তছনছ বিশাখাপটনমে শুধুই ধ্বংসের ছবি, মৃত পাঁচ, ভাঙল হাওয়া অফিসের রেডার
বিশাখাপটনমে আবহাওয়া অফিস গত কয়েকদিন ধরে নিয়মিত 'হুদহুদ' নিয়ে তথ্য সরবরাহ করছিল। রবিবারের বিধ্বংসী ঝড়ে আবহাওয়া অফিসের রেডারই ভেঙে পড়ে যায়। ফলে বিশাখাপটনমের হাওয়া অফিস এখন কার্যত বিকলাঙ্গ হয়ে পড়েছে!
দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বিশাখাপটনমগামী ৪০টি ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে সেখানকার বিমানবন্দর। শহরের বিভিন্ন এলাকায় সমুদ্রের জল ঢুকে পড়েছে। বেড়াতে গিয়ে যাঁরা আটকে গিয়েছেন, তাঁরা কবে ফিরতে পারবেন, সে ব্যাপারে উদ্বিগ্ন পরিবার-পরিজন।
বিশাখাপটনম ছাড়াও ঝড়ে তছনছ হয়েছে বিজয়নগরম, শ্রীকাকুলাম ও পূর্ব গোদাবরী জেলা। সঙ্গে আকাশভাঙা বৃষ্টি। সর্বত্র বিদ্যুৎ ও মোবাইল যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। শ্রীকাকুলাম জেলায় মারা গিয়েছে দু'জন। আরও তিনজনের মৃত্যুর খবর মিলেছে ওডিশা থেকে। প্রশাসনের দাবি, আগে থেকে সাত লক্ষ মানুষকে নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। নইলে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়ত। পাশাপাশি, ওডিশার ব্রহ্মপুর, গোপালপুর, মালকানগিরিতেও অবস্থা যথেষ্ট খারাপ। বিপর্যয়ের মধ্যেই পুরোদমে উদ্ধারকাজ শুরু হয়েছে।
রবিবার
সন্ধের
পর
'হুদহুদ'
ক্রমশ
দুর্বল
হবে
বলে
খবর।
বিশাখাপটনম
পেরিয়ে
ক্রমশ
অন্ধ্রপ্রদেশের
আরও
ভিতরে
ঢুকতে
শুরু
করেছে
'হুদহুদ'।
(আপডেট: সকাল ১১-৪০)
তছনছ বিশাখাপটনম, ঝড়ের বেগ পৌঁছল ২০৫ কিলোমিটারে
'হুদহুদ' ভেঙেচুরে শেষ করে দিচ্ছে বিশাখাপটনমকে। সংবাদ সংস্থা এএনআই জানাচ্ছে, ২০৫ কিলোমিটার উঠেছে ঝড়ের গতিবেগ। অর্থাৎ আবহাওয়া দফতর যা বলেছিল, তার চেয়েও বেশি। ঝড়ের গতিবেগ ১৯৫ কিলোমিটার হবে বলা হয়েছিল। সেটাও ভুল প্রমাণ হল! ঝড়ের কেন্দ্র অর্থাৎ আই অফ স্টর্ম এখন বয়ে যাচ্ছে বিশাখাপটনমের ২৭ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত ভীমুনিপটনমের ওপর দিয়ে। যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ায় সব জায়গা থেকে নিয়মিত খবরও আসছে না।
দরকারে ফোন করা যাবে এই হেল্পলাইনগুলিতে:
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক,
ভারত
সরকার:
০১১-২৩০৯৩৫৬৬
এবং
০১১-২৩০৯৩৫৬৩
দক্ষিণ-পূর্ব
রেলওয়ে:
(হাওড়া)
০৩৩-২৬৩৮২২১৭
এবং
(খড়্গপুর)
০৩২২২-২৫৫৭৩৫
(আপডেট: সকাল ১১-২০)
বিশাখাপটনমের ওপর আছড়ে পড়ল 'হুদহুদ', শুরু ধ্বংসলীলা
পূর্ণ শক্তি নিয়ে বিশাখাপটনমের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ল 'হুদহুদ'!
সর্বশেষ খবর অনুযায়ী, বিশাখাপটনম ও তার আশপাশে এখন তাণ্ডব চলছে। বিভিন্ন এলাকায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। গাছ উপড়ে, লাইটপোস্ট ভেঙে, সামুদ্রিক জলোচ্ছ্বাসে বিপর্যস্ত গোটা শহর। এখনই ঝড়ের গতিবেগ উঠেছে ১৮০ কিলোমিটার। ঝড়ের কেন্দ্র (আই অফ স্টর্ম) বিশাখাপটনম থেকে ৪০ কিলোমিটার দূরে সমুদ্রের ওপর অবস্থান করছে। ৫০ কিলোমিটার ব্যাপ্ত ঝড়ের কেন্দ্রটি বিশাখাপটনম থেকে ২৭ কিলোমিটার দূরে ভীমুনিপটনম বা ভিমলির ওপর দিয়ে যাবে দুপুর বারোটা নাগাদ। ইতিমধ্যে দু'জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে।
শক্তি
বাড়িয়ে
১৯৫
কিলোমিটার
বেগে
আছড়ে
পড়তে
চলেছে
'হুদহুদ',
ত্রস্ত
বিশাখাপটনম
একেই
বলে
প্রকৃতির
খামখেয়ালিপনা!
