সম্পত্তির লোভে অত্যাচার : মেয়ের মুখে অ্যাসিড ছুঁড়ল 'সৎ মা'
হায়দ্রাবাদ, ১০ জুলাই : ১৯ বছরের প্রত্যুষা বিয়ে করতে চেয়েছিল। আর বিয়ে করলেই সে মালিক হতো সম্পত্তির। আর সেজন্যই দিনের পর দিন বাবা ও সৎ মায়ের অত্যাচার সহ্য করতে হয়েছে তাঁকে।
জানা গিয়েছে, প্রত্যুষার নিজের মা আত্মহত্যা করেন। প্রত্যুষার বাবা রমেশের সঙ্গে বিচ্ছেদ হওয়ার পরই এই ঘটনা ঘটে। ফলে প্রত্যুষার দায়িত্ব বর্তায় রমেশের ঘাড়ে। এদিকে রমেশ আবার একটি বিয়ে করে ঘরে আনে সাইকুমারী নামে এক মহিলাকে।
অভিযোগ, এই সাইকুমারীই রমেশকে উসকে দেয় এবং দুজনে মিলে প্রত্যুষার নামে থাকা সম্পত্তি হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। প্রত্যুষা যত বড় হতে থাকে, অত্যাচারের মাত্রা আরও বাড়তে থাকে কারণ ১৮ বছর পূর্ণ করার পর সে চাইলে বিয়ে করতে পারে এবং তারপরই একমাত্র প্রত্যুষা সম্পত্তির ভাগ পেতে পারে বলে ঠিক ছিল।
জানা গিয়েছে, প্রত্যুষা বিয়ে করতে চেয়েছিল এবং তাহলে সৎ মা বঞ্চিত হত সম্পত্তি থেকে। আর তাই সম্পত্তির লোভেই দিনের পর দিন বাড়িতে আটকে রেখে, খেতে না দিয়ে আত্মহত্যা করতে উসকানি দেওয়া হয়েছে প্রত্যুষাকে। এমনকী তাঁর মুখে অ্যাসিড দিয়ে তা নষ্ট করে দেওয়ার চেষ্টা করে সাইকুমারী নামে ওই সৎ মা। যাতে প্রত্যুষা বিয়ে না করতে পারে ও সম্পত্তির ভাগ না পায়।
ঘটনার খবর পেয়েই হায়দ্রাবাদের পুলিশ গিয়ে প্রত্যুষাকে উদ্ধার করেছে ও সাইকুমারী নামে ওই সৎ মা-কে গ্রেফতার করেছে। প্রত্যুষার বাবা রমেশ পলাতক। দুজনের বিরুদ্ধেই ভারতীয় দণ্ডবিধি অনুযায়ী খুনের চেষ্টা, নিগ্রহ ও অনৈতিক কাজকর্মের অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে।