উপত্যকায় শান্তি ফেরার আশা, সরকারের সঙ্গে আলোচনায় বসতে প্রস্তুত হুরিয়ত, জানালেন রাজ্যপাল
উপত্যকায় শান্তি ফেরার আশা জাগাল হুরিয়ত নেতারা। সরকারের সঙ্গে আলোচনায় বসতে রাজি হয়েছেন তাঁরা। শনিবার একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে একথা জানান রাজ্যপাল সত্যপাল মালিক।
উপত্যকায় শান্তি ফেরার আশা জাগাল হুরিয়ত নেতারা। সরকারের সঙ্গে আলোচনায় বসতে রাজি হয়েছেন তাঁরা। শনিবার একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে একথা জানান রাজ্যপাল সত্যপাল মালিক। অমিত শাহ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হওয়ার পর কাশ্মীরের রাজ্যপালের সঙ্গেই প্রথম বৈঠক করেছিলেন। তখন মনে করা হয়েছিল অমরনাথ যাত্রা সুনিশ্চিত করার লক্ষ্যেই এই বৈঠক। কিন্তু তলে তলে যে এই চরম কূটনৈতিক আলোচনা চলছিল সেকথা ঘুনাক্ষরেও টের পাননি কেউ। প্রকাশ্যে এলো শনিবার রাজ্যপালের বক্তব্য। ২০১৬ সালে সরকারের হয়ে আলোচনায় বসার প্রস্তাব হুরিয়ত নেতাদের কাছে নিয়ে গিয়েছিলেন রাম বিলাস পাশোয়ান। তখন হুরিয়ত নেতারা মুখের উপর দরজা বন্ধ করে দিয়েছিলেন। সেই পরিস্থিতি যে আর নেই সেটা এখন বোঝা যাচ্ছে।
কাশ্মীরের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন হুরিয়তের সঙ্গে সরকারের টানাপোড়েন নতুন কোনও ঘটনা নয়। পিডিপি-বিজেপি জোট সরকারের আমলে সেই সম্পর্ক তলানিতে এসে ঠেকেছিল। উপত্যকায় উস্কানি দেওয়ার অভিযোগে হুরিয়ত নেতাদের গৃহবন্দী করে পর্যন্ত রাখা হয়েছিল। এই টানা পোড়েনের পরেও হুরিয়ত নেতাদের আলোচনায় বসতে রাজি হওয়ার ঘটনায় নতুন করে আশার আলো দেখছেন উপত্যকার বাসিন্দারা। রাজ্যপাল এদিন বলেছেন পরিস্থিতি বদলাচ্ছে কাশ্মীরে। এটা ভাল লক্ষণ। উপত্যকার তরুণদের মূলস্রোতে ফেরাতে চায় সরকার। তা নিয়ে বহু প্রস্তাব এসেছে।
রাজ্যের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে অবস্থার অনেকটাই উন্নতি হয়েছে। একজন তরুণ যখন মারা যায় তখন তা ভালো লাগে না। পথহারা তরুণদের আমরা ফিরিয়ে আনতে চাই। এদের ফেরাতে কী ধরনের প্রচেষ্টার প্রয়োজন তা নিয়ে বহু প্রস্তাব এসেছে। কিন্তু কেউ যখন গুলি চালায় তখন পাল্টা গুলি চালাতে বাধ্য হয় সেনা। তাঁদের নিশ্চয় ফুল দেবে না বাহিনী। পরিস্থিতি বদলাচ্ছে। হুরিয়তের আলোচনায় বসতে সম্মত হওয়ার সিদ্ধান্তই সেই ইঙ্গিত দিচ্ছে।