'আমার মায়ের জন্মস্থান জানি না!', এনপিআর বিরোধিতায় বিস্ফোরক মন্তব্য নীতীশ কুমারের
'আমার মায়ের জন্মস্থান জানি না!', এনপিআর বিরোধিতায় বিস্ফোরক মন্তব্য নীতীশের
সিএএ নিয়ে কেন্দ্রকে সমর্থন করে নিজের দলের অনেক নেতার কাছে সমালোচিত হয়েছেন জেডিইউ নেতা নীতীশ কুমার। তবে সিএএ-কে সমর্থনের অবস্থানে অনড় থেকেছেন তিনি। তবে এনআরসি ও এনপিআর নিয়ে প্রথম থেকেই বিজেপির অবস্থানের বিরোধিতা করে এসেছেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী। এবার এনপিআর নিয়ে আবারও সরকারের কাছে আবেদন রাখলেন ডেডিউ প্রধান।
'পিতামাতার জন্মস্থানের তথ্যের যৌক্তিকতা নেই'
জেডিইউ-র কর্মীদের এক বৈঠকের পরে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, 'জাতীয় জনসংখ্যা নিবন্ধের (এনপিআর) নতুন কলামগুলি পিতামাতার জন্মের স্থান এবং আধার সংখ্যার তথ্য রাখার যৌক্তিক নয়। সেগুলি প্রয়োজনীয় নয়। লোকেরা আশঙ্কা করছে যে তারা এগুলি খালি রেখে দিলে এনআরসি বাস্তবায়িত হলে তাদের বিরুদ্ধে এটি প্রয়োগ করা হতে পারে।' তিনি বলেন, 'চলমান আদমশুমারিটি বর্ণ ভিত্তিক। ১৯৩১ সালের আদমশুমারির পরে ধর্মীয় সংখ্যালঘু, এসসি ও এসটিগুলি ব্যতীত সামাজিক বিভাগগুলির জনসংখ্যার নতুন অনুমান পাওয়া যায়নি।'
এনপিআর-এর ফর্ম নিয়ে প্রশ্ন
তবে তিনি প্রশ্ন করেন, 'কেন সবসময় এনপিআর ফর্মগুলিতে লোকদের তাদের পিতামাতার জন্মের জায়গাগুলি জানাতে হবে? আমি তো নিজেই আমার মা কোথায় জন্মগ্রহণ করেছিলেন তা জানি না। এছাড়াও ফর্মগুলিতে আধার নম্বর চাওয়ার কী লাভ? এগুলি ইতিমধ্যে সরকারি রেকর্ডে রয়েছে।'
'কোনও শক্তি ভারতকে বিভক্ত করতে পারে না'
এদিকে গতকাল বিহার থেকে শরজিল খানকে গ্রেফতার করার বিষয়ে নীতীশ কুমারকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, 'যে কোনও বিষয়ে মতামত থাকা অন্য জিনিস। তবে কেউ যদি ভারতকে বিচ্ছেদ করার সম্পর্কে কথা বলে তবে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না? পৃথিবীর কোনও শক্তিই ভারতকে বিভক্ত করতে পারে না।'
সিএএ বিরোধী বিক্ষোভ নিয়ে সতর্কবার্তা
তিনি আইনটির বিরুদ্ধে খুব বেশি আন্দোলনের বিরুদ্ধে সতর্কও করেন। বলেন, 'বিষয়টি সুপ্রিম কোর্টের বাচারাধীন। আইনটি সংবিধান লঙ্ঘন করছে কিনা তা খতিয়ে দেখবে তারা। এবং সেই ভিত্তিতে শীর্ষ আদালত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে। মতামত থাকা এবং এগুলি প্রকাশ করা ভালো। তবে অবশ্যই পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও সম্প্রীতি থাকতে হবে।'