একই আসন থেকে আসন্ন উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনে লড়তে চাইছেন স্বামী-স্ত্রী
একই আসনে একই পার্টির থেকে দু'জন টিকিট চাইছেন এমন ঘটনা নতুন কিছু নয়। এসব ঘটনা আখছাড় ঘটে থাকে। তা নিয়ে ঝামেলা হয়। পছন্দের আসন না পেয়ে দল ছেড়েছেন এমন অনেক ঘটনা ঘটেছে। আসন না পেয়ে দল পরিবর্তন করেছে এমন ঘটনা সবথেকে বেশি দেখেছে পশ্চিমবঙ্গ। কিন্তু স্বামী-স্ত্রী একই আসনে টিকিট চাইছেন এমন ঘটনা বিরল। এমনই ঘটনা ঘটেছে উত্তরপ্রদেশে। আর তা নিয়েই মহা সমস্যায় পড়েছে বিজেপি।
লখনৌয়ের সরোজিনগর আসন থেকে স্বামী স্ত্রী দুজনেই লড়তে চাইছেন। উত্তরপ্রদেশের মন্ত্রী স্বাতী সিং এবং তাঁর স্বামী দয়া শঙ্কর সিং যিনি উত্তরপ্রদেশ বিজেপির সহ সভাপতি তাঁরা দুজনেই ওই সরোজিনগর আসন থেকে দলের টিকিট চাইছেন। দুজনেই প্রভাবশালী। আর এ নিয়েই মহা সমস্যায় পড়েছে বিজেপি।
২০১৭ সালে এই আসন থেকেই জয়ী হয়েছিলেন স্বাতী সিং। ২০১৬ সালে বসপা নেত্রী মায়াবতীকে নিয়ে কু-কথা বলেছিলেন স্বাতীর স্বামী দয়া শঙ্কর।মায়াবতী সমর্থকরা এ নিয়ে প্রায় কোণঠাসা করে দিয়েছিল দয়ার স্ত্রী স্বাতী ও তাঁর মেয়েকে। মহিলা অপমানের নেগেটিভ পাবলিসিটির সুযোগ নিয়ে ভোটে দাঁড়িয়ে জিতে মন্ত্রিত্ব পেয়ে যান স্বাতী। এবার তাঁরা দুজনেই একই জায়গা থেকে পার্টির টিকিট চাইছেন। এসব দেখে মহা সমস্যায় পড়েছে বিজেপি। বুঝতে পারছে না কি করা উচিৎ।
তাঁরা অপেক্ষায় রয়েছেন উপর মহলের সিদ্ধান্তের দিকে। তাঁরা যা বলবেন সেটাই হবে। পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছে গিয়েছে যে এলাকায় নিজেদের নামে হোর্ডিং বসতেও শুরু করে দিয়েছেন স্বাতী ও দয়া। মানুষ হয়রান। তাঁরা বলছেন হচ্ছেটা কী?
প্রসঙ্গত দলকে যেমন জিতিয়েছেন স্বাতী তেমন, অন্য দল থেকে লোক ভাঙিয়ে বিজেপিতে আনায় সিদ্ধ হস্ত দয়া। সম্প্রতি সপা থেকে অপর্ণা যাদবকে বিজেপিতে নিয়ে আসায় তাঁর বড় ভূমিকা ছিল। সবমিলিয়ে দুই প্রভাবশালীর মধ্যে কাকে টিকিট দেওয়া যায় তা নিয়ে চিন্তায় পড়ে গিয়েছে বিজেপি।