডট ইনে কুকুর বাজার, কুকুর রেস্তোরাঁ ও কুকুর পাচার রোখার জন্য নাগাল্যান্ড সরকার ও রাজ্যের মুখ্য সচিব তেমজেন টয়ের কাছে একটি ইমেল প্রেরণের করার আহ্বান জানাচ্ছেন। লেখক-প্রযোজক প্রীতিশ নন্দী লেখেন, ‘এটা খুব জরুরি। সিএসএনজিএল@এনআইসি ডট ইনে ইমেল পাঠিয়ে নাগাল্যান্ড সরকারকে কুকুরের বাজার, রেস্তোরাঁ ও কুকুর পাচার রোকার জন্য আর্জি জানিয়ে ইতিহাস রচনা করতে পারি। কুকুরের মাংস খাওয়া শুধু বেআইনি নয়, অমানবিক। বিষয়টি যেন আগামীকাল মন্ত্রীসভায় তোলা হয়।'
শাস্তিযোগ্য অপরাধ
১৮৬০ সালের ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪২৯ ধারা অনুযায়ী মাংসের জন্য কুকুর হত্যা বেআইনি এবং ১৯৬০ সালের পশুদের ওপর নিষ্ঠুরতা আইনের ১১ ধারা অনুযায়ী এটা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। যদিও এই অভ্যাস বহুদিন ধরে চলে আসছে বিভিন্ন উত্তর-পূর্ব রাজ্যগুলিতে।
প্রতি বছর নাগাল্যান্ডে ৩০ হাজার কুকুর হত্যা করা হয়
এই বেআইনি কুকুরের মাংস ভক্ষণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে, নাগাল্যান্ডের অনেক কুকুর প্রেমী এবং পশু প্রেমীরা বছরের পর বছর ধরে ভারতের কুকুরের মাংসের বাণিজ্য শেষ করার জন্য বিভিন্ন প্রচার চালিয়ে চলেছে, যা প্রতি বছর ৩০,০০০ এরও বেশি রাস্তার এবং চুরি যাওয়া কুকুরকে মারধর করে মৃত্যুপথে ঠেলে দেয়।
ভোট ফ্রম হোম, করোনায় 'নিউ নর্মাল' নির্বাচন, বিধানসভা ভোট নিয়ে বড় ঘোষণা ইলেকশন কমিশনের