কাশ্মীরে পাক মদতপুষ্ট সন্ত্রাসবাদ বৃদ্ধির প্রসঙ্গ এড়িয়ে যাওয়ার অভিযোগ মানবাধিকার কমিশনের বিরুদ্ধে
কাশ্মীরে পাক মদতপুষ্ট সন্ত্রাসবাদ বৃদ্ধির প্রসঙ্গ এড়িয়ে যাওয়ার অভিযোগ মানবাধিকার কমিশনের বিরুদ্ধে
'কাশ্মীরে দীর্ঘ তিরিশ বছর ধরে চলা পাকিস্তানি মদত-পুষ্ট সন্ত্রাসবাদ প্রসঙ্গ বারংবার এড়িয়ে গেছে বিশ্ব মানবাধিকার কমিশন।’ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিদেশ বিষয়ক কমিটিতে বক্তব্য রাখতে গিয়ে এমনই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করলেন কাশ্মীরের প্রখ্যাত সাংবাদিক আরতি টিকো সিং।
পাশাপাশি মঙ্গলবারের ওই বৈঠকে 'দক্ষিণ এশিয়ার মানবাধিকার' বিষয় সম্পর্কে বলতে গিয়ে বিশ্বের তাবড় তাবড় গণমাধ্যম গুলিকেও একহাত নেন ওই অভিজ্ঞ সাংবাদিক। অভিযোগের সুরে তিনি এদিন বলেন, তিরিশ বছরেরও বেশি সময় ধরে 'ইসলামিক জিহাদের’ নামে যে সন্ত্রাস উপত্যকায় চলেছে তা সম্পূর্ণভাবে জনসমক্ষেই আনেনি বিশ্বের বহুল প্রচারিত প্রচারমাধ্যম গুলি।
ওয়াশিংটনে এদিন বক্তব্য রাখার সময় কাশ্মীর প্রসঙ্গে একাধিক বিস্ফোরক তথ্য তুলে ধরেন তিনি। দেশি-বিদেশি একাধিক সংবাদমাধ্যমের সামনে তিনি বলেন, 'আমি যে মৌলিক বিষয়টিতে জোর দিতে চাইছি তা হলো, কাশ্মীরে যে সকল কাশ্মীরি মুসলিম নিহত হয়েছে তার সংখ্যা অপরিসীম। যে সন্ত্রাসবাদীরা কাশ্মীরে দীর্ঘদিন ধরে সন্ত্রাস ও গণহত্যা চালিয়েছে তাদের বাড়াবর মদত দিয়ে এসেছে পাকিস্তান। এই সকল বিষয় গুলি বিশ্ব মানবাধিকার কমিশনের কর্মীরা এবং সংবাদমাধ্যম বারংবার উপেক্ষা করে এসেছে।’ পশ্চিমি দুনিয়ার সংবাদমাধ্যমে কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে যে খবর প্রকাশ পায় তা 'কাশ্মীরের বিকৃত বাস্তবতা’ বলেও এদিন মন্তব্য করেন তিনি।
বিশ্ব মানবাধিকার কমিশনের কড়া সমালোচনা করে তিনি আরও বলেন , 'পৃথিবীতে মনে হয় কোনও মানবাধিকার কর্মী এবং সংবাদমাধ্যম নেই যারা তাদের নৈতিক মূল্যবোধের জায়গা থেকে কাশ্মীরে বেড়ে চলা পাক মদতপুষ্ঠ সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে মুখ খুলবে।"
কাশ্মীরিদের মানবাধিকার প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে এদিন তিনি আতঙ্কবাদীদের হাতে খুন হওয়া কাশ্মীরের প্রখ্যাত সাংবাদিক সুজাতা বুখারীর প্রসঙ্গও টেনে আনেন। তিনি বলেন,'ভারত-পাক সুস্থ আলোচনার মাধ্যমেই কাশ্মীর সমস্যার আশু সমাধানের পথ বের করতে চেয়েছিলেন সুজাত বুখারী, কিন্তু সেই কারণেই তাকে খুন হতে হয়।’
তাদের দীর্ঘদিনের বন্ধুত্বের স্মৃতিচারণা করে তিনি আরও বলেন, 'সুজাত বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন শহরের গিয়েই মানুষকে বোঝানোর চেষ্টা করছেন কেন সুষ্ঠু আলোচনার মাধ্যমে দ্রুত কাশ্মীরে শান্তির ফেরানোর প্রয়োজন রয়েছে। কিন্তু এদিকে ২০১৮ সালের ১৪ই জুন তাকে অফিসের সামনেই খুন হতে হয় লস্কর-ই-তৈবার জঙ্গিদের হাতে।’ অন্যদিকে জাতীপুঞ্জের দ্বারা নিষিদ্ধ এই জঙ্গি সংগঠনটির ২০০৮ সালে মুম্বই হামলার সাথে প্রত্যক্ষ ভাবে যুক্ত থাকার কথাও এদিন মনে করিয়ে দেন আরতি।
ব্লক নির্বাচনের আগে ফের উত্তেজনা কাশ্মীরে, ফাটল পেট্রোলবোমা, জ্বলল দোকান