'আমি রাহুল গান্ধী, রাহুল সাভারকর নই যে ক্ষমা চাইব!', আক্রমণ বিজেপিকে
ক্ষমা চাইব না। স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন রাহুল গান্ধী। দিল্লির রামলীলা ময়দানে চলছে কংগ্রেসের সরকার বিরোধী সভা। সেখানেই বক্তৃতা রাখার সময় এই কথা বলেন কংগ্রেসের এই প্রাক্তন সভাপতি। পাশাপাশি সরকার তথা বিজেপি তোপ দেগে তিনি বলেন, 'আমি রাহুল গান্ধী, রাহুল সাভারকার নই। আমি ক্ষমা চাইব না।'
রাহুলের কোন মন্তব্যে বিতর্ক?
প্রসঙ্গত, ১২ ডিসেম্বর ঝাড়খণ্ডের গোড্ডাতে এক নির্বাচনী সভায় গিয়ে রাহুল গান্ধী দেশে ধর্ষণের ঘটনা বেড়ে যাওয়ার প্রতিবাদে ভাষণ রাখেন। কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী মোদী সরকারকে কটাক্ষ করে বলেছিলেন, "প্রধানমন্ত্রী মোদী ' মেক ইন ইন্ডিয়া' নিয়ে কথা বলছেন। তবে সংবাদপত্রের শিরোনামে আমরা কেবল ভারতে ধর্ষণ দেখি। আজ বিজেপি শাসিত প্রতিটি রাজ্যে ধর্ষণের ঘটনা ঘটছে। উন্নাওতে বিজেপির একজন বিধায়কের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ করা হয়েছে। ভুক্তভোগীর গাড়িতে হামলা করা হয়েছিল পর্যন্ত এবং তবুও প্রধানমন্ত্রী এ নিয়ে কোনও কথা বলেননি।"
রাহুলকে ক্ষমা চাইতে বলে সংসদ উত্তাল করেন বিজেপি সাংসদরা
এরপর এই ঘটনা নিয়ে উত্তাল হয় সংসদ। রাহুল গান্ধীর মন্তব্যের জন্য তাঁকে ক্ষমা চাইতে হবে দাবি তুলে সংসদ অচল করে দেন বিজেপি সাংসদরা। রাহুলের বিরুদ্ধে আক্রমণ শাণিয়ে বক্তব্য রাখেন স্মৃতী ইরানি ও লকেট চট্টোপাধ্যায়। দেশের মহিলাদের অসম্মান করার জন্য ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানান তাঁরা। গান্ধী ক্ষমা চাইতে অস্বীকার করায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানির নেতৃত্বে বিজেপির মহিলা বিধায়করা সরব হন রাহুলের বিরুদ্ধে। তিনি বলেন, রাহুল গান্ধী ভারতীয় পুরুষ ও মহিলা সবাইকে অপমান করেছেন।
ক্ষমা না চেয়ে মোদীকে পাল্টা তোপ রাহুলের
এদিকে সংসদে এই ঘটনার পর রাহুল গান্ধী ক্ষমা চাইবেন না বলে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করেন রাহুল। এর পর রাহুল গান্ধী বলেন, ' আমার কাছে একটি পুরনো ক্লিপ রয়েছে ভিডিওর, যেখানে মোদীজি দিল্লিকে 'রেপ ক্যাপিটাল ' বলছেন। এবার শুধু টুইটারে সেটা আপলোডের অপেক্ষা।'
বিজেপিকে আক্রমণ প্রিয়াঙ্কা ও চিদাম্বরমেরও
আজ দিল্লির ভআরত বাঁচাও মঞ্চে কংগ্রেসের তাবড় নেতারা ভাষণ রাখেন। যার মধ্যে রয়েছেন রাহুল গান্ধী ছাড়াও প্রিয়াঙ্কা গান্ধী, প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী পি চিদাম্বরম। প্রিয়াঙ্কা গান্ধী একাধারে বিজেপি সরকারের আর্থিক নীতির সমালোচনা করে মোদীকে কটাক্ষ করেন। একই সুরে কথা বলে চিদাম্বরম অভিযোগ করেন যে বিগত ছয় মাসেই দেশএর অর্থনীতির ১২টা বাজিয়ে দিয়েছে মোদী সরকার।