দিল্লির গৃহবধূ খুনের কিনারা, স্বামী যা বলল তাতে ঘৃণা ধরে যাবে
দিল্লির শালিমার বাগ এলাকায় বুধবার সকালে গাড়িতে মহিলাকে গুলি করে খুনের ঘটনায় দোষ স্বীকার করলেন তাঁরই স্বামী পঙ্কজ মেহরা। গোপনে তিনি অন্য এক মহিলাকে বিয়ে করেছিলেন এবং তার সঙ্গেই থাকতে চাইছিলেন
দিল্লির শালিমার বাগ এলাকায় বুধবার সকালে গাড়িতে মহিলাকে গুলি করে খুনের ঘটনায় দোষ স্বীকার করলেন তাঁরই স্বামী পঙ্কজ মেহরা। গোপনে তিনি অন্য এক মহিলাকে বিয়ে করেছিলেন এবং তার সঙ্গেই থাকতে চাইছিলেন বলে পুলিশের কাছে স্বীকার করেছেন নিহত প্রিয়া মেহরার স্বামী। পুলিশকে বিভ্রান্ত করতে প্রথমে অবশ্য় অন্য কথাই বলেছিলেন পঙ্কজ মেহরা।
বুধবার ভোরে দিল্লির শালিমার বাগ এলাকায় গাড়িতে বাড়ি ফেরার সময়ে গাড়ি থামিয়ে প্রিয়া মেহরা নামে ৩৪ বছরের ওই গৃহবধূকে খুন করে দুষ্কৃতীরা। প্রাথমিকভাবে স্বামী পঙ্কজ মেহরার ব্যবসায়িক শত্রুতার অনুমান করলেও পঙ্কজ মেহরাকেও সন্দেহের উর্ধে রাখেনি দিল্লি পুলিশ। পঙ্কজ মেহরা পুলিশকে জানান, এক মহাজনের কাছ থেকে ৪০ লক্ষ টাকা নিয়েছিলেন তিনি। সেই টাকা ফেরত দেওয়ার জন্যই সেই ব্যক্তি হুমকি দিচ্ছিল। সেই ব্যক্তিই লোক লাগিয়ে তাঁর ওপর হামলা চালিয়েছে।
কিন্তু তাহলে কেন একটি গুলিও পঙ্কজ মেহরার লাগল না। বরং সবকটি গুলিই প্রিয়া মেহরার লাগল কীভাবে? এই প্রশ্নই ভাবিয়ে তুলেছিল তদন্তকারীদের। এরপর পঙ্কজ মেহরাকে আরও জেরা করতেই ভেঙে পড়েন তিনি। পুলিশের কাছে স্বীকার করেন, এক অন্য মহিলাকে গোপনে বিয়ে করে তাঁর সঙ্গে থাকতে চেয়েছিলেন পঙ্কজ। তবে তারজন্য প্রিয়াকে সরানোর প্রয়োজন ছিল। তাই লোক লাগিয়ে প্রিয়াকে খুন করিয়েছেন তিনিই।
তবে আততায়ীকদের এখনও গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। এখনও উদ্ধার করা হয়নি খুনে ব্য়বহৃত আগ্নেয়াস্ত্রও। অপরদিকে প্রিয়ার বোন জানিয়েছেন, হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরও বেঁচে ছিলেন তিনি। কিন্তু অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের জেরে আধ ঘন্টা পরে মৃত্যু হয় প্রিয়ার।