২০০৮-এও একই ধাঁচে এনকাউন্টারের নেপথ্যে ছিলেন পুলিশকর্তা সজ্জনার! ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সেখানে কী ঘটেছিল
এই মুহূর্তে 'ম্যান অফ দ্য মোমেন্ট' তেলাঙ্গানার এনকাউন্টার স্পেশ্যালিস্ট ভিসি সজ্জানার। এদিন সকাল থেকে একের পর এক শিরোনাম কেড়েছেন সাইবারাবাদ পুলিশের কমিশনার ভিসি সজ্জানার।
এই মুহূর্তে 'ম্যান অফ দ্য মোমেন্ট' তেলাঙ্গানার এনকাউন্টার স্পেশ্যালিস্ট ভিসি সজ্জানার। এদিন সকাল থেকে একের পর এক শিরোনাম কেড়েছেন সাইবারাবাদ পুলিশের কমিশনার ভিসি সজ্জানার। যাঁকে গোটা হায়দরাবাদের পুলিশ চেনে এনকাউন্টার স্পেশ্যালিস্ট হিসাবে। তেলাঙ্গানা পুলিশের তরফে তাঁর সাহসিকতাকে বারবার কুর্ণিশ জানানো হয়েছে বিভিন্ন সময়ে। আর এদিন তেলাঙ্গানা গণধর্ষণকাণ্ডে সজ্জানারের কর্মকাণ্ড ফের একবার ১১ বছর আগে তাঁরই হাতে ঘটে যাওয়া আরও এক এনকাউন্টারকে মনে করিয়ে দিচ্ছে।
কী ঘটেছিল ২০০৮ সালে ওয়ারাঙ্গালে?
ওয়ারাঙ্গাল সেই সময় অন্ধ্রপ্রদেশের আওতায়। ভিসি সজ্জনার তখন অন্ধ্রপ্রদেশ পুলিশের অধীনে কর্মরত। সেই সময়ে তিনি ছিলেন সুপারিন্টেডেন্ট অফ পুলিশের পদে। ২০০৮ সালে ওয়ারাঙ্গালে একটি অ্যাসিড অ্যাটাকের ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত হন ৩ জন। আর সেই ৩ জনকেও এনকাউন্টারেই নিকেশ করা হয়। যে এনকাউন্টারের নেপথ্যে ছিলেন এই ভিসি সজ্জনার। যাঁর হাত ধরে আজ তেলাঙ্গানায় ৪ ধর্ষণ অভিযুক্তের এনকাউন্টার হয়ে গিয়েছে।
|
ওয়ারাঙ্গলের ধাঁচেই শামশাবাদের এনকাউন্টার!
প্রসঙ্গত, ২০০৮ সালে সজ্জনারের হাত ধরে ওয়ারাঙ্গালে যে এনকাউন্টার হয়, তার ঘটনা প্রক্রিয়ার সঙ্গে হুবহু মিল রয়েছে আজকের শামশাবাদের এনকাউন্টারের। ২০০৮ এর সেদিন পুলিশ জানিয়েছিল, অ্যাসিড হামলার অভিযুক্তরা তাঁদের দিকে তাজা বোমা ছুঁড়ে পালানোর চেষ্টা করেছিল। আর তাতেই পুলিশ বাধ্য হয় গুলি চালাতে। আর সেই দিনও আজকের মতোই ঘটনার পুননির্মাণের জন্য অভিযুক্তদের ঘটনাস্থলে নিয়ে যাওয়া হয়।
|
যেখানে ঘটনা ঘটে সেখানেই এনকাউন্টার
শামশাবাদের যে জায়গায় ২৬ বছরের তরুণীর গণধর্ষণের ঘটনা ঘটে, সেখানেই ঘটনার পুননির্মাণের জন্য নিয়ে যাওয়া হয় অভিযুক্তদের। পরে ঘটে যায় এনকাউন্টার। আর ২০০৮ সালেও ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে অ্যাসিড হামলার অভিযুক্তদের ধরা পড়ার পর একইভাবে ঘটনার পুননির্মাণের জন্য ঘটনাস্থলে নিয়ে যাওয়া হয়। আর তারপরই ঘটে যায় সেদিনের এনকাউন্টার।
|
কিভাবে অ্যাসিড অ্যাটাক হয় ২০০৮ এর ওয়ারাঙ্গালে?
২০০৮ সালে ওয়ারাঙ্গালে কাকতীয় ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি কলেজের ২ জন ইঞ্জিনিয়ারিং এর ছাত্রীর ওপর অ্যাসিড হামলা করা হয়। অভিযুক্ত ছিল ৩ জন। আর ৩ জনকে পুলিশ গ্রেফতার করার কয়েকদিনের মাথাতেই আসে অভিযুক্তদের এনকাউন্টারের খবর। অভিযুক্তরা তার আগে পুলিশি জেরায় জানিয়েছিল, আক্রান্ত মহিলা তার বিয়ের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় এমন কাণ্ড তারা ঘটায়।
সেদিন ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে বিতরণ করা হয় মিষ্টি
২০০৮ সালে ওয়ারাঙ্গল এনকাউন্টারের পর সেখানের ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে মিষ্টি বিতরণ করেছিলেন পড়ুয়ারা। উল্লেখ্য ওই কাকতীয় ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের ছাত্রীর এরপরেই ঘটানো হয় অ্যাসিড হামলা। এদিকে, রাতারাতি ওয়ারাঙ্গলের নায়ক হয়ে উঠেছিলেন সজ্জনার। ' এনকাউন্টার স্পেশ্যালিস্ট' হিসাবে তাঁর খ্যাতি ছড়াতে থাকে বিভিন্ন জায়গায়।
'উত্তরপ্রদেশ, দিল্লি পুলিশ এই ঘটনা থেকে অনুপ্রাণিত হোক ', তেলাঙ্গানা এনকাউন্টার নিয়ে সরব মায়াবতী