করোনা প্রকোপের মাঝেই অনুষ্ঠিত বিহারের প্রথম দফার নির্বাচন, কেমন হল ভোটগ্রহণ?
আজ বিহারে অনুষ্ঠিত হল প্রথম দফার ভোট গ্রহণ। দেশজুড়ে করোনার সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর থেকে এই প্রথমবার বড় কোনও নির্বাচন হল দেশে। করোনার সংক্রমণ রুখতে একাধিক পদক্ষেপ করা হয়েছিল এদিনের ভোট গ্রহণের পর্বে। বিধানসভা নির্বাচনের জন্য ৭ লক্ষ স্যানিটাইজারের বোতল, ৪৬ লক্ষ মাস্ক, ৬ লক্ষ পিপিই কিট, ৬ লক্ষ ৭০ হাজার ফেস শিল্ড ও ২৩ লক্ষ জোড়া গ্লাভসের ব্যবস্থা করছে নির্বাচন কমিশন। এদিন সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ভোট পড়ে ৫৩.২৩ শতাংশ।

এদিন ময়দানে নামেন ১ হাজার ৬৬ জন প্রার্থী
এদিন প্রথম দফায় ৭১ টি আসনে ভোট হবে। ভোটযুদ্ধের ময়দানে নামেন ১ হাজার ৬৬ জন প্রার্থী। তাদের মধ্যে ১১৪ জন মহিলা প্রার্থী। প্রথম দফার ৭১টি আসনের মধ্যে ৪২টিতে প্রার্থী দিয়েছে আরজেডি। আর ২১টি আসনে প্রার্থী দিয়েছে কংগ্রেস। অন্যদিকে জেডিইউ প্রার্থী দিয়েছে ৪১টি আসনে। আর বিজেপির প্রার্থীরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ২৯টি আসনে। এছাড়া চিরাগ পাসোয়ান, যিনি এবারের নির্বাচনে একলা চলার নীতি নিয়েছেন, তাঁর দল এলজেপি প্রার্থী দিয়েছে ৪১টি আসনে।

ভোটের ময়দানে নামেন নীতীশের মন্ত্রিসভার আধ ডজন হেভিওয়েট
এদিকে প্রথম দফার ভোটের ময়দানে নামেন নীতীশ কুমারের মন্ত্রিসভার আধ ডজন হেভিওয়েট। তালিকায় রয়েছেন কৃষ্ণনন্দন বর্মা, প্রেম কুমার, জয়কুমার সিং, সন্তোষকুমার নিরালা, বিজয় সিনহা এবং রামনারায়ণ মণ্ডলের মতো মন্ত্রীরা। নজর ছিল ইমামগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রের দিকেও। ইমামগঞ্জ কেন্দ্র থেকে এনডিএ-র হয়ে লড়াইয়ে নামেন বিহারে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা হিন্দুস্তানি আওয়াম মোর্চার প্রধান জিতনরাম মাঁঝি। মাঁঝিকে টক্কর দেওয়ার জন্য তেজস্বী ব্রিগেডের হয়ে ময়দানে নামেন বিধানসভার প্রাক্তন অধ্যক্ষ তথা বর্ষীয়ান দলিত নেতা উদয়নারায়ণ চৌধুরী।

১২০০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন
নির্বাচনকে ঘিরে যাতে কোনওরকম অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে তার জন্য ছিল কড়া সতর্কতা। তিন দফার ভোটের জন্য সবমিলিয়ে প্রায় ৩০ হাজার কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান বিহারে পাঠানো হয়েছে। ঔরঙ্গাবাদ, গয়া, নওদা, জামুই ও লখিসরাই জেলার মাওবাদী অধ্যুষিত বিধানসভা কেন্দ্রগুলির জন্য ১২০০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছিল এদিন। এরই মধ্যে ঔরঙ্গাবাদের ধীবরা এলাকা থেকে দু'টি বিস্ফোরক উদ্ধার করেছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। এদিকে ইভিএম বিভ্রাটের অভিযোগে জামুইয়ে ৫৫টি বুথে পুনর্নির্বাচনের দাবিতে সরব আরজেডি প্রার্থী।

আদর্শ আচরণবিধি ভেঙে বিতর্কে জড়ালেন বিজেপি নেতা
এদিকে বিহারের বিজেপি মন্ত্রী প্রেম কুমার মাস্কে দলীয় প্রতীক লাগিয়ে বুথে আসায় নির্বাচন কমিশনের কোপে পড়লেন। আদর্শ আচরণবিধি ভেঙে বিতর্কে জড়ালেন বিজেপি নেতা তথা বিহারের মন্ত্রী প্রেম কুমার। এর জেরে আদর্শ আচরণবিধি ভঙ্গ করার জন্য জেলাশাসককে প্রেম কুমারের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের নির্দেশ দিয়েছে তারা।

'হনুমান'-এর মন ভেঙে বিহার জয়ের পথে 'রামচন্দ্র', চিরাগের জন্য বন্ধ মোদীর দরজা