মোদী সরকারের কাশ্মীর সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে চরম পদক্ষেপ আইএএস অফিসারের
সরকারি পদে থেকে সরকারের বিরোধিতা করা যায় না। সেকারণে নিজের চাকরি ছেড়েই সরকারের কাশ্মীর সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানালেন দাদরা নগর হাভেলির আইএএস অফিসার কান্নান গোপীনাথন(৩৩)।
সরকারি পদে থেকে সরকারের বিরোধিতা করা যায় না। সেকারণে নিজের চাকরি ছেড়েই সরকারের কাশ্মীর সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানালেন দাদরা নগর হাভেলির আইএএস অফিসার কান্নান গোপীনাথন(৩৩)। ইস্তফার যাবতীয কাগজপত্র জমা দিযে কান্নান জানিয়েছেন, মোদী সরকারের এই সিদ্ধান্তে কাশ্মীরের বাসিন্দাদের মৌলিক স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করা হয়েছে। অত্যন্ত সংকটজনক পরিস্থিতিতে রয়েছেন উপত্যকার বাসিন্দারা। প্রায় এক মাস হতে চলল তাঁরা জরুরি অবস্থা আর করা নজরদারির মধ্যে রয়েছেন।
কিন্তু তিনি চাকরি ছাড়লেই কী কাশ্মীরের মানুষদের অবস্থা ফিরবে? এমনটা যে হবে না সেটা তিনি নিজেই বলেছেন। তবে সকলেরই প্রতিবাদের ভাষা ভিন্ন। এই চাকরি ছাড়ার মধ্যেই তিনি তাঁর প্রতিবাদের ভাষা খঁুজে পেয়েছেন বলে জনিয়েছেন কান্নান। গত ২১ অগস্ট তিনি চাকরি থেকে ইস্তফা দেন।
[আরও পড়ুন:শেষযাত্রায় অরুণ জেটলি, দেখুন ফটো গ্যালারী]
কাশ্মীরের প্রাক্তন আইএএস অফিসার শাহ ফয়জনকে যেভাবে বিমানবন্দরে আটক করে শ্রীনগরে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল এবং সেখানে তাঁকে গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছে। সেই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন কান্নান। তিনি জানিয়েছেন শাহ ফয়জলের ঘটনাই চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয় কাশ্মীরিদের অবস্থা কতটা খারাপ।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য দাদরা ও নগর হাভেলি-র ধুঁকতে থাকা সরকারি বৈদ্যুৎ প্রকল্পগুলিকে তিনিই লাভের মুখ দেখতে যথেষ্ট সাহায্য করেছিলেন। কেরলের বন্যা ত্রাণে দুর্গতদের সাহায্যের জন্য একাই ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন তিনি। সেই খবর সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছিল। তারপরেই গোটা দেশে কান্নানের পৃথক পরিচিতি গড়ে ওঠে। ব্যক্তিগত ভাবে তিনি একাধিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত। চাকরি ছেড়ে তিনি সেখানেই পুরো দমে কাজ শুরু করবেন কিনা এখনও জানাননি।