
বাজারের মধ্যে শক্তিশালী আইইডি বিস্ফোরণের ষড়যন্ত্র! প্রজাতন্ত্র দিবসের আগেই ফাঁস নাশকতার ছক
প্রজাতন্ত্র দিবসের আগে বড়সড় নাশকতার ছক! আর সেই ভেস্তে দিল দিল্লি পুলিশ। গাজিপুর ফুল মার্কেটের মধ্যে থেকে উদ্ধার শক্তিশালী আইইডি। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। পুরো এলাকা ঘিরে রাখা হয়েছে। জানা যাচ্ছে, ইতিমধ্যে শক্তিশালী ওই বিস্ফোরকটি উদ্ধার করা হয়েছে।

ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। আর কোথাও এমন বিস্ফোরক লুকিয়ে রাখা হয়েছে কিনা সে বিষয়ে তল্লাশি চালানো হচ্ছে।
জানা গিয়েছে, দিল্লির গাজিপুরে একটি ব্যাগকে (Unattended Bag) পড়ে থাকাকে কেন্দ্র করে আতঙ্ক ছড়ায় স্থানীয় মানুষের মধ্যে। ব্যাগের মালিকের খোঁজ চালানো হলেও তা পাওয়া যায়নি। এরপরেই স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনকে এই বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হয়। দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে এলাকা খালি করে দেওয়া হয়।
ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকল এবং বম্ব স্কোয়াডের Bomb Disposal Squad) আধিকারিকরা। দিল্লি পুলিশ (Delhi Police) কমিশনার (Police Commissioner Rakesh Asthana) জানিয়েছেন রাকেশ আস্থানা জানিয়েছেন, ব্যাগ থেকে উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন বিস্ফোরক (IED) পাওয়া গিয়েছে।
ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় এনএসজি'র আধিকারিকরাও। আর সেটিকে কন্ট্রোল্ড ব্লাস্ট করানো হয়। ঘটনার পরেই দিল্লিতে অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। সমস্ত জায়গাতে সতর্কতাও বাড়ানো হয়েছে। একই সঙ্গে নজরদারিও বাড়ানো হয়েছে পুলিশের তরফে। জানা গিয়েছে, আগামী কয়েকদিন পরেই ২৬ জানুয়ারি।
প্রজাতন্ত্র দিবসের জন্যে এমনিতেই দিল্লিতে সতর্কতা বাড়ানো হয়েছে। এছাড়াও করোনার কারণে একাধিক বিধি নিষেধ রয়েছে। আর এর মধ্যেই এই ঘটনা প্রশ্নের মুখে দিল্লির নিরাপত্তা।
উল্লেখ্য, জঙ্গিরা হামলা চালাতে পারে। বিধানসভা নির্বাচন এবং প্রজাতন্ত্র দিবসকে সামনে রেখেই এই হামলা চালাতে পারে জঙ্গিরা। ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, জনবহুল এলাকা, মল সহ বিভিন্ন এলাকা জঙ্গিদের টার্গেট হতে পারে। এমনকি জঙ্গিদের টার্গেট হতে পারে নাগপুরে আরএসএসের অফিসও।
এই মর্মে তদন্তকারী সংস্থা দেশের একাধিক রাজ্যকে সতর্ক করে। সমস্ত জায়গাতে সিকিউরিটি হাই করতে বলা হয়। আর এর মধ্যে এই উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন এই বিস্ফোরক উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। ইতিমধ্যে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে দিল্লি পুলিশ। মামলা রুজু করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা।
বাজারের বিভিন্ন অংশে লাগানো সিসিটিভি ক্যামেরা দেখা হচ্ছে। জেরা করা হচ্ছে স্থানীয় লোকজনকে। পুলিশের প্রাথমিক ধারনা, বড়সড় নাশকতা চালাতেই জনবহুল ফুল মার্কেটে ওই বিস্ফোরক রাখা হয়েছিল।
অন্যদিকে এনএসজির তরফেও বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। এমনটাই জানা যাচ্ছে।