ওজন শুধু ২০ কেজি ,সেই অবস্থায় বধূকে নারকীয় অত্যাচার স্বামী,শাশুড়ির! কেন জানেন
শীর্ণ দেহ, ওজন মাত্র ২০ কেজি। আর সেই অবস্থায় দিনের পর দিন শ্বশুর বাড়ির খাটাখাটনি চালিয়ে, সহ্য করে গিয়েছেন অত্যাচার।
শীর্ণ দেহ, ওজন মাত্র ২০ কেজি। আর সেই অবস্থায় দিনের পর দিন শ্বশুর বাড়ির খাটাখাটনি চালিয়ে, সহ্য করে গিয়েছেন অত্যাচার। এমন পরিস্থিতর শিকার কেরলের দুই সন্তানের মা তুষারা। যে বাড়িতে এককালে স্বপ্নসুন্দর সংসার গড়ার ইচ্ছে নিয়ে পা রেখে ছিলেন তিনি,সেই বাড়ি থেকেই বের হল তাঁর শবদেহ। এই মর্মান্তিক ঘটনা কেরলের করুণাগাপল্লীর।
খাওয়ার বলতে শ্বশুর বাড়িতে জুটত কেবল পান্তা ভাত আর চিনির জল। এই খেয়েই শ্বশুরবাড়িতে শেষ দিন পর্যন্ত কাটিয়ে দিয়েছে তুষারা। আর আধপেটা খেয়ে দিনের পর দিন স্বামী , শাশুড়ির নারকীয় অত্যাচার সহ্য করে নিত এই বধূটি। এই অত্যাচার আর খেতে না দেওয়ার একটাই কারণ, 'পণ'। পণের টাকার জন্য নিত্যদিন তুষারাকে সেই মানুষটির হাতে মার খেতে হয়েছে , যাঁর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে লিপ্ত হয়ে এক সুখের সংসার গড়ার স্বপ্ন দেখেছিল তুষারা।
এলাকার সরকারী হাসপাতালে তুষারার মত্যু হতেই , পুলিশি তদন্ত শুরু হয়। আসে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট। গোটা ঘটনার তদন্তে নেমে জানা যায়, নারকীয়তা কোন পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছিল। টানা ৫ বছর ধরে চলেছে এই নারকীয় অত্যাচার। উল্লেখ্য, বিয়ের সময় টাকা ও গয়না দেওয়ার পরও তুষারার পরিবার আরও ২ লাখ টাকা দেওয়ার কথা ছিল। সেই টাকা না দেওয়াতেই এই সমস্যা তৈরি হয়।