৫ বিচারপতির প্রচেষ্টায় অযোধ্যা মামলার নিষ্পত্তি হয়েছে! জেনে নিন তাঁদের পরিচয়
অযোধ্যয় জমি বিবাদ শতাব্দী প্রাচীন। যার নিষ্পত্তি হচ্ছে শনিবার। এই মামলার নিষ্পত্তির পিছনে প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ ছাড়াও যে পাঁচ বিচারপতি রয়েছেন তাঁদের ভূমিকাও যথেষ্টই উল্লেখযোগ্য।
অযোধ্যয় জমি বিবাদ শতাব্দী প্রাচীন। যার নিষ্পত্তি হয়েছে শনিবার। এই মামলার নিষ্পত্তির পিছনে প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ ছাড়াও যে চারজন বিচারপতি রয়েছেন তাঁদের ভূমিকাও যথেষ্টই উল্লেখযোগ্য। মামলার সংবেদনশীলতা বিচার করে ইতিমধ্যেই এই পাঁচ বিচারপতির নিরাপত্তা বহুগুণ বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। ১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর অযোধ্যার বিতর্কিত জমিতে থাকা বাবরি মসজিদ ধ্বংস হয়েছিল।
প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ
প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ অসমের বাসিন্দা। উত্তরপূর্ব থেকে তিনিই প্রথম দেশের বিচার ব্যবস্থার সর্বোচ্চ আসনে বসেন ২০১৮-র অক্টোবরে। ১৯৭৮ সালে বারে নাম লেখান তিনি। গুয়াহাটি হাইকোর্টে তিনি প্র্যাকটিস করতেন। ২০০১-এর ২৮ ফেব্রুয়ারি সেখানকার স্থায়ী বিচারপতি হন। সেখানথেকে তাঁকে পঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্টে বদলি করে দেওয়া হয়। সেখানকার প্রধান বিচারপতি হওয়ার পর ২০১২-র এপ্রিলে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি করা হয় তাঁকে। কর্মজীবনে যুগান্তকারী রায়দানের মধ্যে অযোধ্যা ছাড়াও রয়েছে এনআরসি নিয়ে রায়। ১৭ নবেম্বর তিনি পদ থেকে অবসর নেবেন।
বিচারপতি এসএ ববদে
বিচারপতি শারদ অরবিন্দ ববদে প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ অবসর নেওয়ার পর প্রধান বিচারপতির আসনে বসবেন। ২০০০ সালে বম্বে হাইকোর্টে অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে যএাগ দিয়েছিলেন। দুবছর পরে তাঁকে মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছিল। মহারাষ্ট্রে জন্ম নেওয়া এই বিচারপতি ২০১৩-র এপ্রিলে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হিসেবে যোগ দেন। প্রধান বিচারপতির পদে তাঁর কার্যকালের মেয়াদ হবে ১৮ মাস। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছিলেন, অযোধ্যা মামলা বিশ্বের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ।
বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়
বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের বাবা দেশের সবথেকে বেশি সময় থাকা প্রধান বিচারপতি। ডিওয়াই চন্দ্রচূড় সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হিসেবে যোগ দেন ২০১৬ সালে। এর আগে তিনি বম্বে হাইকোর্ট এবং এলাহাবাদ হাইকোর্টের বিচারপতি পদে কাজ করেছেন। তিনি হাবার্ড থেকে আইন পাশ করেছিলেন। তিনি মুম্বই বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পারেটিভ কনস্টিটিউশনাল ল এবং আমেরিকার ওকলাহামা ইউনিভার্সিটি অফ ল -এর অধ্যাপনাও করেন।
বিচারপতি অশোকভূষণ
১৯৭৯ সালে এলাহাবাদ হাইকোর্টে আইনজীবী হিসেবে কাজ শুরু করেন বিচারপতি অশোকভূষণ। সেখানে ২০০১-এ বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছিল তাঁকে। ২০১৪ সালে তাঁকে কেরল হাইকোর্টে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। এর কয়েকমাস পরে ২০১৫-র মাপর্চে তিনি সেখানকার প্রধান বিচারপতি হিসেবেই কাজ করেছেন। ২০১৬-র ১৩ মে তাঁকে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছিল।
বিচারপতি আব্দুল নাজির
১৯৮৩ সালে বিচারপতি আব্দুল নাজির আইনজীবী হিসেবে নিজের নাম নথিভুক্ত করেন কর্নাটক হাইকোর্টে। সেখানে ২০ বছর কাজ চালানোর পর ২০০৩-এর ফেব্রুয়ারিতে অতিরিক্ত বিচারপতির দায়িত্ব পান। সেই বছরেই স্থায়ী বিচারপতির দায়িত্বও পেয়েছিলেন। ২০১৭-র অগাস্টে তাঁকে সুপ্রিম কোর্টে বিচারপতি নিয়োগ করা হয়। ২০১৭-র অগাস্টে তিনি তৎকালীন প্রধান বিচারপতির সঙ্গে তিন তালাক বিরোধী রায় দিয়েছিলেন।