
'ধর্ষণের দোষীদের দেখার জন্য ভাগ্যিস আমার মেয়ে বেঁচে নেই'! আর্তনাদ নির্ভয়ার মায়ের
৭ বছর কেটে গিয়েছে রাজধানী দিল্লির বুকে নির্মম এক ধর্ষণকাণ্ডের। ২০১২ সালের ১৬ ডিসেম্বরের রাতে দিল্লি দেখেছিল এক নারকীয় গণধর্ষণের ঘটনা। গোটা দেশ ফুঁসে উঠেছিল সেই ঘটনার প্রতিবাদে। এরপর বহুবার নির্ভয়া গণধর্ষণ কাণ্ডে ৬ জন দোষীকে শাস্তির জোরালো দাবি করে বিভিন্ন মহল। ঘটনায় নাবালক এক অভিযুক্ত মুক্তি পেয়ে যায় । আর জেলবন্দি আরও এক অভিযুক্তের মৃত্যু হয় জেলে। এরপর আজ সপ্তম বর্ষে পা দিল নির্ভয়ার গণধর্ষণের ঘটনাক বার্ষিকী। আর নির্যাতিতার মা এদিনও ক্ষোভে , আর্তনাদে আইন লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন।

চোখে জল নিয়ে ধর্ষিতার মায়ের আর্জি
নির্ভয়াকাণ্ডে পরশু দোষীদের নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে প্রাণভিক্ষার শুনানি রয়েছে। এদিকে, নির্যাতিতা মা তার আগের দিন এক টিভি সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, 'আমি ধৈর্যের সঙ্গে লড়াই করেছি গত সাত বছর। কিন্তু পরিস্থিতি ২০১২ সালের মতোই। আমি ন্যায়ের জন্য বারবার আবেদন করেছি। আর আমিই নিজেই যেন প্রশ্ন হয়ে উঠেছি।'

দোষীদের আদালতে দেখেই কেমন মনে হত নির্ভয়ার মায়ের?
সাক্ষাৎকারে নির্ভয়ার মা বলেন, 'আমি যখন দোষীদের কোর্টে দেখি, তখন আমি খুশি হই। ভাবি আমার মেয়ে ভাগ্যিস বেঁচে নেই যাতে এই দোষীদের মুখ দেখতে হয়। আমি প্রত্যেকটা দিন মরে যাই একবার করে যখনই এই ধর্ষণের দোষীদের দেখি।'

'কী ভুল করেছিল আমার মেয়ে'
৭ বছর ধরে এই প্রশ্নের জবাব পাননিন আশা দেবী। নির্ভয়ার মা আজও প্রশ্ন তোলেন যে, কি ভুল করেছিল তাঁর সন্তান।যার জন্য এমন নারকীয় শাস্তি তাঁকে পেতে হয়েছে? তিনি বলেন, 'কেন সরকার বা সমাজ এর একটা সমাধান বের করতে পারেনি? আর কতদিন মেয়েরা পুড়বে, আর আমরা ন্যায়ের দিকে তাকিয়ে থাকব? '

১৮ তারিখ নির্ভয়া মামলা
প্রসঙ্গত, আগামী ১৮ ডিসেম্বর নির্ভয়া মামলায় দোষীদের প্রাণভিক্ষার মামলার শুনানি রয়েছে। এদিকে, এই ঘটনায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে বিশেষ অ্যাডভাইসারি পাঠানো হয়েছে রাষ্ট্রপতির কাছে। প্রসঙ্গত, ৪ দোষীকেই আপাতত মৃত্যুদণ্ডে
র সাজা শোনানো হয়েছে। আর তার প্রেক্ষিতেই প্রাণ ভিক্ষার আর্জির মামলা রয়েছে সুপ্রিম কোর্টে।
নাগরিকত্ব নিয়ে বিক্ষোভ, দক্ষিণ-পূর্ব রেলের ক্ষতি কয়েক কোটি টাকার
এনআরসি, সিএএ-র বিরুদ্ধে শপথ নিয়ে পদযাত্রা শুরু মমতার, পরের ২ দিনে আরও ২ পদযাত্রা