'আপনার মৌনতা দেশে অসহিষ্ণুতা বাড়াচ্ছে', মোদীকে চিঠি দুই IIM-এর ছাত্র-শিক্ষকদের
মোদী জমানার শুরু থেকেই দেশে অসহিষ্ণুতার অভিযোগ তুলে আসছে বিরোধীরা৷ বিশেষ করে দেশের বামপন্থী কবি সাহিত্যিক ও রাজনৈতিক দলগুলি কখনও শেষ সাত বছরে নানা রকমের উপায় নিয়েছে মোদীর বিরুদ্ধে অসহিষ্ণুতার অভিযোগ তুলে আন্দোলনে নামার। এবার দেশের সাম্প্রদায়িক বৈরিতা ও অসহিষ্ণুতা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদীকে চিঠি লিখলেন দেশের দুটি অন্যতম সেরা সরকারি ম্যানেজমেন্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষরা।
সম্প্রতি গুজরাটের আমেদাবাদ ও কর্ণাটকের বেঙ্গালুরুর আইআইএম-এর (ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ ম্যানেজমেন্ট) কয়েক জন ছাত্র-ও ফ্যাকাল্টি মেম্বার মিলে দেশের প্রধানমন্ত্রীকে অসহিষ্ণুতারা বিরুদ্ধে সরক হওয়ার জন্য চিঠি লিখেছেন। চিঠিটিতে ১৮৩ জনের স্বাক্ষর রয়েছে৷ যার মধ্যে আমেদাবাদ আইআইএম-এর ৩ জন ফ্যাকাল্টি মেম্বার এবং বেঙ্গালুরু আইআইএম-এর ১৩ জন ফ্যাকাল্টি মেম্বারের স্বাক্ষর রয়েছে৷ চিঠিটি মেইল করে প্রধানমন্ত্রীর দফতরে পাঠানো হয়েছে৷
চিঠিতে লেখা হয়েছে, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাদের দেশে ক্রমবর্ধমান অসহিষ্ণুতার বিষয়টিকে সাহস যোগাচ্ছে আপনার নীরবতা৷ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, এই অসহিষ্ণুতার বিষয়টি আমরা যারা আমাদের দেশের বহুসাংস্কৃতিক কাঠামোকে মূল্য দিই তাদের কাছে হতাশাজনক। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আপনার নীরবতা, দেশের মধ্যে থাকা ঘৃণা পূর্ণ কণ্ঠগুলিকে উৎসাহিত করে এবং আমাদের দেশের ঐক্য ও অখণ্ডতাকে হুমকির মুখে ফেলে। চিঠিটিতে আরও বলা হয়েছে, আমাদের বিভক্ত করতে চায় এরকম যে কোনও অপশক্তি থেকে দেশকে দূরে সরিয়ে রাখার দেওয়ার আহ্বান জানাই৷
আইআইএম বেঙ্গালুরুর পাঁচজন ফ্যাকাল্টি সদস্য এই চিঠির খসড়া তৈরি করেছেন। তারা হলেন প্রতীক রাজ (কৌশল বিভাগের সহকারী অধ্যাপক), দীপক মালঘান (সহযোগী অধ্যাপক, পাবলিক পলিসি), ডালহিয়া মণি (সহযোগী অধ্যাপক, উদ্যোক্তা), রাজলক্ষ্মী ভি মূর্তি (সহযোগী অধ্যাপক, সিদ্ধান্ত বিজ্ঞান) এবং হেমা স্বামীনাথন (সহযোগী অধ্যাপক, পাবলিক পলিসি)। দীপক মালঘান একজন বিশিষ্ট পরিবেশবিদ এবং অর্থনীতিবিদও।
উত্তরে বেঙ্গালুরু আইআইএম ফ্যাকাল্টি রাজ বলেন যে, দেশের ক্রমবর্ধমান অসহিষ্ণুতা ও সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষ নিয়ে চুপ করে থাকার আর কোনও উপায় ছিল না বুঝতে পেরেই ছাত্র এবং শিক্ষকরা মিলে এই উদ্যোগ নিয়েছেন। অনেক লম্বা সময় ধরে দেশের মধ্যে ওঠা ঘৃণার কণ্ঠগুলিকে আমরা সরিয়ে দিতে পেরেছি এবং এভাবেই আমরা এখানে একত্রে বহুবছর ধরে আছি৷ তাই এবার পুরো বিষয় নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে জানানোর প্রয়োজন ছিল।