৩ দিনের মধ্যে নোট দুর্ভোগ না মিটলে দায় নিয়ে পদত্যাগ করা উচিত প্রধানমন্ত্রীর: মমতা
তিনদিনের মধ্যে নোট দুর্ভোগ না মিটলে পদত্যাগ করা উচিত প্রধানমন্ত্রীর। নয়াদিল্লিতে যৌথ বৈঠক শেষে সাংবাদিক সম্মেলন থেকে প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবি তুললেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
নয়াদিল্লি, ২৭ ডিসেম্বর : তিনদিনের মধ্যে নোট দুর্ভোগ না মিটলে পদত্যাগ করা উচিত প্রধানমন্ত্রীর। নয়াদিল্লিতে যৌথ বৈঠক শেষে সাংবাদিক সম্মেলন থেকে প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবি তুললেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাহুল গান্ধীকে পাশে বসিয়ে প্রধানন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর পদত্যাগের দাবি তোলার পাশাপাশি মমতা মঙ্গলবার বলেন, নোট বাতিলের পিছনে গোপন অ্যাজেন্ডা রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর। সেই গোপন অ্যাজেন্ডা কী? অবিলম্বে প্রকাশ করুন প্রধানমন্ত্রী। নোট বাতিল ইস্যুতে বৈঠক শেষে বিরোধীদের যৌথ অভিন্ন কর্মসূচি চলবে বলে জানিয়ে দিলেন রাহুল গান্ধী।
'টুডেজ পেন ইজ টুমরোজ গেন', বলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। সেই কথার কী হল। কোথায় আপনার আচ্ছে দিন? নোট বাতিল করে প্রধানমন্ত্রী দেশকে ২০ বছর পিছিয়ে দিয়েছেন বলে অভিযোগ তুললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, দেশের আর্থিক বৃদ্ধি থমকে গিয়েছে। দেশের অর্থনীতিকে ডুবিয়ে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। যতই বলুন, ৫০ দিন পরও এই সঙ্কট দূর হবে না। কিছুই পরিবর্তন হবে না আগামী দিনের।
তাঁর অভিযোগ, ক্যাশলেশ করতে গিয়ে একেবারে ফেসলেস হয়ে গিয়েছেন মোদীজি। ব্যাঙ্কের প্রতি আস্থা টলে গিয়েছে মানুষের। ভেঙে পড়েছে ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থা। মানুষের মৌলিক অধিকারে হস্তক্ষেপ করা হয়েছে। সরকারের কোনও নিয়ন্ত্রণ নেই। যা মর্জি, কেন্দ্রীয় সরকার তাই করে বেড়াচ্ছে। আর কিছু বললেই ভয় দেখাচ্ছে মোদীজির সরকার। সাংবাদিক থেকে শুরু করে বিরোধী দলের নেতা- সবাইকে ভয় দেখাচ্ছে। আসলে মোদী সরকার দুর্বল হয়ে পড়েছে। বিরোধিতা করলেই 'গব্বর সিং'-এর ভয় দেখাচ্ছে। যতদূর যেতে হয় বিরোধীরা যাবে।
এদিন মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, দেশে যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামো একেবারেই ভেঙে পড়েছে। দেশে জরুরি অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। সংসদে আলোচনা ছাড়াই এতবড় সিদ্ধান্ত নিয়ে আচ্ছে দিন আনার নামে দেশে লুঠ চালাচ্ছে মোদী সরকার। এই নোট বাতিল করে কোনও সুফল হয়নি। মানুষের দুর্ভোগের জন্য সম্পূর্ণ দায়ী কেন্দ্রীয় সরকার।
এদিন নিজের ডাকা বৈঠকে ছিলেন না সোনিয়া গান্ধী। এই বৈঠকে প্রধান মুখ ছিলেন রাহুল গান্ধী ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রথম সারির অন্য কোনও নেতা না থাকলেও আট দলের প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।
এদিন
রাহুল
বলেন,
নোট
বাতিল
একটা
বিরাট
দুর্নীতি।
৮
নভেম্বর
নোট
বাতিল
হয়েছে,
দেড়
মাসে
দুর্নীতি
ও
কালো
টাকা
নিয়ে
আদৌ
কোনও
অগ্রগতি
হয়েছে
কি?
উল্টে
নতুন
কালো
বাজার
তৈরি
হয়েছে।
এটা
একটা
গরিব
বিরোধী
সিদ্ধান্ত।
তাই
মোদী
সরকারের
জনবিরোধী
নীতির
বিরুদ্ধে
লড়াই
চলবে।