নতুন নোটে থাকবে এমন প্রযুক্তি যার মাধ্যমে ট্র্যাক করা যাবে টাকার লোকেশন!
নতুন ২ হাজার টাকার নোটে ন্যানো জিপিএস চিপ থাকবে। এই ধরনের প্রযুক্তি কাজ করার জন্য বিদ্যুত অথবা ব্যাটারি চালিত কোনও শক্তি প্রয়োজন হয় না। এটি নোটের মধ্যে থেকেই সিগন্যাল রিফ্লেক্টর হিসাবে কাজ করবে।
নয়াদিল্লি, ৯ নভেম্বর : দেশের অর্থনীতিকে জাল নোটের হাত থেকে বাঁচাতে বাজারে চলা ৫০০ ও ১ হাজার টাকার নোট বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদী সরকার। সরকারের এই কড়া সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ও। আগামী ১০ নভেম্বর থেকে ২ হাজার ও ৫০০ টাকার নোট ব্যাঙ্কগুলির মাধ্যমে সারা দেশে ছড়িয়ে দেওয়া হবে বলেও জানানো হয়েছে।
৫০০ ও হাজার টাকার নোট বন্ধ করে কী কেরামতি করলেন মোদী? জেনে নিন
৫০০ ও হাজার টাকার নোট বন্ধ, এবার তাহলে কি করবেন? জেনে নিন
আগামিদিনে ৫০০ অথবা ২ হাজার টাকার নোট কেমন হবে তা নিয়ে সকলের আগ্রহ রয়েছে। এর কি কি বৈশিষ্ট্য থাকবে তা নিয়ে ইতিমধ্যেই নতুন করে আগ্রহ তৈরি হয়েছে।
জানা গিয়েছে, নতুন ২ হাজার টাকার নোটে ন্যানো জিপিএস চিপ থাকবে। এই ধরনের প্রযুক্তি কাজ করার জন্য বিদ্যুত অথবা ব্যাটারি চালিত কোনও শক্তি প্রয়োজন হয় না। এটি নোটের মধ্যে থেকেই সিগন্যাল রিফ্লেক্টর হিসাবে কাজ করবে।
মাঝরাত থেকে ৫০০ ও ১ হাজার টাকার নোট বন্ধ করল কেন্দ্র
বলা হচ্ছে, নোটের মধ্যে এটি থাকাটা অনেক নিশ্চিন্তের। এটিকে চট করে ধ্বংস করা যাবে না। স্যাটেলাইট থেকে সিগন্যাল পাঠালে নোটের মধ্যের এনজিসি সঙ্গে সঙ্গে পাল্টা সিগন্যাল পাঠিয়ে জানান দেবে।
৫০০ টাকা এবং ১ হাজার টাকার নোট বন্ধ হতেই বিশৃঙ্খলা এটিএমগুলিতে
এর ফলে টাকার লোকেশন ট্র্যাক করা সম্ভব হবে বলে মনে করা হচ্ছে। বলা হচ্ছে, কোথায় নোটটি রয়েছে, মোবাইলের মতো তার লোকেশনও নিশ্চিত করে বলে দেওয়া যাবে। এমনকী টাকার মধ্যে থাকা সিরিয়াল নম্বরও হুবহু বলে দেওয়া সম্ভব হবে।
'অকেজো' ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোট এখন 'খিল্লির পাত্র' সোস্যাল মিডিয়া-ম্যাসেঞ্জারে
যদি কেউ মনে করেন মাটির নীচে লুকিয়ে রাখলেই এই নতুন নোটকে ট্র্যাক করা যাবে না তাহলে তিনি ভুল ভাবছেন। মাটি থেকে ১২০ মিটার পর্যন্ত গভীরে রাখা নতুন নোটকেও উপগ্রহের সিগন্যালের মাধ্যমে ট্র্যাক করা যাবে।
উপগ্রহের মাধ্যমে শুধু আলাদা করে নোট ট্র্যাক করাই নয়, একসঙ্গে একজায়গায় কত নোট মজুত করে রাখা রয়েছে সেটা সম্পর্কেও নিখুঁত তথ্য তুলে ধরা সম্ভব হবে। এবং সঙ্গে সঙ্গে সেই সমস্ত তথ্য আয়কর দফতরের কাছে পৌঁছে যাবে।