করোনা হটস্পট জোনের পরীক্ষার হবে কীভাবে, নয়া গাইডলাইন আইসিএমআরের
গতকাল করোন সংক্রমণ নিয়ে আশার কথা শুনিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক। কিন্তু হটস্পট চিহ্নিত এলাকায় হঠাৎ করে সংক্রমণ বৃদ্ধির ঘটনায় উদ্বেগ বেড়েছে।
গতকাল করোনা সংক্রমণ নিয়ে আশার কথা শুনিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক। কিন্তু হটস্পট চিহ্নিত এলাকায় হঠাৎ করে সংক্রমণ বৃদ্ধির ঘটনায় উদ্বেগ বেড়েছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় তাই হটস্পট এলাকায় কীভাবে পরীক্ষা করা হবে তার নয়া গাইডলাইন প্রকাশ করেছে ইন্ডিয়ান কাউন্সিল ফর মেডিকেল রিসার্স বা আইসিএমআর।
কাদের কোভিড-১৯ পরীক্ষা হবে
করোনা হটস্পট চিহ্নিত এলাকায় কাদের পরীক্ষা করা জরুরি তার জন্য সুনির্দিষ্ট গাইডলাইন দিয়েছে আইসিএমআর। তাতে বলা হয়েছে গত ১৪ দিনের মধ্যে যাঁরা এই এলাকায় বাইরে থেকে এসেছেন তাঁদের সবার আগে পরীক্ষা করাতে হবে। যদি কেউ কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীর সংস্পর্শে আসেন এবং তাঁদের উপসর্গ দেখা দেয় তাহলে পরীক্ষা করানো জরুরি। উপসর্গ থাকা সব স্বাস্থ্যকর্মীর করোনা পরীক্ষা। েযসব রোগীর শ্বাসকষ্ট রয়েছে তাঁদের ব়্যান্ডাম টেস্ট। উপসর্গহীন করোনা আক্রন্ত রোগীর সংস্পর্শে যাঁরা এসেছেন তাঁেদরও পরীক্ষা করাতে হবে।
হটস্পট এলাকায় কাদের পরীক্ষা জরুরি
গোটা দেশে ১৭০টি হটস্পট চিহ্নিত করা হয়েছে। এই এলাকাগুলি প্রায় সিল করে চলছে নজরদারি। এলাকায় কারোর সর্দি, কাশি, জ্বর সঙ্গে শ্বাসকষ্ট থাকলে অবিলম্বে আরটি-পিসিআর টেস্ট জরুরি। পরিক্ষার রিপোর্ট পজেটিভ এলে বুঝতে হবে তাঁরা করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত। আর নেগেটিভ রিপোর্ট এলে তাঁরা করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত নন। কিন্তু তার পরেও তাঁদের সবরকম সাবধানতার মধ্যে রাখতে হবে। সাতদিন অন্তর অন্ত ব়্যাপিড অ্যান্টিবডি টেস্ট করাতে হবে এলাকায়। পরীক্ষার ফলাফল পজেটিভ এলে তাঁকে সাতদিনের জন্য কোয়ারেন্টাইনে রাখতে হবে। পরীক্ষার রিপোর্ট নেগেটিভ এলেও সাতদিন কোয়ারেন্টাইনে রাখতে হবে তাঁকে। এভাবেই হটস্পট এলাকাগুলিকে লাগাতার পরীক্ষার মধ্য রাখতে হবে তবে করোনা ভাইরাসের চেন সংক্রমণ রোধ করা যাবে।
করোনা আক্রান্ত ১৪,০০০
করোনা ভাইরাসে একনও পর্যন্ত ভারতে আক্রান্ত হয়েছে ১৪,৩৭৮ জন। তারমধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গিয়েছেন ১৯৯১ জন। মৃত্যু হয়েছে ৪৮০ জনের। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে দ্বিতীয় দফার লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে দেশে। আগামী ৩ সপ্তাহ অত্যন্ত কঠিন বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্যমন্ত্রক।