১৫৫ কিলোমিটার বেগে আঘাত করবে 'হুদহুদ', দাবি হাওয়া অফিসের

২০১৩ সালের ১২ অক্টোবর অন্ধ্র-ওডিশা উপকূলে আছড়ে পড়েছিল 'ফাইলিন' ঘূর্ণিঝড়। এর গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ২৩০ কিলোমিটার। যেখান থেকে 'ফাইলিন' তৈরি হয়েছিল, যে পথ ধরে এসেছিল, যেভাবে এগিয়েছিল, তার সঙ্গে অনেক মিল রয়েছে 'হুদহুদ'-এর। তাই ওয়াকিবহাল মহল বলছিল, 'হুদহুদ' ঘূর্ণিঝড়টিও ২০০ কিলোমিটারের বেশি গতি নিয়ে আঘাত করবে অন্ধ্র-ওডিশা উপকূলে। কিন্তু আবহাওয়া দফতরের দাবি, কিছু ভৌগোলিক কারণে 'ফাইলিন'-এর মতো অতটা শক্তিশালী হবে না 'হুদহুদ'।
আরও পড়ুন: হুড়হুড়িয়ে আসছে 'হুদহুদ', ঘনাচ্ছে দুর্যোগের শঙ্কা
আরও পড়ুন: বাইরে অঝোরে ঝরছে বৃষ্টি, আমার চোখ বেয়ে নেমে আসছে জলের ধারা
আরও পড়ুন: পরিস্থিতি মোকাবিলায় তৈরি আছি, 'হুদহুদ' প্রসঙ্গে আশ্বাস নবীনের
আরও পড়ুন: এক নজরে 'ঝোড়ো' পরিভাষা
এই মুহূর্তে আন্দামান সাগর ছেড়ে 'হুদহুদ' সরতে আরম্ভ করেছে পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিম অভিমুখে। নিম্নচাপ থেকে ঘূর্ণিঝড়ের আকার নিয়েছে। ৯ অক্টোবর অর্থাৎ আগামীকাল ভোরে তা ঘূর্ণিঝড় থেকে তীব্র ঘূর্ণিঝড়ে (সিভিয়ার সাইক্লোনিক স্টর্ম) পরিণত হবে। তখন বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ হবে ঘণ্টায় ১১০ কিলোমিটার। বিকেল নাগাদ তা বেড়ে দাঁড়াবে ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটার। ১০ অক্টোবর বিকেলে তা আরও শক্তি বাড়িয়ে অতীব তীব্র ঘূর্ণিঝড়ে (ভেরি সিভিয়ার সাইক্লোনিক স্টর্ম) পরিণত হবে। তখন বাতাসের গতি বেড়ে দাঁড়াবে ঘণ্টায় ১৪৫ কিলোমিটার। ১১ অক্টোবর বিকেলে বাতাসের গতি আরও বাড়বে। তখন তা হবে ঘণ্টায় ১৫৫ কিলোমিটার।
আবহাওয়া দফতরের দাবি, ১২ অক্টোবর অর্থাৎ রবিবার দুপুর নাগাদ 'হুদহুদ' অন্ধ্রপ্রদেশের বিশাখাপটনম এবং ওডিশার গোপালপুরের মাঝামাঝি জায়গায় আঘাত হানবে। বিকেলের দিকে বাতাসের গতিবেগ কমবে। মোটামুটি ঘণ্টায় ১৪৫ কিলোমিটার হবে। যত তা স্থলভাগের ভিতরে ঢুকবে, তত দুর্বল হবে। ১৩ অক্টোবর ভোরে অতীব তীব্র ঘূর্ণিঝড়টি পরিণত হবে ঘূর্ণিঝড় বা সাইক্লোনিক স্টর্মে। তখন বাতাসের গতিবেগ কমে হবে সর্বোচ্চ ১০০ কিলোমিটার। ওই দিন বিকেলের পর থেকে আরও দুর্বল হবে 'হুদহুদ'।
'হুদহুদ'-এর প্রভাবে সবচেয়ে বেশি ভুগবে অন্ধ্রপ্রদেশের উত্তরাংশ এবং ওডিশার দক্ষিণ ভাগ। কলকাতা ও দক্ষিণবঙ্গে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। তবে পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে ঘূর্ণিঝড়ের সতর্কবার্তা বা সাইক্লোন ওয়ার্নিং জারি করেনি আবহাওয়া দফতর।