কর্ণাটকের আইএএস অফিসার হত্যারহস্য : আত্মহত্যার তত্ত্ব মানতে নারাজ স্বজনরা
বেঙ্গালুরু, ১৭ মার্চ : "ভগবান বললেও বিশ্বাস করব না যে ও আত্মহত্যা করেছে।" ঠিক এই মনোভাবই পোষণ করছেন কোলার জেলার আইএএস অফিসার ডিকে রবির স্বজনরা।
কর্ণাটকের কোলার জেলার আইএএস অফিসার ডিকে রবির (৩৫) মৃতদেহ তাঁর সরকারি বাসভবন থেকে গতকাল সন্ধ্য়াবেলা উদ্ধার হয়। অভিযোগ, রবি নাকি আত্মহত্যা করেছেন।
বালি মাফিয়াদের লাগাতার হুমকি, রাজনৈতিক চাপ উপেক্ষা করে দিনের পর দিন অসম লড়াইটা চালিয়ে গিয়েছিলেন কোলার জেলার আইএএস অফিসার ডিকে রবি। তিনি কর্ণাটকের অ্যাডিশনাল কমিশনার অফ কমার্শিয়াল ট্যাক্সেস (এনফোর্সমেন্ট)-এর দায়িত্বে ছিলেন।
ঘটনার প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ কমিশনার এম এন রেড্ডি সাংবাদিকদের জানান "প্রাথমিক তদন্তে মনে হচ্ছে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যাই করেছেন রবি।" এই কথাটাই যেন বিশ্বাস করতে পারছেন না রবির আত্মীয়-স্বজনরা।
২০০৯ ব্যাচের আইপিএস অফিসার রবির প্রথম পোস্টিং ছিল কোলারেই। সেখানে কমার্শিয়াল ট্যাক্স ডিপার্টমেন্টের অ্যাডিশনাল কমিশনারের পদে ছিলেন তিনি। পরে ডেপুটি কমিশনারের পদে পদোন্নতি হয় তাঁর।
রবির
মৃত্যু
রহস্য
সমাধানে
বেঙ্গালুরু
পুলিশ
তিন
সদস্যের
স্পেশাল
ইনভেস্টিগেশান
টিম
(সিট)
গঠন
করেছে।
দুপুর
পর্যন্ত
অফিসে
পৌছাঁননি
জেনে
তাঁর
স্ত্রী
বারবার
রবিকে
ফোন
করতে
থাকেন।
কিন্তু
ফোনের
উত্তর
না
পাওয়ায়
দুপুরেই
রবির
অফিসের
কয়েকজন
আধিকারিক
ওনার
স্ত্রীর
সঙ্গে
রবির
আবাসনে
যান।
ভিতর
থেকে
কোনও
সারা
না
পেয়ে
ডুপ্লিকেট
চাবি
দিয়ে
অ্যাপার্টমেন্টের
দরজা
খোলেন
তাঁর
স্ত্রী।
ঘরের
ঢুকেই
সকলে
দেখেন,
ফ্যানের
সঙ্গে
ফাঁস
দিয়ে
রবির
দেহ
ঝুলছে।
রবির
মৃতদেহের
পাশে
কোনও
সুইসাইড
নোট
পাওয়া
যায়নি।
কোলারের ডেপুটি কমিশনার থাকার সময় বালি মাফিয়াদের সঙ্গে তীব্র বিরোধ বাঁধে আইএএস অফিসার রবির। মাফিয়াদের অত্যাচারে অতিষ্ট সাধারণ মানুষের কাছের লোক হয়ে ওঠেন তিনি।