ভ্যাকসিনের হিউম্যান চ্যালেঞ্জ ট্রায়াল ভারতে নয়, স্পষ্ট জানালেন স্বাস্থ্য মন্ত্রী
ভ্যাকসিনের হিউম্যান চ্যালেঞ্জ ট্রায়াল ভারতে নয়, স্পষ্ট জানালেন স্বাস্থ্য মন্ত্রী
ভ্যাকসিনের দ্রুত বিকাশের জন্য হিউম্যান চ্যালেঞ্জ ট্রায়াল ভারতে করা হবে না। রবিবার স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন স্বাস্থ্য মন্ত্রী হর্ষ বর্ধন। এর আগে বিশ্বস্ত মার্কিন রোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ অ্যান্টনি ফৌসি সম্ভাব্য ভ্যাকসিনের হিউম্যা চ্যালেঞ্জ ট্রায়ালের জন্য কেন্দ্রের অনুমতি পেতে ব্যর্থ হয়।
ভারত এ জাতীয় ট্রায়ালের উদ্যোগ নেবে না
রবিবার বর্ধন বলেন, ‘বিশ্বব্যাপী অভিজ্ঞতা ছাড়া পদ্ধতিটি কোনও প্রতিষ্ঠিত লাভের প্রমাণ না পাওয়া পর্যন্ত ভারত এ জাতীয় ট্রায়ালের উদ্যোগ নেওয়ার পরিকল্পনা করছে না। ভারত জোরদার এক পদ্ধতিকেই তাদের অনুমোদন দেবে যেখানে ভ্যাকসিনটি সফলতা ও নিরাপদের সঙ্গে ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল সম্পূর্ণ করবে এবং নোভেল করোনা ভাইরাসের ওপর প্রভাব ফেলবে।' তিনি জানিয়েছেন, হিউম্যান চ্যালেঞ্জ ট্রায়াল পরিচালনা করার সময় প্রচুর পূর্বানুমতি, সতর্কতা ও তদারকি করে নেওয়া উচিত। বর্ধনের মতে, প্রাপ্ত তথ্যের মূল্য অবশ্যই ন্যায়সঙ্গত হতে হবে মানবিক বিষয়গুলির ঝুঁকির ক্ষেত্রে।
হিউম্যাল চ্যালেঞ্জ ট্রায়াল কী
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা হু-এর মতে হিউম্যান চ্যালেঞ্জ ট্রায়াল হল যেখানে যোগদানকারিরা স্বেচ্ছায় এই চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেন। এখানে তাঁদের সংক্রমণের জীবাণুর পাশাপাশি ভ্যাকসিনের ডোজও দেওয়া হয়। সংক্রমণের আন্তর্জাতিক গবেষণার সঙ্গে যুক্ত এই ট্রায়ালগুলি। এই ধরনের পরীক্ষাগুলির লক্ষ্যই হল প্রতিশ্রুতিমান ভ্যাকসিনগুলিকে সনাক্ত করে তাদের সুরক্ষা, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা প্রতিক্রিয়া এবং এর পাশাপাশি তাদের প্রভাব সম্পর্কে অবহিত হওয়া।
উদ্বেগের কারণ
হিউম্যান চ্যালেঞ্জ ট্রায়াল ভারতে আগে কোনওদিন হয়নি এবং এ ধরনের পরীক্ষার জন্য পরিকাঠামোর প্রয়োজন হয়, যার জন্য সময়ের পাশাপাশি প্রচুর অর্থের দরকার বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। বিদ্যমান কিছু ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্তরের ট্রায়াল চলছে ভারতে, এই ট্রায়াল কতদিনে শেষ হবে তা এখনও জানা নেই। তবে বিশেষজ্ঞরা কেউই হিউম্যান চ্যালেঞ্জ ট্রায়ালের পক্ষে নয়।
অন্যান্য সমস্যা
এ ধরনের চ্যালেঞ্জ ট্রায়াল করা হয় তরুণ ও স্বাস্থ্যবান স্বেচ্ছাসেবকদের ওপর। এটা অনেক দেরিতে করা হয়ে থাকে। যখন কোনও ভ্যাকসিন তৈরি হয়ে যায় তা জনগোষ্ঠীর ওপর কতটা প্রভাব ফেলবে তা দেখার জন্য এই ট্রায়াল করা হয়ে থাকে। স্বেচ্ছাসেবকদের করোনা ভাইরাসের জীবাণু দেহে প্রবেশ করানোর পরই এই ভ্যাকসিনের ডোজ দেওয়া হয় এবং তাঁদের আইসোলেশনে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু ভারতে যেখানে ৬০ লক্ষের বেশি সংক্রমণ সেখানে এ ধরনের ঝুঁকি ভারত নেবে না।
হাথরাস কাণ্ড নিয়ে চরমে রাজনৈতিক রেষারেষি, ফায়দা লুটতে ময়দানে মায়াবতী
{quiz_384}