আরও হাজার কোটির কেলেঙ্কারি ফাঁস, আইসিআইসিআই-অ্যাক্সিসেও মোদী-মেহুলের জাল
তদন্তকারীদের জেরার মুখে নীরব মোদী ও গীতাঞ্জলি গ্রুপ অফ কোম্পানির বিরুদ্ধে এই সাংঘাতিক অভিযোগ আনেন দুই ব্যাঙ্কের আধিকারিক।
এবার হিরে ব্যবসায়ী নীরব মোদীর বিরুদ্ধে ঋণখেলাপির অভিযোগে সরব হলেন আইসিআইসিআই ও অ্যাক্সিস ব্যাঙ্কের আধিকারিকরাও। দুই বেসরকারি ব্যাঙ্কের আধিকারিককে জেরা করে এক হাজার কোটির জালিয়াতির সন্ধান পেয়েছে দুর্নীতি দমন শাখা। এসএফআইও দুই ব্যাঙ্কের আধিকারিককে তলব করেছিল মঙ্গলবার। সেইমতো বুধবার তদন্তকারীদের জেরার মুখে নীরব মোদী ও গীতাঞ্জলি গ্রুপ অফ কোম্পানির বিরুদ্ধে এই সাংঘাতিক অভিযোগ আনেন দুই ব্যাঙ্কের আধিকারিক।
তদন্তকারীদের কাছে আইসিআইসিআই ব্যাঙ্কের কার্যনির্বাহী আধিকারিক এন এস কান্নান ও এক্সিস ব্যাঙ্কের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর ভি শ্রীনিবাসন জানান, ঋণখেলাপি টাকা উদ্ধারের কোনও পন্থা তাঁরা দেখতে পাননি নীরব মোদী ও মেহুর চোকসির কাছ থেকে। উল্লেখ্য, ৮০০ কোটি টাকার ঋণ দেওয়া হয়েছিল আইসিআইসিআই ব্যাঙ্ক থেকে। ২০০ কোটি টাকা ঋণ দেওয়া হয়েছিল অ্যাক্সিস ব্যাঙ্ক থেকে।
কান্নান বলেন, নীরব মোদীকে দেওয়া এই ঋণের কোনও কাগজপত্র ছিল না, কোনও চিঠিও ইস্যু করেনি ব্যাঙ্ক। নীরব মোদী ও গীতাঞ্জলি গ্রুপ অফ কোম্পানির ভাবমূর্তিও খতিয়ে দেখা হয়নি। কার্যত তারা স্বীকার করে নেন নীরব মোদী ও মেহুল চোকসিকে ওই বিপুল অঙ্কের টাকা ঋণ পাইয়ে দেওয়ার কথা। দুই ব্যাঙ্ক আধিকারিকই বলেন, তাঁরা ওই ঋণ শোধের কোনও সম্ভাবনাই দেখতে পাননি।
এসএফআইও মঙ্গলবার তলব করেছিল আইসিআইসিআই ব্যাঙ্কের প্রধান চন্দা কোচার ও অ্যাক্সিস ব্যাঙ্কের শিখা শর্মাকে। তাঁরা না আসতে পারলে প্রতিনিধি পাঠানোর কথাও জানানো হয়েছিল। সেইমতো দুই ব্যাঙ্কের প্রতিনিধি হিসেব আইসিআইসিআই ব্যাঙ্কের কার্যনির্বাহী আধিকারিক এন এস কান্নান ও এক্সিস ব্যাঙ্কের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর ভি শ্রীনিবাসন এসএফআইও-র তদন্তকারীদের মুখোমুখি হয়েছিলেন।