গুজরাতি, পাঞ্জাবিরা ভারতীয় হলে, বাঙালিদের নিয়ে প্রশ্ন কেন! প্রশ্ন অসমের প্রৌঢ়ের
সাধারণ মানুষ কেন দেশভাগের যন্ত্রণা ভোগ করবেন দশকের পর দশক পরেও। এমনটাই প্রশ্ন করেছেন, এনআরসির ছটি শুনানিতে অংশ নেওয়া অসমেরগুয়াহাটির বাসিন্দা বছর ৭০-এর প্রাণতোষ রায়ের।
সাধারণ মানুষ কেন দেশভাগের যন্ত্রণা ভোগ করবেন দশকের পর দশক পরেও। এমনটাই প্রশ্ন করেছেন, এনআরসির ছটি শুনানিতে অংশ নেওয়া অসমের গুয়াহাটির বাসিন্দা বছর ৭০-এর প্রাণতোষ রায়ের। একটি সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমে এই সংক্রান্ত তথ্য প্রকাশিত হয়েছে। আগেই এনআরসি থেকে প্রায় ৪০ লক্ষ মানুষের নাম বাদ পড়েছে। শুধু প্রাণতোষ বাবুই নন, এরকম আরও অনেকের ভাগ্য সুতোয় ঝুলে রয়েছে।
প্রাণতোষ রায় বলেছেন, স্বাধীনতার পর তারা ভারতের নাগরিক হয়েছেন। তবে কেন এই হয়রানি। এটা শুধু ৪০ বা ৫০ লক্ষ মানুষের কথা নয়। তাঁর আরও প্রশ্ন যদি গুজরাটি কিংবা পাঞ্জাবিদের ভারতবাসী হিসেবে গণ্য করা হয়, তাহলে কেন বাঙালিদের নাগরিকত্ব নিয়ে প্রশ্ন তোলা হচ্ছে। প্রশ্ন করেছেন তিনি।
প্রাণতোষ রায় জানিয়েছেন, তাঁর ঠাকুরদার জন্ম নদিয়ার কৃষ্ণনগরে। প্রায় শতক আগে ত্রিপুরার ব্রাহ্মণবেড়িয়ায় চলে যান তাঁরা। তাঁর বড়ভাই অসমে চলে যান ১৯৫১ সালে। তিনি গুয়াহাটি যান ১৯৬০ সালে। দেশে জরুরি অবস্থার সময়ের একটি ছবিও তিবি সকলের সামনে তুলে ধরেছেন। সেখানে দেখা দিয়েছে তাঁর সঙ্গে অসমের বর্তমান মুখ্য সর্বানন্দ সোনওয়ালকেও।
তিনি
বলেছেন,
তিনি
ভারত
মাতায়
এবং
মা
কামাক্ষায়
বিশ্বাস
করেন।
সেখানে
কোনও
অন্যায়
হতে
পারে
না।
বলেছেন
তিনি।
তবে
তিনি
নিশ্চিত
এনআরসির
চূড়ান্ত
তালিকায়
তাঁর
নাম
থাকবে।
১৯৭০-এ অল অসম স্টুডেন্টস ইউনিয়ন তথা আশুর জেলা সভাপতির দায়িত্বও পালন করেছেন তিনি। আশু নেতা সমুজ্জল ভট্টাচার্য বলেছেন, প্রকৃত ভারতবাসীদের পাশে তারা রয়েছেন।
প্রাণতোষ রায়ের মতো কামরূপের ভালুকাবাড়ির মানিক আলি ২০১৯-এর ১৫ মে থেকে চারটি শুনানিতে অংশ নিয়েছেন। অপেক্ষায় রয়েছেন, এনআরসির চূড়ান্ত তালিকার জন্য।