মিগ, সুখোই, মিরাজের আধুনিকীকরণের জন্য বরাত ডাকল বায়ুসেনা
এএন-৩২ বিমানের একের পর এক দুর্ঘটনা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে বায়ুসেনার বিমানের আধুনিকীকরণের প্রয়োজন।
এএন-৩২ বিমানের একের পর এক দুর্ঘটনা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে বায়ুসেনার বিমানের আধুনিকীকরণের প্রয়োজন। সেকথা যে কতটা সত্যি সেটা প্রকাশ্যে এলো এই বরাত ডাকা নিয়ে। মিগ-২১, সুখোই-৩০, মিরাজ-২০০০ সহ একাধিক যুদ্ধ বিমানের আধুনিকীকরণ ভীষণ ভাবে জরুরি। সেটা এতোদিনে বুঝতে পেরেছে বায়ুসেনা। সেকারণেই বরাত ডাকা হয়েেছ। এই তিন রকমের বিমানের আধুনিকী করণের জন্য বরাত ডাকা হয়েছে।
যদিও প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফ থেকে এই নিয়ে কোনও তথ্য জানানো হয়নি। তবে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন অরুণাচল প্রদেশে এএন-৩২ ভেঙে পড়ার পরেই বিমানগুলির অবস্থা নিয়ে ভাবনা চিন্তা শুরু করে বায়ু সেনা। বিশেষজ্ঞদের দাবি বায়ুসেনার যেসব পণ্য পরিবহণ বিমান রয়েছে সেগুলি একেবারেই দেখাশোনা করা হয়না। অত্যন্ত অবহেলায় পড়ে রয়েছে সেগুলি। সেকারণেই বিমানগুলির আধুনিকীকরণের উপর এখন গুরুত্ব দিতে শুরু করেছে বায়ুসেনা।
শুধু বিমান আধুনিকীকরণই নয় বায়ুসেনা আরও অত্যাধুনিক বিমান কিনতে চলেছে। রাশিয়ার কাছ থেকে ১৮টি অত্যাধুনিক সুখোই যুদ্ধবিমান কেনার সিদ্ধান্ত হয়েছে। রাশিয়ার ফেডারেল সার্ভিস ফর মিলিটারি টেকনিকাল কো অপরেশনের ডেপুিট ডিরেক্টর ভ্লাদিমির ড্রোজহোজভ জানিয়েছেন, ভারত ১৮টি সুখোই-৩০, এমকেআই কাইটস এবং ২০টিরও বেশি অত্যাধুনিক মিগ-২৯ যুদ্ধ বিমান কেনার প্রস্তাব দিয়েছে।
এরই মধ্যে আবার রাফাল স্কোয়াড্রোন তৈরির প্রস্তুতি শুরু হয়ে হিয়েছে হরিয়ানার আম্বালা এবং পশ্চিমবঙ্গে হাসিমপুর বায়ুসেনা ঘাঁটিতে রাফাল স্কোয়াড্রন তৈরি করা হচ্ছে। আম্বালার ঘাঁটিতে এখন কোবরা স্কোয়ার্ড্রন রয়েছে। রাফাল চলে এলে সেই কোবরা স্কোয়ার্ড্রনকে রাজস্থােনর নাল বায়ুসেনা ঘঁাটিতে সরিয়ে আনা হবে।