মাথা নিচু করে পুরো সময় বৈঠকে থেকে ভোররাতে ইউ টার্ন অজিতের, কীভাবে মহারাষ্ট্রে পালাবদল
শিবসেনা ও এনসিপির মধ্যে সরকার গঠন নিয়ে যে আলোচনা চলছিল তাতে শুক্রবার রাত পর্যন্ত সেই আলোচনায় ছিলেন অজিত পাওয়ার। শরদ পাওয়ার যখন উদ্ধব ঠাকরেকে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী পদে বেছে নেওয়া নিয়ে সম্মতি জানিয়েছেন, ঠিক তখন বৈঠকে মাথা নিচু করে বসে ছিলেন ভাইপো অজিত। আর তারপরেই ভোর রাতে ঘটে গেল আশ্চর্য ঘটনা। বিজেপির দেবেন্দ্র ফড়নবিশকে সমর্থন জানালেন তিনি। এবং সমর্থন নিয়ে সরকার গঠন করল বিজেপি। মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিলেন দেবেন্দ্র ফড়নবিশ।
এমন ঘটনা যে হবে তা কেউ আঁচ করতে পারেননি। সকালে ঘুম থেকে উঠে কার্যত বিস্ফোরণের মতো সকলের মাথায় আঘাত করে বিষয়টি। যেখানে সেনা, এনসিপি ও কংগ্রেসের জোট সরকার হওয়ার কথা ছিল, সেখানে কীভাবে বিজেপি ও এনসিপির বিক্ষুব্ধ অংশ মিলে মহারাষ্ট্রে সরকার গঠন করে ফেলল, তা বুঝতেই অনেকটা সময় লেগে যায়।
তারপরে সাংবাদিক সম্মেলন করে শিবসেনা এবং দলের মুখপাত্র সঞ্জয় রাউত স্পষ্ট জানিয়ে দেন, এই ঘটনার সঙ্গে এনসিপি প্রধান শারদ পাওয়ারের কোনও যোগ নেই। তাঁকে অন্ধকারে রেখেই ভাইপো অজিত পাওয়ার এই কাণ্ড ঘটিয়েছেন। সঞ্জয় রাউত বলেছেন, মারাঠা বীর ছত্রপতি শিবাজী মহারাজের ভূমিতে দাঁড়িয়ে যে অনাচার অজিত করলেন তা মহারাষ্ট্রের মানুষ মেনে নেবে না।
একইসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, শুক্রবার রাত নটা পর্যন্ত আলোচনাচক্রে ছিলেন অজিত পাওয়ার। তিনি মাথা নিচু করে বসেছিলেন। জোট নিয়ে যখন সর্বসম্মতি হচ্ছে তখন তিনি কোনও শব্দ উচ্চারণ করেননি। এখন বোঝা যাচ্ছে যে তিনি তলে তলে এত বড় একটি ষড়যন্ত্র করেছেন।
জানা গিয়েছে, এদিন ভোর সাড়ে পাঁচটার পর মহারাষ্ট্রে রাষ্ট্রপতি শাসন তুলে নেওয়া হয়। এবং দেবেন্দ্র ফড়নবিশ রাজ্যপালের কাছে সরকার গঠনের আর্জি জানালে তিনি তা মেনে নেন এবং এদিন সাতসকালেই আটটার সময় মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেন দেবেন্দ্র ফড়নবিশ। এবং ৭ দিনের মধ্যে তিনি সরকার গঠন করবেন বলে সময় পেয়েছেন।