গুজরাত দাঙ্গায় চুপ থাকিনি, তবুও কেউ সত্যিটা বোঝেনি, বলছেন নরেন্দ্র মোদী
এশিয়ান নিউজ ইন্টারন্যাশনালকে একটি সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, "দাঙ্গার সময় আমি চুপ থাকিনি। ২০০২ থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত অনেক বড় বড় সাংবাদিক আমার সাক্ষাৎকার নিয়েছেন। আমি উত্তর দিয়েছি। কিন্তু দেখেছি, সত্যি কথা কেউ বুঝতে চাননি। আমার যা বলার ছিল, আমি বলেছি। এখন জনগণের আদালতে এসেছি। মানুষের কথা শোনার অপেক্ষায় রয়েছি। তাদের রায় শিরোধার্য।" হাস্যচ্ছলে তিনি বলেন, "মিডিয়া মোদীকে কলঙ্কিত না করলে আজ মোদীকে কে চিনত?"
কিছুদিন আগে অরবিন্দ কেজরিওয়াল বলেছিলেন, নরেন্দ্র মোদী দেশের প্রধানমন্ত্রী হলে খবরের কাগজের সম্পাদকরা পালিয়ে যাবেন। নরেন্দ্র মোদীর পাল্টা প্রশ্ন, "গত ১৪ বছর ধরে গুজরাতে সরকার চালাচ্ছে বিজেপি। আমি জিজ্ঞেস করছি, কতজন সম্পাদক, সাংবাদিক পালিয়েছেন?"
বিজেপি-র প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী নরেন্দ্র মোদী আরও বলেন, সুপ্রিম কোর্ট নিযুক্ত স্পেশ্যাল ইনভেস্টিগেশন টিম তদন্তে তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করেনি। শীর্ষ আদালতও এই তদন্তে সন্তোষ ব্যক্ত করেছে। তা হলে বারবার কেন ২০০২ সালের গুজরাত দাঙ্গা নিয়ে আঙুল তোলা হচ্ছে তাঁর বিরুদ্ধে।
"মিডিয়া মোদীকে কলঙ্কিত না করলে আজ মোদীকে কে চিনত"
এদিকে,
যে
দিন
নরেন্দ্র
মোদী
লোকসভা
ভোটের
মনোনয়নপত্র
জমা
দিতে
যাবেন,
সেই
দিন
কে
কে
থাকবে
তাঁর
সঙ্গে,
এটা
নিয়ে
জল্পনা
তুঙ্গে
উঠেছে।
১২
মে
ভোট
হবে
বারাণসী
লোকসভা
আসনে।
এখানে
নরেন্দ্র
মোদীর
বিরুদ্ধে
প্রার্থী
হয়েছেন
আম
আদমি
পার্টির
অরবিন্দ
কেজরিওয়াল
আর
কংগ্রেসের
অজয়
রাই।
১৭-২৪
এপ্রিল
এখানে
মনোনয়নপত্র
জমা
দেওয়ার
সময়।
নিয়ম
অনুযায়ী,
নরেন্দ্র
মোদীর
নাম
মনোনয়নপত্রে
দু'জন
কর্তৃক
প্রস্তাবিত
হতে
হবে।
এই
দু'জন
যে
কেউ
হতে
পারে।
বরোদা থেকেও ভোটে দাঁড়িয়েছেন নরেন্দ্র মোদী। সেখানে মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময় বরোদা রাজপরিবারের একজন সদস্য ও একজন চাওয়ালাকে সঙ্গে নিয়ে গিয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদী। ফলে বারাণসীতে চাওয়ালারা মনে করছেন, যে কোনও একজনের ভাগ্যে শিকে ছিঁড়বে। কিন্তু কে হবে সেই সৌভাগ্যবান, তা নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে উঠেছে।
বরোদার ঘটনা থেকে অনুমান, নরেন্দ্র মোদী কাশীর মহারাজা অনন্তনারায়ণ সিংকে সঙ্গে করে নিয়ে যাবেন। স্থানীয় বিজেপি নেতারা বলছেন, চাওয়ালা শুধু নয়, পান বিক্রেতা বা কোনও মুসলিমকে নিয়ে যেতে পারেন নরেন্দ্র মোদী।