'হিজাব পরতে হলে বাড়িতে পরুন, স্কুলে নয়', সাধ্বী প্রজ্ঞা
'হিজাব পরতে হলে বাড়িতে পরুন, স্কুলে নয়', সাধ্বী প্রজ্ঞা
কর্নাটকের হিজাব বিতর্ক নিয়ে ইতিমধ্যেই উত্তাল হয়েছে দেশ। বিদ্যালয়, কলেজের মতো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ধর্মীয় পোশাক কতটা যুক্তিযুক্ত, আদৌ তা ব্যক্তি স্বাধীনতার অন্দরে কিনা ; তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে দেশের একটা বড় অংশ। এই বিতর্কের মাঝেই এবার মুখ খুললেন বিজেপি সাংসদ প্রজ্ঞা সিং ঠাকুর। ভোপালে একটি জনসভায় বললেন, 'ভারতে হিজাব পরার কোনও প্রয়োজন নেই। নিজেদের বাড়িতে হিজাব পরুন৷'
গতমাস থেকেই কর্নাটকের হিজাব বিতর্ক নিয়ে উত্তাল দেশ। বিতর্কের জেরে মামলা গড়িয়েছে সুপ্রিম কোর্ট অবধি। এর আগে কর্নাটক হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল, যতদিন না এই মামলার নিস্পত্তি হচ্ছে, ততদিন হিজাব সহ কোনও ধর্মীয় পোশাক পরা যাবে না। যার ফলে কার্যত পথে নেমে আন্দোলনের ডাক দিয়েছিলেন মুসলিম ছাত্রীরা। অনেক বিশেষজ্ঞরা আবার মনে করছিলেন, এই ঘটনার জেরে বাড়বে ড্রপ আউটের সংখ্যা। তবে এর মাঝেই ফের বিতর্কিত মন্তব্য করলেন বিজেপি নেত্রী সাধ্বী প্রজ্ঞা। তিনি বলেন, 'যখন ছাত্রছাত্রীরা বিদ্যালয়ে যায়, তারা সেই প্রতিষ্ঠানের অনুশাসন মেনে চলে এবং নির্ধারিত পোশাকই পরে। সেখানে হিজাব একটি পর্দা। যে বা যাঁরা কুদৃষ্টিতে তাকায়, তাঁদের বিরুদ্ধে সুরক্ষিত থাকতে পর্দা ব্যবহার করা হোক। তবে একটা বিষয় স্পষ্ট, হিন্দুরা কখনোই মুসলিম মেয়েদের কুদৃষ্টিতে দেখে না। তারা নারীদের পুজো করে৷'
১৯৪৭ এ মোদী ক্ষমতায় থাকলে কার্তারপুর ভারতে থাকত, বললেন অমিত শাহ
প্রসঙ্গত, চলতি ফেব্রুয়ারিতেই কর্ণাটকের উদুপির একটি সরকারি কলেজে বোরখা ও হিজাব পরে প্রবেশ করা নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়। ইসলাম ধর্মী ছাত্রীদের ধর্মীয় পোশাক পরে কলেজ আসার প্রতিবাদে হিন্দু ধর্মের ছাত্রীরা গেরুয়া স্কার্ফ গলায় কলেজে আসতে শুরু করে৷ এবং বড় আকারে হিজাবের মতো ধর্মীয় পোশাক পরার বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু করে কলেজের ছারছাত্রীরা৷ যার আঁচ ক্রমে সারা ভারতে ছড়িয়ে পড়ে৷ পশ্চিমবঙ্গেও হিজাব পরা না পরা নিয়ে বিভক্ত সোশ্যাল মিডিয়া৷ এরপরই কর্ণাটক হাইকোর্টের রায়ের হিজাব, বোরাখা পরে স্কুলে আসা সাময়িকভাবে নিষিদ্ধ হয়েছে৷
ভোপালে সাধ্বী আরও বলেন, 'এটা আমাদের সনাতনী সংস্কৃতির অঙ্গ। আমরা নারীদের শ্রদ্ধা করি, পুজো করি। যে দেশে নারীদের স্থান সর্বোচ্চ, সেখানে আদৌ হিজাব পরার কোনও প্রয়োজনীয়তা আছে? ভারতে হিজাব পরার কোনও প্রয়োজন নেই। যাঁরা নিজেদের বাড়িতেই অসুরক্ষিত, তাঁরা সেখানে হিজাব পরে থাকুন। যেখানে তাঁরা পড়াশোনা করতে আসেন, সেখানে হিজাবের প্রয়োজন নেই। স্কুল-কলেজের অনুশাসন, পোশাকবিধি ভাঙলে তা সহ্য করা হবে না৷'