করোনা ভাইরাসের প্রভাব হ্রাস করতে ব্যর্থ হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইন, দাবি নতুন সমীক্ষায়
করোনা ভাইরাসের প্রভাব হ্রাস করতে ব্যর্থ হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইন, দাবি নতুন সমীক্ষায়
বিশ্বে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বাড়ছে, কিন্তু মিলছে না কোনও সুরাহা। এক–একটি দেশ এই নিয়ে গবেষণা চালিয়ে গেলেও সেভাবে কোনও দেশই এ বিষয়ে আশার আলো দেখাতে পারছে না। বেশ কিছুদিন ধরে গোটা বিশ্বে এটা শোনা যাচ্ছিল যে অ্যান্টি–ম্যালেরিয়া ড্রাগ হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইন করোনা ভাইরাসের রোগীর চিকিৎসায় কার্যকর ও এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়ায়। এই ওষুধকে অনেক দেশের সরকারই সমর্থন করেছে। তবে সম্প্রতি এক সমীক্ষায় জানা গিয়েছে যে এই ওষুধটি রোগীর দেহে করোনা ভাইরাসের প্রভাব হ্রাস করতে নাও পারে।
হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইন করোনা রোগীকে পুরোপুরি সুস্থ করে না
এই সমীক্ষা প্রকাশের আগে চিনের সাংঘাই জিয়াও টঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা কোভিড-১৯-এ আক্রান্ত ১৫০ জন রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি করেন এবং তাদের দুটি ভাগে ভাগ করেন। ৭৫ জনের একটি গ্রুপকে দেওয়া হয় নিয়মিত যত্নের সঙ্গে হাউড্রোক্সিক্লোরোকুইন (এইচসিকিউ) আর বাকি ৭৫ জনকে শুধুমাত্র নিয়মিত যত্নে রাখা হয়। গবেষকরা জানিয়েছেন যে উভয় দলের রোগীকেই ১৬টি সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করিয়ে চিকিৎসা করানো হয়। এইসিকিউয়ের চিকিৎসকরা রোজ রোগীদের তিনদিন ধরে ১,২০০ মিলিগ্রাম করে ডোজ দিতেন ও বাকি দিনগুলোতে ৮০০ মিলিগ্রাম করে ডোজ দেন। চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন যে এইসিকিউ দেওয়ার ফলে কিছু ক্লিনিকাল লক্ষণগুলি হ্রাস পেতে শুরু করে, তবে কোভিড-১৯ আক্রান্ত হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের ভাইরাসের মাত্রা হ্রাস করার ক্ষেত্রে নিয়মিত যত্নের চেয়ে ভাল কিছু কাজ করতে পারেনি।
এইচসিকিউ আশা দেখাতে ব্যর্থ হল
যদিও ল্যাবের পরীক্ষাগুলি এর আগে এই বিষয়ে এইচসিকিউর জন্য আশাব্যঞ্জক ফলাফল দেখিয়েছিল, তবে বিজ্ঞানীরা বলেছেন যে তাদের বর্তমান অনুসন্ধানগুলি বিপরীত। গবেষকরা জানিয়েছেন কোভিড-১৯-এর রোগীদের মূলত সুস্থ রাখার জন্য এই ওষুধগুলি দেওয়া হয়। যদিও ওষুধগুলি প্রয়োগের পর রোগীদের শরীরে সেভাবে কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি শুধুমাত্র একজন রোগী চোখে একটু আবছা দেখছিলেন।
করোনা নিমূর্লের অন্য উপায় নিয়ে গবেষণা
কোভিড ১৯-এর মোকাবিলা করার মতো কোনও প্রতিষেধক বা ওষুধ এখনও বেরোয়নি ঠিকই। কিন্তু ১০ হাজার কম্পাউন্ডের মধ্যে ৬টি ড্রাগ ক্যান্ডিডেড বা উপাদান দিয়ে করোনা ভাইরাস নির্মূল করা যেতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। নেচার জার্নালে প্রকাশিত তাঁর এই বক্তব্যের ওপর জোর দিচ্ছেন অনেক বিজ্ঞানীই। লিউক জানাচ্ছেন এখনও অনেক পরীক্ষানিরীক্ষা বাকি। মূল প্রজেক্ট কোভিড-১৯ ভাইরাস এনজাইম, যার নাম এমপ্রো বা মেন প্রোটিস, তাকে নির্মূল করা