সীমান্তে প্রাণ দিয়েছে ছেলে, সন্তান হারানোর শোক বুকে চেপেই গর্বের কথা শোনালন শহিদ জওয়ানের মা
সন্তান হারানোর শোক বুকে চেপেই গর্বের কথা শোনালন শহিদ জওয়ানের মা
দেশ রক্ষা করে প্রকৃত বীরের পরিচয় দিয়েছে ছেলে। সন্তান হারানোর শোকের মধ্যেও গর্বিত মা। লাদাখ সীমান্তে গালওয়াল উপত্যকায় চিনা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে প্রাণ হারিয়েছেন কর্নেল সন্তোষ বাবু। ১৬ বিহার রেজিমেন্টের কমান্ডিং অফিসার ছিলেন তিনি। তাঁর সঙ্গে শহিদ হয়েছেন আরও ১৯ জন জওয়ান।
গর্বিত শহিদ সন্তানের মা
দেশের জন্য প্রাণ দিয়েছে ছেলে। তাই শোককে ছাপিয়ে গিয়েছে গর্ব। দেশ সেবায় নিয়োজিত ছিলেন কর্নেল সন্তোষ বাবু। একমাত্র সন্তান ছিলেন সন্তোষ। কর্নেলের স্ত্রী এবং দুই সন্তান রয়েছে। এক জনের বয়স ৯ বছর এবং দ্বিয় সন্তানের বয়স মাত্র ৪ বছর। মঙ্গলবার বিকেলে যখন ছেলের মৃত্যু সংবাদ পেয়েছিলেন তখন তাঁর কাছে যেন থমকে গিয়েছিল গোটা পৃথিবী। সন্তোষের বাবা বিশ্বাসই করতে পারছিলেন না ছেলের মৃত্যুর খবর।
সেনাবাহিনীতে যোগ দিতে চেয়েছিল ছেলে
শহিদ কর্নেল সন্তোষের মা জানিয়েছেন, শৈশব থেকেও সেনাবাহিনীতে যোগ দেওয়ার প্রবল ইচ্ছে ছিল তাঁর। ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে তিনি সৈনিক স্কুলে পড়াশোনা শুরু করেছিলেন। সন্তোষের বাবারও সেনাবাহিনীতে যোগ দেওার বাসনা ছিল কিন্তু সেটা তিনি পূরণ করতে পারেননি। তাই ছেলে স্বপ্ন পূরণ করুক সেটাই চেয়েছিলেন তিনি।
রবিবার রাতে শেষ কথা
কর্নেল সন্তেষের সঙ্গে কথা হয়েছিল পরিবারের। লাদাখ সীমান্তের উত্তেজনার কথা জানিয়েছিলেন সন্তোষ। পরিবারের লোকেরা তাঁকে সাবধানে থাকতে বলেছিলেন। তারপরেই শুরু হয় সংঘর্ষ। এবং শহিদ হন কর্নেল সন্তোষ।
শহিদ আরও ১৯ জওয়ান
লাদাখ সীমান্তের গালওয়ান উপত্যকায় চিনা বাহিনীর সংঘর্ষে আরও ১৯ জওয়ান শহিদ হয়েছে বলে জানিয়েছে কেন্দ্র। পাল্টা প্রতিঘাতে চিেনর ৪৩ জন জওয়ান হতাহত হয়েছেন। তবে এখন আর সেখানে কোনও উত্তেজনা নেই। দুই দেশের বাহিনীই তাঁদের পুরনো অবস্থানে ফিরে গিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।