ধোনি থাকলে ২০০৩ বিশ্বকাপ ভারতের হত, সৌরভের বিস্ফোরক মত আত্মজীবনিতে
মহেন্দ্র সিং ধোনি যদি ২০০৩ সালে বিশ্বকাপে থাকলে ফল অন্যরকম হতে পারত, নিজের আত্মজীবনি 'এ সেঞ্চুরি ইজ নট এনাফ' -এ সিক্রেট আউট।
সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের আত্মজীবনি 'এ সেঞ্চুরি ইজ নট এনাফ'। ফের উল্টোবে বিতর্কের পাতা। ফের সামনে চলে আসতে ভারতীয় ক্রিকেট অন্দরমহলের বিভিন্ন না জানা কথা। টিজার হিসেবে ইতিমধ্যেই একটি -দুটি উদাহরণ চলে এসেছে। এবার এল ধোনিকে নিয়ে টিজার।
ভারতীয় ক্রিকেটের সর্বকালীন সেরা অধিনায়কদের মধ্যে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। মূলত তিনিই খুঁজে এনেছিলেন মহেন্দ্র সিং ধোনিকে। ৯০ -র দশকে ভারতীয় ক্রিকেটে বেটিং স্ক্যান্ডাল যখন সবকিছুকে কালিমায় ডুবিয়ে দিয়েছে, ঠিক তখনই সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ভারতীয় দলের নেতৃত্বের ব্যাটন তুলে নিয়েছিলেন। শুধু নিজে পারফর্ম করেননি ভারতীয় ক্রিকেটকে আবার স্বমহিমায় প্রতিষ্ঠা করেছিলেন তিনি।
এবার ব্যাট ছেড়ে কলম ধরে সৌরভ সেই সব রুক্ষ পথে হেঁটে সোনালি আলোর সন্ধানের কথা লিখেছেন 'এ সেঞ্চুরি ইজ নট এনাফ' বইয়ে। সৌরভ বলেছেন, 'আমি বহু বছর ধরেই এরকম প্লেয়ার খুঁজি যাঁরা চাপের মুখেও পারফর্ম করতে পারেন একই সঙ্গে ম্যাচের গতিপথও পরিবর্তন করার ক্ষমতা রাখেন। ' এরপর সৌরভ আরও বলেছেন , 'মহেন্দ্র সিং ধোনিকে আমি ২০০৪ সালে দেখি, আমি যেরকম খুঁজি ঠিক সেরকমই। ও প্রথম দিন থেকেই আমাকে মুগ্ধ করেছে। '
এছাড়াও আরও মারাত্মক কথা বলেছেন সৌরভ। তাঁরই নেতৃত্বাধীনে ২০০৩ সালে ভারত বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠেছিল। কিন্তু অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে সেই ম্যাচে হেরে গিয়েছিল ভারতীয় দল। এটা সর্বজনবিদিত যে সেই আক্ষেপ আজও কুড়ে কুড়ে খায় মহারাজকে। তবে বইয়ের পাতায় দাদা যে কথা লিখেছেন তা সত্যিই চমকে দিয়েছে সকলকে। দাদার মতে ধোনি যদি ওই সময় দলে থাকতেন তাহলে ফলাফল অন্যরকম হতে পারত।
দাদার মতে, 'সত্যি ধোনি যদি ২০০৩ সালে আমার দলে থাকত, আমরা যখন ২০০৩ বিশ্বকাপ খেলছি ও তখনও ভারতীয় রেলের টিকিট কালেক্টর। সত্যিই অবিশ্বাস্য। '
পাশাপাশি মহারাজ নিজের বইয়ে এও লিখেছেন তিনি খুশি যে তিনি সঠিকভাবে মহেন্দ্র সিং ধোনিকে চিনেছিলেন। ধোনি অধিনায়ক হওয়ার পরও সৌরভকে দলের নেতৃত্ব দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন সেই কথাও জানিয়েছেন দাদা। তিনি ধোনির এই দারুণ ব্যবহারে মুগ্ধও হয়েছিলেন। প্রথমবারে না বললেও দ্বিতীয়বারে না করতে পারেননি তিনি।