ঘরের মধ্যেই হাইব্রিড গাঁজার চাষ, শিব ভক্তিতেই নতুন ব্যবসা ফেঁদে পুলিশের জালে এমবিএ ছাত্র
ঘরের মধ্যেই শতাধিক গাঁজা গাছ, শিব ভক্তিতেই নতুন ব্যবসা ফেঁদে পুলিশের জালে এমবিএ ছাত্র
সম্প্রতি হাইড্রোপনিক মডেল ব্যবহার করে গাঁজা তৈরির অভিযোগে কর্ণাটকের রাজধানী বেঙ্গালুরু থেকে এক ৩৫ বছরের ইরানি নাগরিককে গ্রেফতার করছে পুলিশ। শহরের উপকণ্ঠে বিদাদির কাছে একটি প্রাইভেট ভিলা থেকে জাভাদ রোস্তামপুর নামের ওই বিদেশকে গ্রেফতার করা হয়। ২০১০ সালে বেঙ্গালুরুতে পড়াশোনা করতে এসেছিলেন বলে জানা যায়। বেঙ্গালুরুর কল্যাণ নগরের একটি বেসরকারি কলেজ থেকে এমবিএ-ও পাশ করেন তিনি। কিন্তু কলজে জীবন থেকেই গাঁজার প্রতি আসক্তি বাড়ে তাঁর।
৬ মাস ধরে পড়াশোনা
পরবর্তীতে নিজের উদ্যোমেই হাইব্রিড গাঁজা তৈরির ব্যবস্থা করে ফেলে এই শিব ভক্ত। গাঁজা প্রক্রিয়াকরণ নিয়ে দীর্গদিন অনলাইনে গবেষণাও করেন ওই বিদেশি যুবক। এমনকী গাঁজা নিয়ে বেশ কয়েকটি বইও পড়ে ফেলেছিলেন তিনি। কীভাবে গাঁজা তৈরি করা যায় তা জানতে ৬ মাসের বেশি সময় ঘুরে বেড়িয়েছেন দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। এমনকী লকডাউনের সময়, তিনি নিজেই গাঁজা এবং পুদিনা চাষ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন বলেও পুলিশকে জানিয়েছেন ওই যুবক।
বাড়িতেই চলত গোটা কর্মযজ্ঞ
সূত্রের খবর, বাড়িতেই গাঁজা উৎপাদনের জন্য একটি হাইড্রোপনিক মডেলও স্থাপন করেন জাভাদ। বিশেষ ভাবে তৈরি এলইডি লাইট, প্রয়োজনীয় রাসায়নিক ঘরেই নিয়ে আসেন। এমনকী এই কাজের জন্য ইউরোপ থেকে ডার্ক ওয়েবের মাধ্যমে গাঁজার বীজও অর্ডার করেছিলেন তিনি। বাড়িতেই নিরাপদ জায়গায় রোপন করেন সেই বীজ।
ঘরের মধ্যেই ১৩০টি গাঁজা গাছ
এই প্রসঙ্গে ক্রাইম ব্রাঞ্চের কর্মকর্তা সন্দীপ পাতিল জানান, রীতিমতো যত্ন সহকারে গাছগুলির রক্ষণাবেক্ষণ করত। ঘরের মধ্যেই মোট ১৩০টি চারা লাগিয়েছিল সে। তারই বন্ধুরা গ্রাহকদের হাইড্রো-হেম্প সরবরাহ করতে সাহায্য করেছিল বলেও তদন্তে নেমে জানতে পারে পুলিশ। এই হাইব্রিড গাঁজর প্রতি গ্রামের দাম প্রায় ৩ থেকে ৪ হাজার টাকার উপরে। এদিকে সম্প্রতি গাঁজা বিক্রির অপরাধে জাভাদের দুই বন্ধুকে পাকড়াও করে পুলিশ।
গ্রেফতার ৪
তাদের সূত্র ধরেই জাভাদের খোঁজ পায় পুলিশ। পরবর্তীতে তার বাড়িতে অভিযান চালিয়ে চোখ কপালে উঠে যায় পুলিশের। গোটা বাড়িই সেই সময় কার্যত ভর্তি ছিল গাঁজা গাছে। থরে থরে সাজানো ছিল গাঁজার প্যাকেট। চলছিল প্রস্তুতি প্রক্রিয়াও। গোটা বাড়িতেই যত্রতত্র লাগানো ছিল শিবের ছবি। গ্রেফতারির পর প্রত্যেকেই পুলিশি জেরায় জানায় শিবের প্রতি ভালোবাসা থেকেই নাকি তারা এই কাজের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। যদিও এই খবর সামনে আসতেই জোরদার হাসি-মশকরা শুরু হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। এদিকে এই কেসে এখনও পর্যন্ত চারজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।