'মুসলিমদের ডিটেনশন ক্যাম্পে নিয়ে গেলে গণআন্দোলন শুরু হবে', হুঙ্কার চিদাম্বরমের
সিএএ নিয়ে আসা হয়েছে যাতে ১৯ লাখের মধ্যে ১২ লাখ হিন্দুকে ভারতে নাগরিকত্ব দিয়ে রেখে দেওয়া যায়, এমন বার্তা দিয়েই ফের একবার বিজেপির বিরুদ্ধে আক্রমণ শানিয়ে নিলেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয়মন্ত্রী তথা কংগ্রেসের দুঁদে নেতা পি চিদাম্বরম। স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে তিনি ফের একবার তোপ দেগেছেন বিজেপির বিরুদ্ধে।
এনআরসি নিয়ে বক্তব্য চিদাম্বরমের
দিল্লির জহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্য়ালয় ক্যাম্পাসে বক্তব্য রাখতে গিয়ে চিদাম্বরম বলেন, এনআরসি ঢাকতেই সিএএ আনা হয়েছে। অসমে এনআরসির কবলে পড়ে যে ১৯ লাখ মানুষের তালিকা প্রকাশিত হয়েছে, তাঁদের মধ্যে থেকে ১২ লাখ হিন্দুকে আশ্রয় দিতেই এমন আইন আনা হয়েছে।
সিএএ নিয়ে সুপ্রিম বার্তার পর পরিস্থিতি কী হতে পারে?
সিএএ নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট যদি কেন্দ্রের সপক্ষে রায় দেয়, তাহলে তার পরবর্তী পদক্ষেপ কী হতে পারে? এমন একটি প্রশ্ন বৃহস্পতিবার জেএনইউ ক্যাম্পাসে উঠে আসে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী তথা দাপুটে আইনজীবী চিদাম্বরমের কাছে। আর তার জবাবে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন,' ওঁরা যদি 'এক্সক্লুডেড' দের ছুঁতে চায়.. তাহলে তাঁরা হবেন মুসলিম। এঁদের পরিচিতি খুঁজে বের করা হবে। ঘোষিত হবে যে এঁরা রাষ্ট্রের বাইরে। যদি মুসলিমদের ডিটেনশন সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হয়, তাহলে বড়সড় গণআন্দোলন হয়ে যাবে। '
কেন শাহিনবাগ যাচ্ছেন না চিদাম্বরমরা?
শাহিনবাগে সিএএ বিরোধী আন্দোলনকে বারবার সমর্থন জানিয়েছেন কংগ্রেসের নেতারা। তবে শাহিনবাগের মঞ্চে একবারও দেখা যায়নি কংগ্রেস নেতাদের। এমন অবস্থান কেন? এর উত্তরে চিদাম্বরম বলেন, কংগ্রেস নেতারা যদি শাহিনবাগের মঞ্চে ওঠেন তাহলে বিজেপির ফাঁদে পা দেওয়া হয়ে যাবে। সেক্ষেত্রে বিজেপি বলতে পারে যে এটি কংগ্রেসের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত কাজ। আর এমন পরিস্থিতি দূরে রাখতে চেয়েই কংগ্রেস শাহিনবাগের মঞ্চ থেকে দূরেল থাকছে বলে জানিয়েছেন বর্ষীয়ান নেতা।
কেন্দ্রীয় সরকারের পদক্ষেপে ক্ষোভ
বিজেপির নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকারের নাগরিকত্ব বিষয়ক প্রতিটি পদক্ষেপেই কার্যত ক্ষুব্ধ পি চিদাম্বরম। তাঁর দাবি, যেকোনও প্রকারেই ২০২৪ সালের আগে এনপিআরকে রুখতে হবে। অন্যদিকে , সিএএ যাতে সরকার তুলে নেয় তার জন্যও বড়সড় রাজনৈতিক প্রতিবাদে নামতে হবে।