স্ত্রীয়ের সঙ্গে সম্পর্ক, সহকর্মীকে মেরে ১৬ টুকরো করে প্যাকেটে ভরল বায়ুসেনা কর্মী
স্ত্রীয়ের সঙ্গে বায়ুসেনা কর্পোরালের সম্পর্কের কথা জানার পর তা সহ্য করতে না পেরে সহকর্মীকে নৃশংসভাবে খুন করলেন এক বায়ুসেনা কর্মী।
ভাটিন্ডা, ২২ ফেব্রুয়ারি : স্ত্রীয়ের সঙ্গে বায়ুসেনা কর্পোরালের সম্পর্কের কথা জানার পর তা সহ্য করতে না পেরে সহকর্মীকে নৃশংসভাবে খুন করলেন এক বায়ুসেনা কর্মী। ঘটনাটি ঘটেছে পাঞ্জাবের ভাটিন্ডার কাছে ভিসিয়ানা বায়ুসেনা ছাউনিতে। খুন করার পর মৃতের দেহকে ১৬টি টুকরো করে তা প্লাস্টিকের প্যাকেটে ভরে রাখে হত্যাকারী।[গান গাইতে গাইতে ইলেকট্রিক আয়রনের তার জড়িয়ে মাকে শ্বাসরোধ করে খুন!]
মৃতের নাম বিপিন শুক্ল। বয়স ২৭। উত্তরপ্রদেশের গণ্ডায় এয়ার ফোর্স ওয়ার্ভস ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন ক্যান্টিন-এর কর্পোরাল ছিলেন তিনি। বর্তমানে তিনি ভিসিয়ানা বায়ুসেনা ছাউনিতে কর্মরত ছিলেন।[মৃত শিশুপুত্রকে কোমরে বেঁধে গলায় ওড়নার ফাঁস লাগিয়ে সিলিং ফ্যান থেকে ঝুলছে মা!]
রিপোর্ট অনুযায়ী, সার্জেন্ট সুলেশ কুমার, তাঁর স্ত্রী অনুরাধা পটেল এবং শ্যালক শশী ভূষণ ৮ ফেব্রুয়ারি রাতে শুক্লকে খুন করে। উল্লেখ্য এই সুলেশ কুমারও উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা। গত মঙ্গলবার এই সুলেশ কুমারের বাড়ি থেকে নিখোঁজ বায়ুসেনা কর্পোরাল বিপিন শুক্লর মৃতদেহের টুকরো প্লাস্টিকের ব্যাগ থেকে উদ্ধার করে পাঞ্জাব পুলিশ।[আতঙ্কের ১ ঘন্টা দিল্লির আবাসনে, বাবাকে ৩৬ বার কুপিয়ে খুন, প্রতিবেশীর ফ্ল্যাটে বিস্ফোরণ ব্যক্তির]
সুলেশ কুমার ও তার স্ত্রী অনুরাধাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। যদিও শশী ভূষণ ঘটনার পর থেকে পলাতক। শশী ভূষণ মার্চেন্ট নেভিতে কাজ করত বলে জানা গিয়েছে।
গত ৯ ফেব্রুয়ারি বাল্লুয়ানা থানায় শুক্লর নিখোঁজ ডায়েরি করেন তার স্ত্রী কুমকুম। পুলিশের তরফে জানানো হয়, এরপরই তদন্ত শুরু করা হয়। স্নিফার ডগের সাহায্যে শুক্লর মৃতদেহর টুকরো উদ্ধার করে পুলিশ।
সুলেশ কুমারের বাড়ির আলমারি ও রেফ্রিজারেটরে ১৬টি প্যাকেটে শুক্লর দেহের টুকরো উদ্ধার করে পুলিশ।
বিপিন শুক্ল ২০১৪ সালে ভিসিয়ানা বায়ুসেনা ছাউনিতে কাজে যোগ দেন। বিয়ে হয়ে গেলেও স্ত্রী তখন তার সঙ্গে থাকতেন না। সেই সময়ই অনুরাধার সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে শুক্ল।
পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, বিপিন শুক্লর সঙ্গ সম্পর্কের জেরে গর্ভবতী হন অনুরাধা। এরপর সে শুক্লকে বিয়ে করার কথা বললে শুক্ল তা অস্বীকার করেন। এরপর এই সম্পর্কের কথা সবাইকে জানিয়ে দেবেন বলে হুমকিও দেন। এরপরই প্রতিহিংসার জেরে বিপিন শুক্লকে ভাই ও স্বামীর সঙ্গে মিলে খুন করার ছক কষে।
৮ ফেব্রুয়ারি রাতে সাহায্যের জন্য বাড়িতে বিপিন শুক্লকে ডাকে সুলেশ। সেখানেই কুড়ুলের সাহায্যে কুপিয়ে শুক্লকে সে খুন করে। তারপর একটি বাক্সে ভরে নতুন অফিস কোয়ার্টারে নিয়ে যায়। ১৯ ফেব্রুয়ারি ছুরি দিয়ে মৃতদেহটির শরীরের ১৬টি টুকরো করে তা আলাদা আলাদা প্যাকেটে ভরে সে।
অভিযুক্তর বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।