পাকিস্তানে ভারতীয় পাইলট বন্দির ফিল্ম-কাহিনি মিলে গেল এয়ারমার্শল-পুত্র অভিনন্দনের সঙ্গে
পাকিস্তানে ভারতীয় পাইলটের বন্দি হওয়ার ফিল্ম-কাহিনি মিলে গেল ছেলে অভিনন্দনের সঙ্গে! এয়ার মার্শলের পরিবারে অভাবনীয় ঘটনা
'আমি আপনাকে বলতে বাধ্য নই', ..ঠিক এই সুরেই পাকিস্তানি সেনা অফিসারদের একাধিক প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন বায়ুসেনার উইং কামান্ডার আভিনন্দন বর্তমান। পাকিস্তানের কব্জায় থেকে সেদেশের সেনার হাতে বন্দি হয়েও , চোখে মুখে রক্ত নিয়েও এতটুকু ভাঁটা পড়েনি তাঁর সাহস কিম্বা দাপটে! আর এখানেই তিনি প্রমাণ করেছেন তিনি ভারতীয় বায়ুসেনার উইংকমান্ডার। প্রমাণ করেছেন তিনি এক এয়ারমার্শালের পুত্র। যে এয়ার মার্শাল সীমাকুট্টি বর্তমানের কাছে একবার ফিল্ম পরিচালক মনিরত্নম গিয়ে হাজির হয়েছিলেন। প্রসঙ্গ ছিল তাঁর ছবি 'কাতরু ভেলিএইদার' এ এক ভারতীয় বায়ুসেনা অফিসারের কাহিনি তিনি তুলে ধরতে চান, আর সেই বিষয়ে এয়ার মার্শাল সীমাকুট্টির পরামর্শ প্রয়োজন। কে জানত , সেই কাহিনি সকলের অজান্তে বাস্তবে ঘটে যাবে খোদ এয়ার মার্শালের ছেলের সঙ্গেই!
সীমাকুট্টি বর্তমান ও অভিনন্দন বর্তমান
মেঘালয়ের শিলং এর মেঘ-ছায়ার পাহাড়ের থেকে অনেক দূর সমুদ্র ঘেরা চেন্নাই। কিন্তু এই দুটি জায়গার অন্যতম যোগসূত্র এয়ার মার্শাল সীমাকুট্টি বর্তমান। যিনি মেঘালয়ে বায়ুসেনার ইস্টার্নকমান্ডের একজন দাপুটে অফিসার ছিলেন। শুধু তাই নয় , ১৯৯৯ সালের কার্গিল যুদ্ধের সময়ও তিনি বহুবার খবরের শিরোনামে আসেন। আর আজ তাঁরই সন্তান উইং কমান্ডার অভিনন্দন পাকিস্তানের কব্জায়। এমন এক পরিস্থিতিতে পিতা পুত্রের সম্পর্কের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে এক অদ্ভুত কাহিনি!
'কাতরু ভেলিএইদার' ফিল্ম
এক ভারতীয় বায়ুসেনা অফিসার , যাঁকে বন্দি করে ফেলে পাকিস্তানি সেনা। তারপর থেকে দেশ থেকে বহুদূরে পাকিস্তানিদের অত্যাচারের সঙ্গে লড়াই শুরু হয় ওই বন্দি ভারতীয় পাইলটের। ঘটনা যেন হুবহু মিলে যাচ্ছে উইং কমান্ডার অভিনন্দন বর্তমানের পরিস্থিতির সঙ্গে। উল্লেখ্য, সিনেমার পর্দায় কয়েক বছর আগেই এই কাহিনি তুলে ধরেছিলেন প্রখ্যাত পরিচালক মনিরত্নম। ফিল্মের নাম 'কাতরু ভেলিএইদার'। যে ফিল্মের গল্পের জন্য পরিচালক যোগাযোগ করেছিলেন এয়ার মার্শাল সীমাকুট্টি বর্তমানের সঙ্গে। কে জানত তখনের সেই কাহিনিই বাস্তবের মাটিতে ঘটতে চলেছে!
এয়ার মার্শাল সীমাকুট্টি
অভিনন্দন বর্তমানের বাবা এয়ার মার্শাল সীমাকুট্টি বর্তমান শুধু ১৯৯৯ এর কার্গিল যুদ্ধের অন্যতম নায়কই ছিলেন না , আজও তাঁকে মনে করে কুর্ণিশ জানায় বায়ুসেনার ইস্টার্ন কমান্ড। একটা সময় গোয়ালিয়ারের এয়ারবেসের অপরেশন অফিসার হিসাবেও তিনি কর্মরত ছিলেন।
ফিল্মের কাহিনির শেষে কী ঘটেছিল ?
মনিরত্নমের ফিল্ম 'কাতরু ভেলিএইদার'এ দেখা গিয়েছিল বহু লড়াইয়ের পর পাক জেল থেকে বেরিয়ে ঘুরপথে ভারতে ঢুকে গিয়েছিলেন সেই বায়ুসেনা অফিসার। আর উইং কমান্ডারকে ঘরে ফিরে পেতে ১৩০ কোটির দেশও সেই প্রার্থনাই করছে। গোটা দেশ চাইছে সুস্থভাবে ঘরে ফিরে আসুন উউং কমান্ডার।
[আরও পড়ুন: পাকিস্তানের হাতে বন্দি ছেলে অভিনন্দন! দেশবাসীর প্রার্থনায় মুগ্ধ বাবা ]