১৯৪৭ এ মোদী ক্ষমতায় থাকলে কার্তারপুর ভারতে থাকত, বললেন অমিত শাহ
১৯৪৭ এ মোদী ক্ষমতায় থাকলে কার্তারপুর ভারতে থাকত, বললেন অমিত শাহ
আর এক সপ্তাহও বাকি নেই। আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি থেকেই শুরু হতে চলেছে পঞ্জাব বিধানসভা নির্বাচন। রাজ্য রাজনীতি তো বটেই, জাতীয় রাজনীতির পরিপ্রেক্ষিতেও যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ হতে চলেছে এই নির্বাচন। তার ঠিক আগেই শিখ আবেগ উস্কে দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। বললেন, 'স্বাধীনতার সময় নরেন্দ্র মোদী প্রধানমন্ত্রী থাকলে কর্তারপুর সাহিব, নানকানা সাহিব ভারতের অন্তর্গত হত।'
শিখদের ধর্মীয় আবেগের জায়গা কার্তারপুর সাহিব
শিখ সম্প্রদায়ের মানুষদের কাছে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ এই দুই তীর্থস্থান। কর্তারপুর সাহিবেই প্রাণ ত্যাগ করেছিলেন গুরু নানক দেব। নানকানা সাহিবে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। দেশভাগের পর এই দুই তীর্থস্থানই পাকিস্তানের অন্তর্গত। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একটা বড় অংশের মতে, যেহেতু আর কিছুদিনের মধ্যেই পঞ্জাবে বিধানসভা নির্বাচন৷ কংগ্রেসকে গদিচ্যুত করার লড়াইতে নামতে চলেছে গেরুয়া শিবির। সেই লড়াইয়ের আগে শিখ আবেগ উস্কে দিচ্ছেন অমিত শাহ। পঞ্জাবের ফিরোজপুরে একটি নির্বাচনী প্রচারে অমিত শাহ বলেন, 'নরেন্দ্র মোদীই শিখদের দাবি পূরণ করেছেন। বহুদিন ধরেই দাবি উঠেছিল, মোদী কর্তারপুর সাহিব করিডোর খুলে দিয়েছেন। যদি ভারতের স্বাধীনতা লাভের সময় নরেন্দ্র মোদী প্রধানমন্ত্রী থাকতেন, কর্তারপুর সাহিব এবং নানকানা সাহিব ভারতের অন্তর্গত হত, পাকিস্তানের কাছে যেত না।'
কার্তারপুরকে নির্বাচনী ইস্যু করতে চাইছে বিজেপি
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালেই কর্তারপুর সাহিব করিডোরের উদ্বোধন করা হয়। এই চার কিমির করিডোরে কোনওরকম ভিসা ছাড়াই তীর্থযাত্রীরা গুরুদ্বারা দরবার সাহিব দর্শন করতে পারেন। বহুদিন ধরেই এই করিডোর চালু করার দাবি তুলছিলেন শিখ সম্প্রদায়ের মানুষরা। এদিন নির্বাচনী প্রচারে এই ইস্যুতেই কংগ্রেসকে বিঁধলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তাঁর মতে, এই দুই তীর্থস্থান ভারতের আওতায় না রাখতে পেরে পাপ করেছে কংগ্রেস। ১৯৬৫ এবং ১৯৭১ সালের যুদ্ধের সময় সুযোগ ছিল এই দুই তীর্থস্থানকে ভারতের অন্তর্গত করা। সেই সুযোগও আমরা হারিয়েছি।'
পাঞ্জাবে নেশা সমস্যা নিয়েও আক্রমণ শাহের
বহু বছর ধরেই নেশা সমস্যা পঞ্জাবের অন্যতম চিন্তার কারণ। এদিন নির্বাচনী প্রচারে সেই নিয়েও প্রতিশ্রুতি দেন শাহ। বলেন, 'আমি এখানে পঞ্জাবের মায়েদের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে সন্ধির প্রতিশ্রুতি দিতে এসেছি। আপনাদের বাড়ির যুবকরা নেশা করতে পারবে না। আমরা পঞ্জাবকে নেশামুক্ত রাজ্য গড়ে তুলব। অকালি দল এই কাজ করতে পেরেছে? কংগ্রেস পেরেছে এই কাজ করতে? কেজরিওয়াল, যিনি নিজেই গোটা দিল্লিকে মদে ডুবিয়ে রেখেছেন, তিনিও পারবেন না। আমরা এই কাজ করে দেখাব৷'
মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ, মমতাকে রাজভবনে তলব ধনখড়ের