স্ত্রীর সঙ্গে তার প্রেমিকের বিয়ে দেওয়ার জন্য স্বামী বিচ্ছেদ চাইলেন আদালতে
স্ত্রীর সঙ্গে তার প্রেমিকের বিয়ে দেওয়ার জন্য স্বামী বিচ্ছেদ চাইলেন আদালতে
'হাম দিল দে চুকে সনম’ সিনেমাটার কথা নিশ্চয়ই মনে আছে। যেখানে ঐশ্বর্য রাইয়ের সঙ্গে সলমন খানের প্রেম ছিলো। কিন্তু ঐশ্বর্যর বাবা অজয় দেবগণের সঙ্গে তাঁর বিয়ে দেন। কিন্তু পরে অজয় যখন সলমন–ঐশ্বর্যর প্রেমের কথা জানতে পারেন তখন তিনি সলমনের সঙ্গে আবার ঐশ্বর্যকে মেলানোর চেষ্টা করেন। শেষে যদিও ঐশ্বর্য উপলব্ধি করেন যে তিনি অজয় দেবগণকে ভালোবেসে ফেলেছেন এবং তাঁর কাছেই ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। ১৯৯৯ সালে এই ছবিটি সকলের মন জয় করেছিল। কিন্তু সিনেমার গল্প এবার বাস্তবে রূপ নিল। মধ্যপ্রদেশ ভোপালের এক ব্যক্তি তাঁর স্ত্রীয়ের খুশির জন্য তার প্রেমিকের সঙ্গে স্ত্রীর বিয়েতে সম্মতি দেন।
ভোপালের বাসিন্দা ওই ব্যক্তি শহরের পরিবার আদালতের দ্বারস্থ হয়ে স্ত্রীর থেকে বিবাহ বিচ্ছেদের আবেদন করেন এবং জানান যে স্ত্রীর সাতবছর আগে যে প্রেমিক ছিল তাঁর সঙ্গে তিনি তাঁর স্ত্রীয়ের বিয়ে দিতে চান। মহেশ (নাম বদল করা হয়েছে) জানান যে তিনি চান তাঁর স্ত্রী সঙ্গীতা (নাম পরিবর্তন) খুশি থাকুক, এমনকী স্ত্রী যদি অন্য কারোর সঙ্গে থাকতে চায় তাতেও কোনও সমস্যা নেই মহেশের। ভোপালের কোলার এলাকার ঘটনা এটি। সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার মহেশ এবং ফ্যাশন ডিজাইনার সঙ্গীতার বিয়ে হয়েছে সাত বছর আগে এবং তাঁদের দু’টো সন্তানও রয়েছে। মহেশ এবং সঙ্গীতা দু’জনেই দাম্পত্য জীবনে খুশি ছিলেন। কিন্তু কিছু বছর আগে সঙ্গীতা জানতে পারেন যে বিয়ের আগে তাঁর যে প্রেমিক ছিলেন তিনি এখনও বিয়ে করেননি এবং সঙ্গীতার প্রতি অনুভূতি বেড়ে গিয়েছে। সঙ্গীতার বাবা তাঁর প্রেমিককে মেনে নেয়নি এবং মহেশের সঙ্গে মেয়ের বিয়ে দেন। কিন্তু বর্তমানে সঙ্গীতা তাঁর পরিবার–স্বামী ছেড়ে তাঁর প্রেমিকের কাছে ফিরে যেতে চায়। যা নিয়ে মহেশের সঙ্গে রোজই ঝগড়া হতো সঙ্গীতার।
সমস্যাটি যখন পরিবার আদালতে আসে তখন স্বামী–স্ত্রী দু’জনকেই কাউন্সেলিং–এর জন্য ডাকা হয়। যেখানে মহেশ দাবি করেন যে তিনি তাঁর স্ত্রীকে বোঝানোর চেষ্টা করেছে কিন্তু তাঁর স্ত্রী প্রেমিকের কাছে ফিরে যেতে চায়। সঙ্গীতাও জানান যে তিনি তাঁর প্রেমিকের কাছে ফিরে যেতে চাইছেন। মহেশ এরপর জানানা যে তিনি চান না এই গোটা বিষয়টি কোনওভাবেই তাঁর সন্তানের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলুক তাই বিবাহ বিচ্ছেদ করে নেওয়াই শ্রেয়।
দম্পতির কাউন্সেলার শৈল আওয়াস্তি জানিয়েছেন যে, পরবর্তী শুনানির সময়ই বোঝা যাবে যে আদৌও দম্পতির বিবাহ বিচ্ছেদ হবে কিনা। মহেশ দুই সন্তানকে নিজের কাছে রাখতে চেয়েছেন, যেটা নিয়ে আপত্তি করেননি সঙ্গীতা। কিন্তু তিনি বলেছেন যে তাঁর যখন ইচ্ছা হবে তিনি সন্তানের সঙ্গে দেখা করতে আসবেন।