উপনির্বাচনের ফলের পরই ২০১৯ লোকসভা জয়ের ফর্মুলা বাতলে দিলেন মমতা
২০১৯ লোকসভা জয়ের ফর্মুলা বাতলে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আগামী একবছরে যতগুলি উপনির্বাচন বা নির্বাচন হবে, তার পুরোটাই ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে হবে। আঞ্চলিক দলগুলির বিরুদ্ধেই যে আগামী নির্বাচনে বিজেপিকে লড়তে হবে তা ফের একবার স্পষ্ট করে দিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একইসঙ্গে এটা জানালেন বিজেপিকে ঠেকাতে সব দলগুলিকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
এদিন উপনির্বাচনে একটি লোকসভা আসন ও দুটি বিধানসভা আসন বাদে সবকটিতেই কংগ্রেস সহ বিরোধী দলগুলি জয়ী হয়েছে। আর এই সূত্রেই বিজেপি বধ করে ২০১৯ লোকসভা জয়ের ফর্মুলা বাতলে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
[আরও পড়ুন:'কর্ণাটকে খুঁটিপুজো হয়েছে, ২০১৯-এ দিল্লিতে দশমী হবে', বিজেপিকে হুঙ্কার অভিষেকের]
সাফ জানালেন, যে রাজ্যে যে দল শক্তিশালী, যে অঞ্চলে যারা ক্ষমতাবান, তাদেরকে সামনে রেখেই লড়তে হবে। একমাত্র তাহলেই জয় নিশ্চিত করা যাবে। এক্ষেত্রে বিহারে আরজেডি, অন্ধ্রপ্রদেশে চন্দ্রবাবু নাইড়ু, মহারাষ্ট্রে শিবসেনা, উত্তরপ্রদেশে সমাজবাদী পার্টি, বহুজন সমাজবাদী পার্টি, কর্ণাটকে জেডিএস-কংগ্রেস জোট, ঝাড়খণ্ডে ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার জয়ের কথাও তিনি উল্লেখ করেন।
মমতা জানিয়ে দেন, এটাই এখন ভারতীয় রাজনীতির ভবিতব্য। আঞ্চলিক দলগুলি নিজেদের এলাকায় শক্তিবৃদ্ধি করেছে। এদেরকে সঙ্গে নিয়েই চলতে হবে। তাহলেই কেন্দ্রে সরকারের বদল সম্ভব। আর এটা যারা যত তাড়াতাড়ি বুঝতে পারবে ততই ভালো।
আগের চেয়ে আঞ্চলিক দলগুলি অনেক বেশি পরিণত ও শক্তিশালী। ভবিষ্যতে তিনি যে লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে বিরোধী ঐক্যকে বিজেপির বিরুদ্ধে দাঁড় করাতে সক্রিয় ভূমিকা নিতে চলেছেন তা আকারে-ইঙ্গিতে বুঝিয়ে দিয়েছেন মমতা। কয়েকদিন আগেই কর্ণাটকে জেডিএস-কংগ্রেসের জোট সরকারের শপথগ্রহণে উপস্থিত থেকে আঞ্চলিক দলগুলি একজোট হওয়ার বার্তা দিয়েছে। তারপরে এদিন উপনির্বাচনের ফলাফলের পর মমতার বার্তা বেশ ইঙ্গিতপূর্ণ।
[আরও পড়ুন:সারা দেশে কেন হারল বিজেপি, কোন যুক্তি খাড়া করল জোটসঙ্গী জেডিইউ ]
মহেশতলায় দলের জয় নিয়েও বেশ খুশি ছিলেন মমতা। স্পষ্ট জানালেন, মানুষের সমর্থন না থাকলে এমনটা সম্ভব ছিল না। আগের বার ১২ হাজার ভোটে জয় ছিল। এবার তা বেড়ে ৬২ হাজারের বেশি হয়েছে। অনেক কুৎসা, অপপ্রচার হয়েছে। চক্রান্ত করা হয়েছে। তবে তৃণমূলের জয় আটকানো যায়নি। এবার তো আধাসেনাও ভোটে নামিয়েছে কমিশন। তারপরও এত ব্যবধানে জয় মানুষের সমর্থন রয়েছে বলেই সম্ভব হয়েছে।