লোকসমক্ষে প্রদর্শিত হবে তিরুপতি মন্দিরের জহরত! কী বললেন এক্সিকিউটিভ অফিসার
তিরুমালা তিরুপতি দেবস্থানমস এর ইও বলেছেন, শাস্ত্র অনুমতি প্রদান করলে তাদের জহরতগুলি প্রকাশ্যে আনা হবে
তিরুমালা তিরুপতি দেবাস্থানমস (টিটিডি) এবং তাদের প্রাক্তন প্রধান পুরোহিত এভি রমন দীক্ষিতুলুর মধ্যে চলা মামলায় নয়া বাঁক। রবিবার টিটিডি-র এক্সিকিউটিভ অফিসার অনিল কুমার সিংঘল জানান, যদি আগম শাস্ত্র অনুমতি দেয় তবে তাঁরা মন্দিরের রত্নভান্ডার জনসমক্ষে প্রদর্শনের জন্য প্রস্তুত। এতে সকলের সন্দেহের নিরসন হবে বলে তিনি জানান। যদিও দীক্ষিতুলু সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়েছেন। তাঁর অভিযোগ গত ২২ বছরে মন্দির থেকে বহু মূল্যবান পাথর ও অলংকার খোয়া গিয়েছে।
সিংঘল সংবাদ মাধ্যমের সামনে এও বলেন, যদি আগম শাস্ত্র ওই অনুমতি না দেয়, তাহলে টিটিডি মন্দিরের যাবতীয় গয়না ও রত্নের ত্রিমাত্রিক ছবি ডিজিটাল পরিসরে প্রকাশ করতে পারে। সেগুলি জনসাধারণের জন্য একটি জাদুঘরে সাজিয়ে রাখা হবে। অবশ্য তিনি জানান, 'এটা আমার ব্যক্তিগত মতামত. কর্মকর্তারা এবং উচ্চ মহল এদিকটি ভেবে দেখতে পারেন।'
দিন কয়েক আগে দীক্ষিতুলু অভিযোগ করেন, টিটিডি'র যে জহরতের তালিকা আছে, সেখানে নথিভুক্ত একটি রুবির খোঁজ মিলছে না। তিনি এও জানান, জেনেভাতে নিলামে কয়েকদিন আগে ঠিক ওই রুবিটির অনুরূপ একটি জহরত নিলামে উঠেছিল। সিংঘল বলেছেন, 'টিটিডি-র কর্মচারীরা সবকিছু সুরক্ষিত রাখতে কঠোর পরিশ্রম করেন। তারপর এই ধরনের অভিযোগ উঠলে সত্যিই আঘাত লাগে।'
তিনি আরও জানান, যে রুবিটির কথা দীক্ষিতুলু বলছেন সেটি ২০০১ সালে ব্রহ্মৎসভম গরুড় সেবা চলাকালীন ভেঙে গিয়েছিল। বিচারপতি জগন্নাথ রাও-এর কমিটির এক প্রতিবেদনে বলা বয়েছিল মূল্যবান পাথরটির ভাঙ্গা টুকরোগুলি পেশকারের হেফাজতে রয়েছে। তিনি আরও বলেন, '১৯৪৫ সালে মাইশোরের মহারাজা ৫০০ কোটি মূল্যের ওই রুবিটি মন্দিরে দান করেন। এবং রুবি মূল্য রুপি করা হয়। 'তারপর তখনকার ইও, আইওয়াইআর, আর কৃষ্ণ রাও, ২০১১ সালে রাজ্য সরকারকে দেওয়া একটি রিপোর্টে জনিয়েছিলেন ঐ ভাঙা টুকরোগনলি রুবিটিরই অংশ। কোনও 'গোলাপী হীরা' নয়।
অন্যদিকে, দীক্ষিতুলু হায়দ্রাবাদে এক সাংবাদিক সম্মেলন করে অভিযোগ করেন, ১৯৯৬ সালে মিরাসি ব্যবস্থার বিলুপ্ত হওয়ার পর আর্কানদের হাত থেকে টিটিডি পর্যন্ত হাতে যায়। তারপর থেকেই, 'অলঙ্কারগুলির কোন নিরাপত্তা নেই' বলে অভিযোগ করেন তিনি। জানিয়েছেন, 'রুবিটি প্ল্যাটিনামের একটি একটি বড় চেইনে লাগানো ছিল। রেকর্ডে বলে হয়েছে গরুড় সেবা চলার সময় প্রতিমার দিকে চেনটি নিক্ষেপ করতে গিয়ে রুবিটি ভেঙ্গে যায়। এমন কি সত্যিই ঘটেছিল? তিনি প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছেন। পাশাপাশি পুরনো অলঙ্কারগুলি রেখে কেন নতুন অলঙ্কার ব্যবহার করা হয় তা নিয়েও প্রশ্ন করেছেন দীক্ষিতুলু।