যে 'হুদহুদ' সর্বোচ্চ ১৫৫ কিলোমিটার বেগে বিশাখাপটনমের ওপর আছড়ে পড়বে বলে ইঙ্গিত দিয়েছিল আবহাওয়া দফতর, সে-ই এ বার হঠাৎ অনেকখানি শক্তি বাড়িয়ে নিয়েছে। রবিবার দুপুর নাগাদ 'হুদহুদ' সর্বোচ্চ ১৯৫ কিলোমিটার বেগে ঝাঁপিয়ে পড়বে বিশাখাপটনম ও সংলগ্ন এলাকায়। এর ফলে কী হবে, অনুমান করা সহজসাধ্য! পরিস্থিতির গুরুত্ব বিবেচনা করে হেল্পলাইন চালু করেছে কেন্দ্র। নম্বরগুলি হল: ০১১-২৩০৯৩৫৬৬ এবং ০১১-২৩০৯৩৫৬৩।
আরও
পড়ুন:
বিশাখাপটনমের
দিকে
ঘুরল
'হুদহুদ',
দুর্যোগের
শঙ্কা
কমল
কলকাতায়
আরও
পড়ুন:
বাইরে
অঝোরে
ঝরছে
বৃষ্টি,
আমার
চোখ
বেয়ে
নেমে
আসছে
জলের
ধারা
আরও
পড়ুন:
১৫৫
কিলোমিটার
বেগে
আঘাত
করবে
'হুদহুদ',
দাবি
হাওয়া
অফিসের
অথচ গতকাল পর্যন্তও হাওয়া অফিস মনে করছিল, ঝড়ের গতিবেগ সব থেকে বেশি হলে ঘণ্টা ১৫৫ কিলোমিটার হবে। কিন্তু আগের চেয়ে এখন তার বেগ আরও ৪০ কিলোমিটার বেড়ে যাওয়ায় চিন্তার ভাঁজ পড়েছে সবার কপালে।
কেন হঠাৎ শক্তি বেড়ে গেল? বিশেষজ্ঞদের মতে, ঝড়ের কেন্দ্রে (আই অফ স্টর্ম) চাপ যত ঘনীভূত হয়, সমুদ্রের ওপর দিয়ে আসার সময় ততটা জলীয় বাষ্প শুষে নেওয়া সম্ভব হয়। পাশাপাশি, জলীয় বাষ্প শুষে সেই ঝড় এগোয় শ্লথ গতিতে। যত শ্লথ গতিতে এগোয়, তত বেশি জলীয় বাষ্প শুষে নেওয়ার সময় পায়। 'হুদহুদ'-এর ক্ষেত্রে সেটাই হয়েছে। দুলকি চালে সমুদ্রের ওপর দিয়ে এসেছে। ঘণ্টার ১৫-১৬ কিলোমিটার করে এগিয়েছে। ফলে শক্তি বাড়িয়ে নিয়েছে। প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালের ১২ অক্টোবর ওডিশার গোপালপুরে ঘণ্টায় ২৩০ কিলোমিটার বেগে আছড়ে পড়েছিল 'হুদহুদ'-এর জ্ঞাতিভাই 'ফাইলিন'!
যে এলাকার ওপর দিয়ে 'হুদহুদ' যাবে, সেই বিশাখাপটনমে গতকাল থেকেই শুরু হয়েছে অতি ভারী বৃষ্টি। ৮০-৯০ কিলোমিটার বেগে হাওয়া বইছে। বিশাখাপটনমে সমুদ্রের ধারে বিখ্যাত রামকৃষ্ণ সৈকতভূমি এখন জলের তলায়। এই সৈকতভূমির গা ঘেঁষে যে রাস্তা রয়েছে, তার ওপর এসে আছড়ে পড়ছে ঢেউ। যে পর্যটকরা এখন বিশাখাপটনমে রয়েছেন, তাঁদের হোটেল ছেড়ে বেরোতে নিষেধ করা হয়েছে। বিশাখাপটনমের সিংহভাগ এলাকাতে সকাল থেকে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছে।
পাশাপাশি, ওডিশার গোপালপুর ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় ভারী বৃষ্টি শুরু হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের দীঘাতেও সকাল থেকে অশান্ত সমুদ্র। প্রচণ্ড বৃষ্টি হচ্ছে। ৬০-৭০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইছে। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় হালকা থেকে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে।