বাড়ির পিলারের উদাহরণ স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কে! সম্মতিতে বাঙালি দম্পতির বিচ্ছেদ নামাঞ্জুর দিল্লি হাইকোর্টের
স্বামী-স্ত্রী (husband-wife) পরিবারের (family) দুটি স্তম্ভ (pillar)। একসঙ্গে তাঁরা পরিবারের যে কোনও পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে পারে। যে কোনও পরিস্থিতিতে পরিবারের (family) ভারসাম্য বজায় রাখতে পারে। কিন্তু যদি একটি স্তম্ভ (pillar) দুর্বল হয়ে পড়ে কিংবা ভেঙে যায়, তাহলে পুরো বাড়িই ভেঙে পড়ে। পারিবারিক আদালতের (court) আদেশের বিরুদ্ধে শুনানির সময় পর্যবেক্ষণ দিল্লি হাইকোর্টের (Delhi High Court)।

স্বামী-স্ত্রী পরিবারের স্তম্ভ
২ মে দিল্লি হাইকোর্টের আদেশে বলা হয়েছে স্বামী-স্ত্রী পরিবারের দুটি স্তম্ভ। একসঙ্গে তাঁরা যে কোনও পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে পারেন। যে কোনও পরিস্থিতিতে পরিবারে ভারসাম্য বজায় রাখতে পারেন। এর মধ্যে একটি স্তম্ভ দুর্বল হয়ে গেলে কিংবা ভেঙে গেলে পুরো বাড়িটি ভেঙে পড়ে। দিল্লি হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ হল, স্তম্ভগুলি একসঙ্গে সব আঘাত সহ্য করতে পারে। যে মুহূর্তে একটি স্তম্ভ দুর্বল হয়ে পড়ে কিংবা খারাপ হয়ে যায়, তখন বাড়িটি একসঙ্গে রাখা কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। যখন একটি স্তম্ভ ছেড়ে যায় কিংবা অন্য স্তম্ভের ওপরে বোঝা চাপিয়ে দেয়, তখন আশা করা ভুল যে একটি স্তম্ভ এক হাতে ঘরটিকে ধরে রাখবে।

বিবাহ বিচ্ছেদ মামলার শুনানি
ভারপ্রাপ্ত প্রঝান বিচারপতি বিপিন সাঙ্ঘি এবং বিচারপতি জসমিত সিং-এর ডিভিশন বেঞ্চে পারিবারিক আদালতের আদেশ বাতিলের আবেদন করেছিলেন স্বামী। হিন্দু বিবাহ আইনে ১৯৫৫-র ১৩(১)(ia) ধারায় আগেই স্ত্রী বিবাহ-বিচ্ছেদ পেয়ে গিয়েছিলেন।

মিটামাট অসম্ভব হয়ে পড়েছিল
প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, স্বামী-স্ত্রীর বিবাহিত জীবন প্রায় ২৪ বছরের। কিন্তু তাঁরা স্বামী-স্ত্রী হিসেবে একসঙ্গে কাটাননি একটা বড়ম সময়। ২০১০-এর ১৩ এপ্রিল তাদের বিচ্ছেদ হয়ে গিয়েছিল। তারপর থেকে তারা আলাদাই থাকেন।
আদালতে পরিস্থিতি তুলে ধরে বলা হয়েছিল বন্ধন ভেঙে গিয়েছে। তাদের মধ্যে সম্পর্ক এমন জায়গায় যে মিটমাট অসম্ভব হয়ে পড়েছে।

বিবাহ বিচ্ছেদ মঞ্জুর করেনি আদালত
সমর ঘোষ ও জয়া ঘোষ মামলায় আবেদনকারীর মানসিকতার কথাও তুলে ধরেছে আদালত। আবেদনকারীর আইনজীবী আদালতে ২০২১-এর ১০ অগাস্টের ডিভোর্সের ডিক্রিতে পরিবর্তনের আবেদন করেছিলেন। হিন্দু বিবাহ আইনের ১৯৫৫-র ১৩(১)(ia) ধারায় স্ত্রী আগেই বিচ্ছেদ পেয়ে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে তা ১৩বি ধারায় পারস্পরিক সম্মতির মাধ্যমে বিবাহ বিচ্ছেদের ডিক্রিতে পরিবর্তনের অনুরোধ করেছিলেন। কিন্তু স্ত্রী পারস্পরিক সম্মতিতে রাজি ছিলেন না। আদালতের তরফে বলা হয়েছে, সেই কারণে তারা পারস্পরিক সম্মতিতে বিচ্ছেদ মঞ্জুর করতে পারছেন না।